ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চেয়েছিল ছাত্রদল- জড়ো করা হয়েছিল ভাড়াটে সন্ত্রাসী

ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলত  নিজেদের অভ্যনত্মরীণ কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আরও বড় ধরনের অঘটন ঘটানোর মাধ্যমে ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চেয়েছিল ছাত্রদল।
এজন্য সোমবার তারা ক্যাম্পাসে নিয়ে এসেছিল অনেক ভাড়াটে সন্ত্রাসী। তবে সংগঠনটির একটি অংশের পুরোপুরি সমর্থন না থাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের শক্ত অবস্থানের কারণে শেষ পর্যনত্ম পুরো পরিকল্পনা বাসত্মবায়ন করতে পারেননি ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু।
ভাড়াটে এসব সন্ত্রাসী যাদের সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে সংঘর্ষ করতে দেখা গেছে, তাদের খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু এখন পর্যনত্ম কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। শাহবাগ থানা ও দলীয় সূত্র জানায়, সোমবারের সশস্ত্র সংঘর্ষে ছাত্রদলের দুই গ্রম্নপের ১০ থেকে ১৫ সশস্ত্র ভাড়াটে ক্যাডার অংশ নিয়েছিল। টিভি ফুটেজ ও ছবি দেখে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সংশিস্নষ্ট সূত্র জানায়, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে সোমবারের সশস্ত্র সংঘর্ষে টুকুর পৰ হয়ে ক্যাম্পাসে এসেছিল টেরর শাহাদাতের প্রধান সহযোগী মিরপুরের শাহাদাত, টপ কিলার আব্বাসের বন্ধু পাপেল, উত্তরার একটি টোকাই বাহিনী, পুরনো ঢাকার হামিদের কয়েক ক্যাডার এবং শতাধিক মামলার আসামি মহানগর ছাত্রদল নেতা বোমাবাজ হিসেবে পরিচিত ইসহাক সরকার ও তার এক বন্ধু। একইভাবে ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের হয়েও কয়েক বহিরাগত সশস্ত্র ক্যাডার এসেছিল।
ছাত্রদলের ঘনিষ্ঠ কয়েকটি সূত্র জানায়, সুলতান টুকু বেশ কয়েকদিন ধরে নগরীর কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পরিকল্পনা ছিল বিদ্রোহীদের সাথে তাদের কোন্দলকে কাজে লাগিয়ে ক্যাম্পাসে বড় ধরনের কোন অঘটন ঘটানোর মাধ্যমে ক্যাম্পাসের স্থিতিশীলতা নষ্ট করা। কিন্তু তার এ পরিকল্পনার সাথে একমত ছিল না সংগঠনের ভেতরেরই একটি অংশ। তারা প্রথম থেকেই এর বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু টুকু পরিকল্পনা বাসত্মবায়নে ছিলেন বদ্ধপরিকর। অনেকটা জেদের বশেই তিনি সোমবার ক্যাম্পাসে আসেন পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে। কিন্তু সেদিন ছাত্রদলের একটি অংশ তাদের সঙ্গে যোগ দেয়নি, যারা প্রথম থেকে এ পরিকল্পনার বিরোধী ছিল। যারা এসেছিল তাদের ভেতরেরও একটি অংশ কিছুটা পিছিয়ে যায়। সোমবার যখন সংঘর্ষ ও গোলাগুলি শুরম্ন হয় দু'গ্রম্নপের মধ্যখানে পুলিশ চলে আসায় পরিকল্পনা ভেসত্মে যেতে শুরম্ন করে। বিশেষত পুলিশ প্রথম অবস্থায় বিদ্রোহীদেরই দমন করেছিল। দাঁড়িয়েছিল টুকুর নেতাকর্মী ক্যাডারদের খুব কাছাকাছি। এ সময় পালিয়ে যায় কয়েক চিহ্নিত ক্যাডার।
যেসব বহিরাগত ভাড়াটে ক্যাডার তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। মহানগর ডিএমপি কমিশনার শহীদুল হক জানান, পত্রপত্রিকায় অস্ত্রসহ যেসব সন্ত্রাসীর ছবি ছাপা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাদের অচিরেই গ্রেফতার করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.