খবর- চট্টগ্রাম ইপিজেডে সংঘর্ষে নিহত ৪

ন্যূনতম মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন নিয়ে বিক্ষোভের জের ধরে চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় (সিইপিজেড) শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে হার্ট অ্যাটাকে (হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে) মৃত্যু হয়েছে এক পথচারীর। তাঁর নাম রুহি দাশ (৪৫)। গতকাল রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক ব্যক্তি।
তাঁদের মধ্যে ছয় পুলিশ সদস্যসহ ২২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উত্তেজিত শ্রমিকরা ১৪টি গার্মেন্ট কারখানা ও ৫০টির বেশি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোট ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করে। আহত শ্রমিকদের একটি বড় অংশ গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
গুলিতে নিহত তিনজনের মধ্যে আরিফুল ইসলাম (২২) নামের এক রিকশাচালকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর বাড়ি দিনাজপুরে। লাশগুলো চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষের জের ধরে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড ও বিমানবন্দর সড়ক, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এবং ফতুল্লায়ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে গতকাল।
চট্টগ্রামে সংঘর্ষের সময় পুলিশের সহকারী কমিশনার (গোয়েন্দা) হাছান চৌধুরীও গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া শ্রমিকদের হামলায় দৈনিক সংবাদের চট্টগ্রাম ব্যুরোপ্রধান হাসান ফেরদৌস ও ইনকিলাবের ফটো সাংবাদিক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী আহত হন।
সংঘর্ষে তিনজনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই শ্রমিকদের একক কাজ নয়। এতে তৃতীয় কোনো পক্ষের ইন্ধন রয়েছে বলে আমরা সন্দেহ করছি। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যই তারা এ কাজ করেছে। যেভাবে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়েছে, তা শ্রমিকদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। শ্রমিকরা আন্দোলন করছে সিইপিজেডের ভেতরে। সেই আন্দোলন কিভাবে সিমেন্ট ক্রসিং ও সল্টগোলা ক্রসিং পর্যন্ত ছড়াল, তাও আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
সংঘর্ষ থামাতে পুলিশের পক্ষ থেকে শটগানের ৫২৬টি গুলি, কাঁদানে গ্যাসের ৯৫টি শেল এবং চায়নিজ রাইফেলের ২৬টি গুলি ছোড়ার কথা স্বীকার করেছেন কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম অফিস, নারায়ণগঞ্জ, রূপগঞ্জ ও সাভার প্রতিনিধির পাঠানো খবর।
সিইপিজেড রণক্ষেত্র : বেপজায় নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে বিদ্যমান বেশ কিছু সুবিধা বাতিল করে দেওয়ায় এবং পুরনো শ্রমিকদের বেতন তুলনামূলকভাবে কম বাড়ানোয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গত শনিবার সিইপিজেডের ইয়ংওয়ান কম্পানির গার্মেন্টে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ ইয়ংওয়ানের কারখানা বন্ধ করে দেয়। গতকাল সকালে ওই কম্পানির প্রায় দুই হাজার শ্রমিক ইপিজিডের ভেতরে মিছিল শুরু করে এবং চালু গার্মেন্টগুলোতে ছুটি ঘোষণার জন্য ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় পুলিশ ও বেপজা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ইপিজেড থেকে বের করে দিলে তারা মূল সড়কে এসে তাণ্ডব শুরু করে।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে নবগঠিত শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পরিচালক রেজাউল মাসুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ইয়ংওয়ানের শ্রমিকরা ভাঙচুর শুরু করলে ইপিজেডের অন্যান্য গার্মেন্টের মালিকরাও কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। এ সময় বিভিন্ন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক সিইপিজেডের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেয় এবং ইট ও গাছের গুঁড়ি দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। ফলে বিমানবন্দরের মূল সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ প্রথমে লাঠিপেটা করে এবং পরে জলকামানের মাধ্যমে গরম পানি ছিটিয়ে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রমিকরা সংগঠিত হয়ে তিন দিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে শ্রমিকরা সিইপিজেডের ফটকে একটি বাস ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিস অফিসে রাখা র‌্যাব ও পুলিশের ১০টি গাড়ি তারা ভাঙচুর করে।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চায়নিজ রাইফেল থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করলে সিইপিজেডের ফটকে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ অবস্থায় শ্রমিকরা পিছু হটতে শুরু করে। দুপুর ১টার মধ্যে পুলিশ ও র‌্যাব পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। সোয়া ১টার দিকে রাস্তার দুই দিক থেকে আওয়ামী লীগের দুটি বিক্ষোভ মিছিল পুলিশ পাহারায় ইপিজেডের দিকে আসতে থাকলে শ্রমিকরা সেখান থেকে সরে যায়।
এদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি এম এ লতিফ মিছিল করে ইপিজেডের দিকে আসতে থাকলে সল্টগোলা ক্রসিংয়ের মোড়ে তিনি শ্রমিকদের হামলার মুখে পড়েন। পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হওয়ার পর ইপিজেডের ভেতরে আটকা পড়া শ্রমিকদের বের হয়ে আসার সুযোগ করে দেয় পুলিশ। আহত পুলিশ সদস্যদের অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাসে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সংঘর্ষে আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন সিএমপির উপকমিশনার (বন্দর) কুসুম দেওয়ান, সহকারী কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (সরবরাহ) মিজানুর রহমান, বন্দর থানার ওসি আবুল কালাম, শিল্প পুলিশের পরিদর্শক অংশু কুমার দেব, সার্জেন্ট মাহবুব ও হাসান, নায়েক এবাদুল হক, কনস্টেবল নুরুজ্জামান, মহিউদ্দিন, রাজন, রাসেল, ফারুক, সম্রাট ও জহুরুল ইসলাম। তাঁদের মধ্যে এসি ডিবি হাছান চৌধুরী ছাড়া বাকি সবাই শ্রমিকদের ইটের আঘাতে জখম হয়েছেন।
বেপজার বৈঠক : সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পরপরই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইপিজেডের সব শিল্প-কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। কারখানাগুলো আজ সোমবার আবার খুলে দেওয়ার কথা। এ জন্য গতকাল বেপজার চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জামিল আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সিইপিজেড এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে গতকাল দুপুর ১২টার ফ্লাইটে চট্টগ্রাম আসেন বেপজার চেয়ারম্যান। দুপুর আড়াইটায় সিইপিজেডের বেপজা কার্যালয়ে বৈঠকে বসে ইপিজেডের বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। স্থানীয় সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সিএমপির কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম, সিইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক এস এম আবদুর রশিদ প্রমুখ এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
তিন মামলায় আসামি তিন হাজার : চট্টগ্রামে শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিনটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল রাতে পুলিশের তিনজন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থানায় এসব মামলা করেন। হত্যা, দ্রুত বিচার ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা এসব মামলায় গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া ৩১ জনসহ অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় তিন হাজার শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে।
চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ কুড়িল বিশ্বরোড : রাজধানীর জোয়ার সাহারা এলাকায় নাসা গ্র“পের কিমিয়া কমপ্লেক্সের কিমিয়া গার্মেন্ট, সানসিড, ইডেন গার্মেন্টসহ আশপাশের কয়েকটি পোশাক কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক নতুন কাঠামোতে বেতনের দাবিতে গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বিমানবন্দর সড়ক ও বিশ্বরোড বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে এয়ারপোর্ট রোড থেকে বাড্ডামুখী বিশ্বরোডে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ তাদের উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অন্তত ৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
সকাল ১১টা পর্যন্ত অবরোধ ও সংঘর্ষে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক, বিমানবন্দর সড়কের র‌্যাডিসন হোটেল থেকে কুড়িল বিশ্বরোডের মোড় পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে কমপক্ষে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শ্রমিকরা পরে কিমিয়া কমপ্লেক্সে জড়ো হয়ে আবার বিক্ষোভ শুরু করে। সাড়ে ১১টার দিকে নাসা গ্র“পের পরিচালক খন্দকার সাইফুল আলমসহ দুই কর্মকর্তা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিকদের দাবি মেনে নিয়ে নতুন কাঠামোতে বেতন ও ওভারটাইম দেওয়ার ঘোষণা দেন।
গুলশান অঞ্চলের পুলিশের উপকমিশনার হাফিজ আকতার কালের কণ্ঠকে বলেন, শ্রমিকরা বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করে। তারা অনেক গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। পরে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে আলোচনায় মালিকপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা শান্ত হয়।
রূপগঞ্জে ফের সংঘর্ষ : কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় গতকাল ফের বিক্ষোভ করেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রবিন টেক্স গার্মেন্টের শ্রমিকরা। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে সাত-আটটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হলে পাঁচ পুলিশসহ ২৫ জন আহত হয়। গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি ফোরকান শিকদার জানান, গতকাল সকালে কারখানায় এসে বন্ধের নোটিশ দেখে শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা এক ঘণ্ট ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে সাত-আটটি যানবাহন ভাঙচুর করে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। শ্রমিকদের ইটপাটকেলের জবাবে নির্বিচারে লাঠিপেটা করে পুলিশ। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ২৫ জন আহত হয়।
রবিন টেক্স বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন মোল্লা জানান, শনিবারের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কারখানার যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যন্ত্রপাতি ও আসবাবপত্র মেরামত করে উৎপাদন শুরুর জন্য সময় প্রয়োজন। এ কারণেই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সাভার ও আশুলিয়ায় পাঁচ কারখানায় অসন্তোষ : সরকার ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো সংশোধনের দাবির কারণে সাভারে ঢাকা ইপিজেডের দুটি এবং আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের তিনটি পোশাক কারখানায় গতকাল শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিলে আশুলিয়ার দুটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ডিইপিজেডের হপলুন বিডি লিমিটেডের শ্রমিকরা সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর নতুন জোনের আলফা প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ, আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের মেডলার অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং জামগড়া এলাকার স্টারলিংক ক্রিয়েশন ও স্টারলিংক অ্যাপারেলসেও শুরু হয় অসন্তোষ। অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় স্টারলিংক ক্রিয়েশন ও স্টারলিংক অ্যাপারেলস লিমিটেডের কারখানায় এক দিনের ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
উদ্বেগ : দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষ এবং হতাহতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্ট অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশন, আইন ও সালিশ কেন্দ্র। গতকাল আলাদা বিবৃতির মাধ্যমে গার্মেন্ট শিল্পের সমস্যা সমাধান করে ন্যূনতম মজুরি কাঠামোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলো।
=============================
ড. ইউনূস : প্রতিটি বাংলাদেশির গৌরব  জলাভূমিবাসীদের দুনিয়ায় আবার..  আসুন, আমরা গর্বিত নাগরিক হই  স্মৃতির শহীদ মির্জা লেন  ইয়াংওয়ান গ্রুপের পোশাক কারখানা বন্ধ  ট্রানজিটে ১১ খাতের লাভ-ক্ষতির হিসাব শুরু  চট্টগ্রামের বনাঞ্চল ছাড়ছে হাতি  ট্রেন  স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি  মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের বিচার  মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশে দেশে  ক্ষমতা যেভাবে মানবাধিকার আর ন্যায়বিচারের পথ রুদ্ধ করে  চাক্কু মারা 'মশা' কাহিনী  উল্কির ভেলকি  এইচআইভি/এইডস্  উইকিলিকসঃ জুলিয়ান চে গুয়েভারা!  তিন কালের সাক্ষী  বাবর আলীর ইশকুল  এ মাটির মায়ায়  মধ্যবিত্তের উত্থান, না ভোক্তাশ্রেণীর উদ্ভব  হিমালয়ের পায়ের কাছেঃ গোধূলির ছায়াপথে  পতিত স্বৈরাচারের আস্ফালন ও আওয়ামী লীগের নীরবতা  ৪০ বছর পড়ে থাকা লাশটার সৎকার করতে চাই  এই কি আমাদের মানবাধিকার?  ঐতিহ্যের মধ্যে সমকাল  কেমন দেখতে চাইঃ ঢাকা আন্তর্জাতিক বইমেলা  দ্রীপ প্রতিভার দ্যুতিময় স্মারক  গল্প- বৃষ্টি  শহীদুল্লা কায়সারঃ রাজনৈতিক সৃষ্টিশীলতা  আনোয়ার পাশাঃ জাতিরাষ্ট্রের অংশ ও প্রেরণা  মুনীর চৌধুরীঃ তাঁর নাটক  জেগে ওঠার গল্প  এখন শুনবেন বিশ্ব-সংবাদ  বাঘ  বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১০  তাঁরা সমালোচিত, আমরা বিব্রত  মুজিবকে নিয়ে সিরাজের একমাত্র লেখা



দৈনিক কালের কন্ঠ এর সৌজন্যে

এই খবর'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.