ভিওআইপি উন্মুক্ত হচ্ছে

 টেলিযোগাযোগ খাত উন্নয়নে লাইসেন্স প্রদান ব্যবস্থা উন্মুক্তকরণের লৰ্যে আনত্মর্জাতিক দূরপালস্নার টেলিযোগাযোগ সার্ভিসের (আইএলডিটিএস) খসড়া নীতিমালা অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। ২০০৭ সালে আইএলডিটিএস নীতিমালা করা হয়।
জনগণের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে আরও সংযোজন ও বিয়োজন করে মন্ত্রিসভা সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই খসড়া নীতিমালা অনুমোদন দেয়া হয়। অবৈধ 'ভিওআইপি'র ব্যবহার বন্ধে বেসরকারী খাতে আরও ব্যক্তি ও প্রতিষ্টানকে আনত্মর্জাতিক 'কল টার্মিনেশন'-এর অনুমতি দেয়ার লৰ্যে এই নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধানত্মে দেশে ভিওআইপির ব্যবহার উন্মুক্ত হবে। প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণ করলে যত খুশি ব্যক্তি এই ব্যবসার অনুমোদন পাবেন। নতুন এই নীতিমালায় এক ব্যক্তিকে একাধিক লাইসেন্সও প্রদানের কথা বলা হয়েছে। ইতোপূর্বে এক ব্যক্তিকে একাধিক লাইসেন্স প্রদান করা হতো না। লাইসেন্স প্রদান সহজীকরণ হওয়ায় এই সেক্টরে আর অবৈধ ব্যবসা থাকবে না।
বৈঠকের শুরম্নতে প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর মৃতু্যতে মন্ত্রিসভা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে এক শোক প্রসত্মাব গ্রহণ করে। এই শোক প্রসত্মাবে বলা হয় "বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের প্রবীণ রাজনীতিবিদ বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১১টা ৪৭ মিনিটে মৃতু্যবরণ করেন। বাম রাজনীতির এ প্রবাদ পুরম্নষ তাঁর সংগ্রামী জীবন ও অসাধারণ ত্যাগ তিতিৰার দ্বারা উপমহাদেশের রাজনীতিতে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।"
শোক প্রসত্মাবে আরও বলা হয়, "জ্যোতি বসুর পৈত্রিক নিবাস নারায়ণগঞ্জের বারদীতে। তাঁর শৈশবের কিছু সময় বারদীতেই কেটেছে। ১৯৭৭ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এবং টানা ২৩ বছর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। বাংলাদেশের জন্মলগ্ন থেকে তিনি ছিলেন আমাদের পাশে। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি পরম মমতায় এ দেশের ১ কোটি মানুষের আশ্রয় ও খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। গঙ্গার পানি চুক্তিতে বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা প্রাপ্তিতে তাঁর অবদান দেশবাসী চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করবে। তাঁর মৃতু্যতে বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের শুভাকাঙ্ৰীকে হারাল।
মন্ত্রিসভা জ্যোতি বসুর মৃতু্যতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শানত্মি কামনা করেছে। মন্ত্রিসভা তাঁর শোকসনত্মপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।"
এ ছাড়া বৈঠকে জাতীয় পরিবেশ কমিটির সভার সিদ্ধানত্ম অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয়ের হসত্মানত্মরিত জমি ভূমি মন্ত্রণালয়কে ফেরত প্রদানের প্রসত্মাব এবং বাংলাদেশের অভ্যনত্মরে আনত্মর্জাতিক বিমান, নৌ ও স্থল বন্দরসমূহে ব্যক্তিমালিকানায় শুল্কমুক্ত বিপণির জন্য স্থান ইজারা প্রদান সংক্রানত্ম প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ সভাকৰে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, প্রতিমন্ত্রিগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংশিস্নষ্ট সচিবগণ ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।

No comments

Powered by Blogger.