কুরিয়ার সার্ভিসের বৈধতা দিয়ে পোস্ট অফিস বিল পাস

সংসদ রিপোর্টার বেসরকারী কুরিয়ার সার্ভিসকে বৈধতা দিয়ে সংসদে পাস হয়েছে 'পোস্ট অফিস বিল-২০০৯।' এর ফলে ডাক বিভাগের পাশাপাশি অন্যান্য লাইসেন্সধারী কুরিয়ার সার্ভিসের চিঠিপত্র পরিবহনসহ সব ধরনের ডাক সেবা বৈধতা পাচ্ছে।
তবে অনিয়মের জন্য ৫০ হাজার টাকা থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে আইনে। এ ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিলের রিপোর্ট সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। স্পীকার এ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে সোমবার সংসদ অধিবেশনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বিলটি পাসের প্রসত্মাব উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। বিরোধী দলহীন সংসদে একমাত্র স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফজলুল আজিম বিলটি জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রসত্মাব উত্থাপন করলে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে ফজলুল আজিমের বিলের কয়েকটি ধারায় আনা সংশোধনী গৃহীত হয়।
এর আগে দীর্ঘ এক শ' বছর আগের এ সংক্রানত্ম আইনটি পরিবর্তনের জন্য গত ৪ নবেম্বর সংসদে বিল উত্থাপন করা হলে তা পরীৰা-নিরীৰার জন্য সংশিস্নষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিলটি পাস করা হয়েছে।
নতুন এই আইনে ডাক বিভাগের নিরঙ্কুশ অধিকারকে পরিবর্তন এবং কুরিয়ার সার্ভিসকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। আইনটি কার্যকর হলে ডাক বিভাগের পাশাপাশি অন্যান্য লাইসেন্সধারী কুরিয়ার সার্ভিস চিঠিপত্র পরিবহনসহ অন্যান্য কিছু ডাক সেবা দিতে পারবে। ফি গ্রহণের মাধ্যমে ডাক বিভাগও নতুন নতুন সার্ভিস গ্রহণ করতে পারবে। এ ছাড়া আইনে কুরিয়ার সার্ভিসের লাইসেন্সপ্রাপ্তির শর্ত, লাইসেন্স বাতিল ও লাইসেন্স প্রদানকারী কর্তৃপ গঠনের বিধান রাখা হয়েছে।
পাসকৃত বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ১৮৯৭ সালের পোস্ট অফিস আইনের ৪ ধারায় ডাক বিভাগের একক অধিকার সংরণ করা হয়েছে এবং সেই ধারা লঙ্ঘন করার জন্য ৫৮ ধারায় শাসত্মির বিধান রাখা হয়েছে। বর্তমানে এই ধারা দু'টির প্রয়োগ নেই। সেই সঙ্গে কুরিয়ার সার্ভিসের জন্য কোন নীতিমালা নেই। সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যমান আইনে সংশোধনীর জন্য নতুন বিল আনা হয়েছে।
এর আগে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত 'জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিল-২০০৯' পরীৰা-নিরীৰা শেষে সংসদে রিপোর্ট উত্থাপন করেন। রিপোর্টে কমিটির সুপারিশসহ বিলটি পাসের অনুরোধ জানানো হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তৈরি করা জাতীয় পরিচয়পত্রের বৈধতা দিতে জাতীয় সংসদে ২৮ অক্টোবর বিলটি উত্থাপন করা হয়।
বিলের প্রসত্মাবনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ন ও সংরণ হবে। জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ হবে 'প্রদানের তারিখ থেকে পনেরো বছর।' এই বিলে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সময় মিথ্যা তথ্য দিলে এক বছর এবং পরিচয়পত্র জাল করলে সাত বছর কারাদ-ের বিধান রাখা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.