প্রধানমন্ত্রীর বিয়ে আটকে দিলেন আদালত

বিয়ের পিঁড়িতে বসার পরিকল্পনা করেছিলেন জিম্বাবুয়ের প্রধানমন্ত্রী মর্গান সাভাংগিরাই; কিন্তু বাদ সাধলেন তাঁর সাবেক প্রেমিকা লোকারদিয়া কারিমাতসেঙ্গা ওরফে টেম্বো। তাঁর দাবি, সাভাংগিরাই ও তিনি এখনো বৈধ স্বামী-স্ত্রী। এ অবস্থায় আদালত গত শুক্রবার সাভাংগিরাইয়ের বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।
টেম্বোর আইনজীবী এভারসন স্যামকাঙ্গে এ কথা জানান।
স্যামকাঙ্গে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীকে বিয়ের জন্য যে অনুমতি (লাইসেন্স) দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করেছেন আদালত। প্রচলিত আইন অনুযায়ী সাভাংগিরাই ও টেম্বোর বিয়ে টিকে আছে। যদি সাভাংগিরাই এর পরও বিয়ে করেন তবে একসঙ্গে দুই বিয়ের জন্য দোষী সাব্যস্ত হবেন।'
চলতি সপ্তাহান্তে ৩৫ বছর বয়সী এলিজাবেথ মাচেকার সঙ্গে ৬০ বছরের সাভাংগিরাইয়ের বিয়ের কথা ছিল। সাভাংগিরাইয়ের মুখপাত্র লিউক তামবোরিনিয়োকা এর সত্যতা স্বীকার করে জানান, তাঁরা এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
গত বৃহস্পতিবার আরেক নারীও সাভাংগিরাইয়ের বিয়ে বাতিলের জন্য আবেদন করেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক ওই নারীর নাম নোসিফো রেজিনা শিলুবানে। তিনি আদালতে দাবি করেন, সাভাংগিরাইয়ের সঙ্গে তিনি সিঙ্গাপুরে অবকাশ যাপন করেছেন। সাভাংগিরাই তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে আদালত তাঁর আবেদন খারিজ করে দেন।
স্যামকাঙ্গে জানান, টেম্বো গত বুধবার প্রথম আবেদন করেছিলেন। তবে বিয়ের সপক্ষে যথাযথ তথ্যপ্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন তিনি। পরে তাঁদের বিয়ের প্রমাণ হিসেবে ভিডিওচিত্র আদালতে পেশ করেন টেম্বো। এর পর আদালত বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন।
সাভাংগিরাইয়ের মুখপাত্রের দাবি, গত বছরের নভেম্বরে টেম্বোর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটেছে সাভাংগিরাইয়ের। এর পর থেকে তিনি মাচেকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
সাভাংগিরাইয়ের প্রথম স্ত্রী ৩১ বছর বয়সী সুসান ২০০৯ সালের মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এ সময় থেকেই বর্ণাঢ্য জীবনযাপনকারী সাভাংগিরাইয়ের সঙ্গে একাধিক নারীর সম্পর্কের কথা বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ঝড় তোলে। সূত্র : এএফপি, আল-জাজিরা।

No comments

Powered by Blogger.