জাতিসংঘে প্রস্তাব পাসে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন চায় ফিলিস্তিন

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ 'অবৈধ ও শান্তির পথে বাধা'_জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) মাধ্যমে এ রকম প্রস্তাব পাসের নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে ফিলিস্তিন। ইউএনএসসিতে ভেটো ক্ষমতা থাকায় এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন প্রয়োজন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলছেন, 'মূলত আমাদের অবস্থানের পক্ষে ওয়াশিংটনের সমর্থন আদায়ের জন্য জাতিসংঘের মাধ্যমে এ প্রস্তাব পাস করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ওয়াশিংটন এ প্রস্তাবে সমর্থন করে না। তবে প্রস্তাবটি উত্থাপিত হলে এতে ভেটো দেওয়া বা ভোটদানে বিরত থাকবে কি না সে ব্যাপারে ওয়াশিংটন স্পষ্ট কিছু বলেনি। আর ইসরায়েল বলছে, আলোচনা এড়িয়ে যেতে এটা ফিলিস্তিনিদের একটি কৌশল মাত্র।
আব্বাস বৃহস্পতিবার ব্রাসিলিয়ায় প্রবাসী ফিলিস্তিনি ও আরব কূটনীতিকদের বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন যে ভাষায় বসতি নির্মাণ বিষয়ে ইসরায়েলের সামলোচনা করেছেন, আমরা সেভাবেই খসড়াটি চূড়ান্ত করছি। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ার কোনো কারণ দেখছি না।'
ফিলিস্তিনের নেতারা জানিয়েছেন, গেল বছরের মতো এ বছরও তারা স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পক্ষে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন। বিদায়ী বছরে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার প্রভাবশালী কয়েকটি দেশ স্বীকৃতি দেয়।
ইসরায়েলের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল বলেছেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ায় এখনো সর্বোত্তম পন্থা হচ্ছে সরাসরি আলোচনা। তিনি আব্বাসের নতুন শান্তি পরিকল্পনার আহ্বানকে 'অপরিণত' উল্লেখ করে তা বাতিল করে দেন। তবে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাহার আজরামি ওই কর্মকর্তার বক্তব্য নকচ করে দিয়েছেন। আব্বাস গত শুক্রবার নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় জড়িত চার পক্ষ জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
'যুদ্ধাপরাধ' :
ইসরায়েলি সেনাদের ছোড়া টিয়ার শেলের আঘাতে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ফিলিস্তিন এ ঘটনাকে 'যুদ্ধাপরাধ' উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে। পশ্চিম তীরে একটি বিক্ষোভ মিছিলে ইসরায়েলি সেনারা টিয়ার শেল ছুড়লে জাওয়াহের আবু রাহমা শুক্রবার নিহত হন। সূত্র : এপি ও এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.