৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু চীনে

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতুর রেকর্ডটি এখন চীনের দখলে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে দেশটির চিংতাও হাইওয়ান সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ব্রিটেনের ডোভার শহর থেকে ফ্রান্সের ক্যালে শহরের দূরত্বের চেয়েও পাঁচ মাইল বেশি।
ম্যারাথন দৌড়ের জন্য নির্ধারিত দূরত্বও এর দৈর্ঘ্যের কম। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৪২ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার (২৬ দশমিক ৪ মাইল) আর ম্যারাথনের দূরত্ব ২৬ মাইলের একটু বেশি।
জিয়াওঝুর উপসাগরে নির্মিত সেতুটির মাধ্যমে কিংদাওয়ের প্রধান শহর, চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শানদং প্রদেশ এবং হুয়াংদাও জেলার সঙ্গে সংযোগ সহজ হয়েছে। এতে চিংতাও থেকে হুয়াংদাওয়ে যেতে পথ প্রায় ৩০ কিলোমিটার কমে যাবে এবং সময় বাঁচবে প্রায় ২০ মিনিট। ব্রিটেনের টেমস নদীর ওপর লন্ডনস টাওয়ার ব্রিজের ১৭৪ গুণ বড় চিংতাও হাইওয়ানের নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে ৫৫০ কোটি পাউন্ড আর সময় লেগেছে চার বছর। ২০০৬ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়।
সেতু নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক প্রকৌশলী বলেন, 'কম্পিউটারে আঁকা সেতুর মডেল এবং এর নিখুঁত হিসাব সবই ঠিক আছে। তবে আপনি স্বস্তি পাবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত না এর দুই প্রান্ত যথাযথভাবে স্থাপিত হয়। আর এতে কয়েক সেন্টিমিটার এদিক-সেদিক হলেই ঘটে যেতে পারে বিপর্যয়।'
সেতুটি নির্মাণের ক্ষেত্রে ভূমিকম্প এবং ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বেশি। প্রকল্পের কর্মকর্তা ঝু ইয়ংলিং জানান, প্রচণ্ড শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, রিখটার স্কেলে সর্বোচ্চ ৮ মাত্রার ভূমিকম্প এবং তিন লাখ টন ওজনের যানবাহনের ভার সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে এটির।
এত দিন বিশ্বের দীর্ঘতম সেতুর রেকর্ডটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানার লেক পন্টসারট্রেইন কসওয়ে সেতুর। এখন রেকর্ডটি চিংতাও হাইওয়ানের হাতে। তবে এই রেকর্ডও হাতে বেশি দিন থাকছে না। কারণ, চীনেই আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নির্মিত হচ্ছে এর চেয়েও দীর্ঘ সেতু। গত ডিসেম্বরে কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন, ২০১৬ সালে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হচ্ছে। এটি দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংদং প্রদেশের সঙ্গে হংকং ও ম্যাকাওকে যুক্ত করবে। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬০ কোটি পাউন্ড। সূত্র : মেইল অনলাইন।

No comments

Powered by Blogger.