উষ্ণতা রোধে অঙ্গীকারের অর্থ দ্রম্নত দিন প্রধানমন্ত্রী- এসকাপ ডায়ালগে দাতা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে (এলডিসি) কোপেনহেগেন সম্মেলনে অঙ্গীকারকৃত অর্থ দ্রম্নত সরবরাহের জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অভিযোজন এবং প্রযুক্তি সমন্বয় কর্মসূচীর লৰ্যে বাংলাদেশসহ অধিকাংশ স্বল্পোন্নত দেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাদের অর্থ স্থানানত্মর করায় তহবিল দ্রম্নত সরবরাহ করা প্রয়োজন। খবর বাসসর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিতে থাকা দেশ এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোর তহবিল এসব দিকে স্থানাসত্মর করায় সহস্রাব্দের উন্নয়ন ও সকল প্রবৃদ্ধি অর্জনের লৰ্যমাত্রা ৰতিগ্রসত্ম হচ্ছে।
তিনি সোমবার সকালে স্থানীয় এক হোটেলে জাতিসংঘ-এসকাপ ও সরকারের যৌথ আয়োজনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য ব্রাসেলস প্্েরাগ্রামস অব এ্যাকশন সংক্রানত্ম উচ্চপর্যায়ের এশিয়া-প্যাসিফিক ডায়ালগে এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, নেপালের অর্থমন্ত্রী সুরেন্দ্র পান্ডে, প্রশানত্ম মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর অর্থমন্ত্রী সেলা মলিসা, জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ওএইচআরএলএলএসের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি চিক সিদি দায়ারা, এসকাপের নির্বাহী সেক্রেটারি ড. নয়েলীন হেইজার এবং ইআরডি সচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উলেস্ন-খ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অর্থ দেয়ার ৰেত্রে যে কোন আর্থিক সঙ্কটসহ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যান্য বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার বিষয়সমূহ উন্নত দেশগুলোকে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, ওডিএ-এর শূন্য দশমিক ২ শতাংশ অঙ্গীকার অবশ্যই পূরণ এবং এর অতিরিক্ত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে বাধ্যবাধকতাপূর্ণ চুক্তি চূড়ানত্ম করতে হবে। তিনি আরও বলেন, বালির কর্মপরিকল্পনায় প্রশমন, অভিযোজন, আর্থিক, প্রযুক্তি হসত্মানত্মর ও সমতা তৈরিতে যে আশ্বাস দেয়া হয়েছে তাতে অবশ্যই সম্মত হতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরম্ন করেছে। সমুদ্রের উচ্চতা এক মিটার এবং বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা এক ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়ে গেলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের এক-চতুথর্াংশ নিমজ্জিত ও ২ কোটি লোক গৃহহীন এবং ৪ কোটি লোকের জীবিকা ৰতিগ্রসত্ম হবে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা ও খরা, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, কৃষি জমি হ্রাস, জমির উর্বরতা ৰয় এবং এ ধরনের আরও দুর্দশায় পতিত হবে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের কৃষিকে রৰায় ও খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে সরকার নামমাত্র মূল্যে কৃষকদের কৃষি উপকরণ সরবরাহ করছে।
তুরস্কে ২০১১ সালে স্বল্পোন্নত দেশগুলো সংক্রানত্ম জাতিসংঘ সম্মেলন প্রসঙ্গে তিনি উন্নয়ন অংশীদার, স্বল্পোন্নত দেশ, জাতিসংঘ ও তুরস্কে সংশিস্ন-ষ্ট সকল আনত্মর্জাতিক সংস্থাসমূহের এ বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য ও ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরম্নত্বারোপ করেন

No comments

Powered by Blogger.