টিস্যু চুরি ঠেকাতে টয়লেটে ক্যামেরা!

টয়লেট টিস্যুর অতিরিক্ত ব্যবহার ও চুরি ঠেকাতে পাবলিক টয়লেটে ক্যামেরা বসিয়েছে চীনের একটি পার্ক কর্তৃপক্ষ। এর জন্য ফেসিয়াল স্ক্যানার নামের বিশেষ একটি যন্ত্র বসিয়েছে তারা। প্রত্যেকের জন্য নির্দিষ্ট ৬০ সেন্টিমিটার টয়লেট টিস্যু রোল থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেরিয়ে আসার আগে ব্যবহারকারীর মুখমণ্ডল স্ক্যান করা হয়। ওই ব্যক্তিকে আরও টয়লেট পেপার পেতে হলে নয় থেকে দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। খবর বিবিসির। বেইজিংয়ের টেম্পল অব হেভেন পার্কে এই মেশিন বসানো হয়েছে। অনেকে বলছেন, এখানে এসে অনেকে টয়লেট টিস্যু ব্যবহারের পর রোল থেকে অতিরিক্ত টিস্যু বের করে বাসায় নিয়ে যায়। পরীক্ষামূলকভাবে পার্কে ছয়টি মেশিন বসানো হয়েছে। এর ব্যবহার সম্পর্কে সম্যক ধারণা দিতে টয়লেটের পাশে সবসময়ই পার্ক কর্তৃপক্ষের স্টাফরা থাকে। বেইজিং ওয়ানবো পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এক কর্মকর্তা বলেন, যদি কারো ডায়রিয়া বা অন্য কোনো কারণে জরুরিভিত্তিতে টয়লেট পেপাল লাগে তাহলে মেশিনের কাছে দাঁড়ানো স্টাফরা সরাসরিই তা সরবরাহ করেন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনা গণমাধ্যমে খবর বের হয়, ওই পার্কের টয়লেট থেকে মানুষ বিপুল পরিমাণ টয়লেট পেপার চুরি করছে, এমনকি অনেককে ব্যাগে ভরতেও দেখা যাচ্ছে। এরপরই মূলত কর্তৃপক্ষ পরীক্ষামূলকভাবে এই ব্যবস্থা নিয়েছে। অবশ্য ২০০৭ সাল থেকে বিনামূল্যে টয়লেট টিস্যু সরবরাহ শুরু করার পর থেকেই এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে পার্ক কর্তৃপক্ষ। টয়লেট টিস্যু ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে পোস্টার, সচেতনতামূলক সমম্প্রচার করেও কোনো লাভ হয়নি। তবে নতুন এই ব্যবস্থাতে ফল পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করছে কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যে টয়লেট টিস্যু ব্যবহার ২০ শতাংশ কমে গেছে। অবশ্য কিছু সমস্যার কথাও শোনা যাচ্ছে। মুখমণ্ডল স্ক্যান করতে ১০ থেকে ৩০ সেকেন্ড কখনো কখনো এক মিনিট পর্যন্ত সময় লাগে, ফলে বাইরে লম্বা লাইন পড়ে যায়। তা ছাড়া এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি মেশিন বিকল হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের এই ব্যবস্থা চীনের সামাজিক মাধ্যমেও ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.