ইছালে সওয়াবের মাহফিলে নারীদের নৃত্য!

মৌলভীবাজারে ইছালে সওয়াবের মাহফিলে নারী শিল্পীদের অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করা হয়েছে। রোববার রাত ১২টার দিকে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দক্ষিণ নিতেশ্বর গ্রামের তথাকথিত পীর শাহ বশির মিয়ার বাড়ির আস্তানার পাশে বশিরের অনুসারী সালেহা বেগমের উঠোনে এ ইছালে সওয়াব মাহফিলের (বার্ষিক উরস) আয়োজন করা হয়। মূল উরসের পাশে আরো দুটি আসর বসে। স্থানীয়ভাবে এগুলোকে কাফেলা বলা হয়। এই আস্তানার পাশেই রয়েছে নিতেশ্বর দক্ষিণ জামে মসজিদ। আল্লাহ ও রাসূলের (স) নাম দিয়ে উরস শুরু হলেও রাত ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে স্টেজে পালাক্রমে উঠতি বয়সী ভাড়াটিয়া সুন্দরী তরুণীদের আগমন ঘটে। তারা শুরুতে বিভিন্ন মারফতি ও বাউল গান গাইলেও রাত বারোটার পরেই পাল্টে যায় চিত্র। এসময় কোমর দুলিয়ে যৌন উত্তেজনামূলক নানা গান পরিবেশন করে। ওই উরসে পৃথক ৩টি কাফেলায় রাত দেড়টা পর্যন্ত ৬জন তরুণী নৃত্য পরিবেশন করে। এছাড়াও মঞ্চে লাগানো ব্যানারে আয়োজক কমিটির সদস্যদের ছবিসহ নাম টানানো ছিল।
এর মধ্যে উজ্জ্বল আহমদ রানা, কামাল মিয়া, বশির মিয়া, আফজল মিয়া, সালেহা বেগম, আল আমিন, নূরুল আমিন ও তোতা মিয়া প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। স্থানীয়রা জানান, রাত ৩টার পর হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন চা বাগান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থেকে আনা সুন্দরী নারীদের দিয়ে সুরক্ষিত একটি ঘরে নৃত্য পরিবেশন ও পুরুষদের মনোরঞ্জনও করানো হয়। নিতেশ্বর গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মজনু মিয়া বলেন, কালা শাহ, শাহ গাজী ও গাছপীর সাহেবের মত ওলিদের মাজার ও আস্তানা কেন্দ্রিক যে ঢোল-ঢপকি ও গান বাজনা আয়োজন করা হয় তা সত্য। আমি তার সম্পূর্ণ বিরোধী। স্থানীয় মেম্বার শেখ কাশেম আলী মেয়ে-ছেলে মিলে গান বাজনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার এলাকার প্রতি মেলাতে গান-বাজনা হয়। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, ওই উরসে অশ্লীল নৃত্য হয়েছে এরকম কিছু আমার জানা নেই।

No comments

Powered by Blogger.