নিজেরা সংঘর্ষ বাধিয়ে ঢাবি অশানত্ম করতে চাইছে ছাত্রদল!- ধর্মঘটে সাড়া মেলেনি পরীৰা হয়েছে, তবে উপস্থিতি ছিল কম

ধর্মঘটে সাড়া বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার নিজেরা সংঘর্ষ বাধিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অশানত্ম করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ছাত্র ধর্মঘট সাধারণ শিৰার্থীদের খুব একটা সাড়া পায়নি। একেবারেই ঢিলেঢালাভাবে পালিত হয়েছে ছাত্রদলের ডাকা প্রথমদিনের ধর্মঘট।
প্রায় সবকিছুই ছিল স্বাভাবিক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীৰা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব কাস না হলেও বেশ কিছু কাসে অংশ নিয়েছে শিৰার্থীরা। বৃহস্পতিবারও যথারীতি কাস-পরীৰা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপৰ। শিৰার্থীরা কাস করতে এলেও বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাদা দলের শিৰকরা কাসে আসেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদল নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে এ ধর্মঘট ডেকেছে বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট বলেছে, উপাচার্যের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পৰে সাৰাতকার প্রসঙ্গে ছাত্রদল সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
এদিকে সোমবারের সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা তদনত্মে ৮ সদস্যের তদনত্ম কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। অপরদিকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ৮ নেতাসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনের বিরম্নদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ধর্মঘটের সমর্থনে ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী সকালে ক্যাম্পাসে এক দফা মিছিল সমাবেশ করলেও দ্বিতীয় দফায় বহিরাগত, অছাত্রদের নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি টুকু সমর্থকরা। মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র না থাকায় পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। অন্যদিকে ছাত্রদলের অস্ত্রবাজি ও ধর্মঘটের বিপৰে ক্যাম্পাসে সাধারণ শিৰার্থী, ছাত্রলীগ ও জাসদ ছাত্রলীগ মিছিল সমাবেশ করে।
ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিতে ত্যাগী কিছু নেতার বাদ পড়া নিয়ে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত ও মূল কমিটিতে পদপ্রাপ্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে গোলাগুলি, ককটেল নিৰেপ, সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ায় সোমবার রণৰেত্রে পরিণত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সংঘর্ষে ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিদ্রোহী গ্রম্নপের নেতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ খান পারভেজসহ উভয় পৰের প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কে এম সাইফুল ইসলাম, রমনা জোনের এসি (পেট্রোল) আহাদ, শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিমসহ ৫-৭ পুলিশ। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পৰের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ রাউন্ড গুলিবিনিময় হয়। বিস্ফোরণ ঘটে ৩০ থেকে ৩৫ ককটেলবোমার। এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগকে দায়ী করে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই দিনের ধর্মঘটের ডাক দেয় ছাত্রদল।
ছাত্রদলের ডাকা ধর্মঘটের প্রথমদিন মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র ছিল স্বাভাবিক। তবে সকাল থেকে প্রতিকূল আবহাওয়া ও ছাত্রদলের অস্ত্রবাজিতে আতঙ্ক ছড়ানোয় শিৰার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। আর মোতায়েন করা হয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশ। এ ছাড়া সব পরীৰা ও অনেক কাস হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীৰা নিয়ন্ত্রক বাহলুল হক চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার কলাভবন ও কার্জন হলে বিভিন্ন বর্ষের পূর্ব ঘোষিত ৭টি পরীৰা ছিল। কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই সব পরীৰা হয়েছে। সকল পরীৰার্থীই পরীৰায় অংশ নিয়েছে। সকালে সরেজমিনে কলাভবন ঘুরে বিভিন্ন বিভাগের শিৰার্থীদের কাস করতে দেখা গেছে। তবে সব কাস অনুষ্ঠিত হয়নি। অনেক শিৰার্থী অভিযোগ করেছে, তারা কাস করতে এলেও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিৰকরা কাসে আসেননি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, যদি এ ঘটনা সত্য হয় তাহলে তা খুব দুঃখজনক। শিৰকের প্রথম পরিচয় তিনি শিৰক। শিৰার্থীরা এলে কাস না নেয়ার যৌক্তিক অধিকার কোন শিৰকের নেই।
শিৰার্থীদের অনেকেই ছাত্রদলের ডাকা ধর্মঘটকে 'অযৌক্তিক' আখ্যা দিয়ে ৰোভ প্রকাশ করেছে। সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র তুহিন অধিকারী জনকণ্ঠকে জানায়, নিজেরা নিজেরা মারামারি করে ছাত্রদল ধর্মঘট ডেকেছে। এটি অযৌক্তিক, হাস্যকর। এমএসএসের শিৰার্থী নাজমুল আলম ৰোভ প্রকাশ করে জানায়, নিজেদের কোন্দলের কারণে হাজার হাজার শিৰার্থীকে জিম্মি করার কোন অধিকার ছাত্রদলের নেই। কারণ ছাত্রদল নেতাদের বেশিরভাগই অছাত্র।
ধর্মঘটের প্রতিবাদে 'সাধারণ শিৰার্থী'র ব্যানারে শতাধিক শিৰার্থী সকালে ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ করে। অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশে শিৰার্থীরা বলে, ছাত্রদল নিজেরা গোলাগুলি করে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করেছে। আবার তারাই ধর্মঘট ডেকেছে। তাদের এ অযৌক্তিক ধর্মঘট ছাত্রসমাজ মানে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰার পরিবেশ নষ্ট করার যে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র শিৰার্থীরা সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করবে। সমাবেশে বঙ্গবন্ধু হলের নয়ন, এসএম হলের নাহিদ, জসীম উদ্দীন হলের মামুন বক্তব্য রাখে।
উপাচার্যের সংবাদ সম্মেলন বেলা একটায় প্রশাসনিক ভবনে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবির প্রশ্নে অধ্যাপক আরেফিন বলেন, যেহেতু এটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যে কেউ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ চাইতে পারে। কিন্তু যে কারণে পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে সেখানে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে ছাত্রদল।
ছাত্রদল বলেছিল সোমবার তাদের উপাচার্যের সঙ্গে সাৰাতের কর্মসূচী ছিল। এ সময় তিনি বলেন, ছাত্রদল সত্যের অপলাপ করেছে। উপাচার্যের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দেখা করার কোন কর্মসূচী উপাচার্যের সময়সূচীতে ছিল না। তিনি বলেন, রবিবার মধ্যরাতে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ফোন করে জানান, সকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আপনার সঙ্গে দেখা করতে চায়। আমি তাকে ছাত্রদলের অনত্মর্কোন্দল মিটিয়ে নিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিঘি্নত হয় এমন কিছু না করতে বলি। এরপর সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় এ্যানি আবার ফোন করেন। উপাচার্য বলেন, এখন মনে হচ্ছে এটি পূর্বপরিকল্পিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার জন্য এ সব করা হয়েছে।
তদনত্ম কমিটি গঠন সোমবারের সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনা তদনত্মে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যকে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্যের তদনত্ম কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরম্নরী সিন্ডিকেট সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, উপাচার্যের সঙ্গে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের পৰে সাৰাতকার প্রসঙ্গে ছাত্রদল কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তদনত্ম কমিটির সদস্য সচিব হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান। অন্য সদস্যরা হলেন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক সদরম্নল আমিন, অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক তাজমেরী এসএ ইসলাম, অধ্যাপক রহমত উলস্নাহ এবং সিন্ডিকেট সদস্য বাহলুল মজনুন।
শাহবাগ থানায় মামলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবারের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের আট নেতাকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। শাহবাগ থানায় মঙ্গলবার দায়ের করা এ মামলার আসামিদের মধ্যে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিরম্নল ইসলাম আলিমসহ ৮ কেন্দ্রীয় নেতার নাম রয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক মামলা দায়েরের কথা দুপুরে সাংবাদিকদের জানান। মামলায় আটজনের নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩শ' জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন। মামলায় নাম উলেস্নখ করা বাকি সাত আসামি হলো ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক আমিরম্নজ্জামান খান শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান পলাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুল ইসলাম টিটু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ মুন্না এবং সমাজসেবা সম্পাদক মাহবুবুল আলম আজম।
ছাত্রদলের মিছিল সমাবেশ ধর্মঘটের সমর্থনে সকাল আটটার দিকে বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে শাহবাগ থেকে টিএসসি পর্যনত্ম বিৰোভ মিছিল করে ছাত্রদল। টিএসসিতে আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তারা ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানায়। এরপর তারা আবারও মিছিল নিয়ে শাহবাগ হয়ে বেরিয়ে যায়।
এর কিছুৰণ পর আবার মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে শাহবাগে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এর আগেই পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে আগতদের চেকপোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র দেখা শুরম্ন করে। এ সময় ছাত্রদলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় তাদের ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে প্রত্যৰদর্শীরা।
ছাত্রলীগের মিছিল সমাবেশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সশস্ত্র সন্ত্রাস ও ধর্মঘটের প্রতিবাদে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে ক্যাম্পাসে বিৰোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ছাত্রলীগ। মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রলীগের শত শত নেতাকর্মী বিৰোভ মিছিল বের করে। মিছিলে ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে 'জঙ্গী' আখ্যা দিয়ে তার বিরম্নদ্ধে সেস্নাগান দিতে দেখা যায়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদৰিণ শেষে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ছাত্রদলের অভ্যনত্মরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, অস্ত্রবাজি করতে হলে পল্টনে যান। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস বা শিৰাঙ্গনে অস্ত্রবাজি চলবে না। ছাত্রলীগ এর বিরম্নদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রদল ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন গ্রম্নপে বিভক্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়ে এখন ছাত্রলীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহেল রানা টিপু, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সাকিব বাদশা বক্তব্য রাখেন।
জাসদ ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সশস্ত্র সন্ত্রাস ও নারকীয় তা-বের প্রতিবাদে বিৰোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জাসদ ছাত্রলীগ বেলা সাড়ে বারোটায় মধুর ক্যান্টিন থেকে বিৰোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে কলাভবনের মূল ফটকের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সংগঠনের সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফসির, সাধারণ সম্পাদক সামছুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন বেলা চারটার দিকে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ। ছাত্রদলের এ সশস্ত্র সংঘর্ষের প্রতিবাদে ২১ জানুয়ারি দেশের সকল শিৰা প্রতিষ্ঠানে মিছিল সমাবেশ কর্মসূচী ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, ছাত্রলীগ শিৰা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের মহড়া নৈরাজ্য মেনে নেবে না। একদিকে অস্ত্র-অর্থ তুলে দিয়ে ছাত্ররাজনীতি নষ্ট করে অন্যদিকে দায়ভার অন্যদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে বিএনপি ও ছাত্রদল । ছাত্রসমাজ এটি মেনে নেবে না। ছাত্রলীগকে দায়ী করা প্রশ্নে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন বলেন, ছাত্রলীগ কোনভাবেই ওই সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে তারা বিভিন্ন গ্রম্নপে বিভক্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন তারা এর দায়ভার ছাত্রলীগের কাঁধে চাপাতে চাইছে।

No comments

Powered by Blogger.