সরকার জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো: কামরুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান সরকার জনগণকে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে সক্ষম হয়েছে। উত্তরবঙ্গে মঙ্গা নেই এবং দেশের কোথাও কেউ আর না খেয়ে মারা যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ‘ঝুঁকিভিত্তিক খাদ্য পরিদর্শন বিষয়ক তিন দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। নিরাপদ খাদ্য পাওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, এ জন্য শেখ হাসিনার সরকার নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠন করে সে কাজটিই করতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আগে ভেজাল খাদ্য চিহ্নিত করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা পৃথকভাবে কাজ করতো। এখন সরকারের সব মন্ত্রণালয়, সংন্থা ও অধিদফতর সমন্বিতভাবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অধীনে কাজ কর‡ব। কামরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য উৎপাদনকারী অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান অতি মুনাফার লোভে ভেজাল খাদ্য উৎপাদন করে জনগণকে ধোকা দিচ্ছে। তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। জনগণকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার কথাটি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলো যেভাবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন তদারকি করে শেখ হাসিনার সরকারও সে টার্গেট নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য নানা বিধিমালা, প্রবিধিমালা, ভ্রাম্যমান ল্যাবসহ আটটি বিভাগে স্থায়ী ল্যাব নির্মাণ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এমডিজি’র মতো এসডিজি’র গোলগুলোও সফলতার সাথে বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে সরকার এখন থেকেই নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কঠোর হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আর সে লক্ষ্যেই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টরদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক বলেন, আজ থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ কর্মশালায় প্রায় দেড় শ’ ইন্সপেক্টর অংশ নিচ্ছেন। এ মাসের ২৭ থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত আরেকটি এবং এপ্রিলে আরো দুটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর এ ইন্সপেক্টরগণ মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ইন্সপেক্টরদের কাজ হবে জনগণসহ পণ্য উৎপাদনকারী ও বিক্রয়কারীদের সচেতন করা। পরবর্তীতে তারাই আবার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে মামলাসহ শাস্তি প্রয়োগেও কাজ করবে। খাদ্য ভবনে জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য সচিব মো: কায়কোবাদ হোসেন, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হাসান এবং জাতিসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডেভিড ডোলান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।
সূত্র : বাসস

No comments

Powered by Blogger.