সীতাকুণ্ডে দুই জঙ্গির লাশ বেওয়ারিশ দাফন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অভিযানে নিহত দুই জঙ্গিসহ এক শিশুর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার চৈতন্যগলি কবরস্থানে ওই তিনজনকে দাফন করা হয়। পুলিশ জানায়, পরিবারের সদস্যরা তাদের লাশ শনাক্ত করলেও নিতে রাজি হয়নি। তাই আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দুই জঙ্গিসহ এক শিশুর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, সোমবার তিনজনের লাশ পরিবার নেবে না বলে জানায়। এরপর লাশ তিনটি দাফনের জন্য আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ তিনটি দাফন করেছে। ১৬ মার্চ সীতাকুণ্ডের লামার বাজার সাধন কুঠির থেকে গ্রেফতার হয় জহিরুল ইসলাম ওরফে জসিম ও তার স্ত্রী আরজিনা। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ প্রেমতলার ছায়ানীড়ে অভিযান চালায়। সেখানে ১৯ ঘণ্টার অভিযানের সময় গুলি ও আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় জঙ্গি দম্পতি কামাল-জোবাইদা ও তাদের শিশু সন্তান। একই অভিযানে ঢাকা থেকে নিখোঁজ দুই খালাতো ভাই রাফাদ আল হাসান ও আয়াদ আল হাসানও নিহত হয়। ওই অভিযানে নিহত দুই জঙ্গি জোবাইরা ইয়াছমিন ও তার স্বামী কামাল হোসেন এবং তাদের শিশুসন্তানের লাশ সোমবার না নেয়ার কথা জানিয়ে দেয় তাদের পরিবার। এরপর পুলিশ সোমবার রাতে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দুই জঙ্গিসহ এক শিশুর লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করে। এদিকে সীতাকুণ্ডের জঙ্গি আস্তানা ‘ছায়ানীড়’ থেকে চার দিনের অভিযানে উদ্ধার করা ৩৯টি বোমা, গ্রেনেড ও সুইসাইড ভেস্ট নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় এক ব্রিফিংয়ে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার রেজাউল মাসুদ এ তথ্য জানান। বিকালে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট সর্বশেষ বোমাটি নিষ্ক্রিয় করে ফিরে আসে। এর পর সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বাড়ি থেকে আলামত সংগ্রহ করে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা ফিরে এলেও ‘ছায়ানীড়’ পাহারায় রয়েছে পুলিশ।

No comments

Powered by Blogger.