রাজধানীতে পুলিশের গুলিতে শিবির নেতা নিহত

রাজধানীর মিরপুর বেরিবাঁধ এলাকায় পুলিশের গুলিতে এমদাদ উল্লাহ (২২) নামে এক শিবির নেতা নিহত হয়েছেন। তবে পুলিশের দাবি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন এমদাদ। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল রূপনগর বেড়িবাঁধ এলাকার এনা প্রোপার্টিজের মেইন গেটের রাস্তার পূর্ব পাশ থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। নিহতের বড় ভাই হেদায়েত উল্লাহ আজ দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাশ শনাক্ত করেন। এমদাদ ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি জামালপুর সদর উপজেলার বানারীরপাড় গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিন ও আনোয়ারা বেগমের পুত্র। মিরপুর মসজিদ মার্কেটের মেসে থাকতেন তিনি। তিন ভাই পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ষষ্ঠ। তিনি শিবিরের শাহআলী থানার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। মিরপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন খান জানান, কিছুদিন আগে দারুস সালাম এলাকায় শিবিরের একটি অফিসে অভিযান চালায় পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায় এমদাদ উল্লাহ। গতরাতে তাকে পেট্রলবোমাসহ আটক করা হয়। পরে তাকে নিয়ে মিরপুর-২ নম্বরের মসজিদ মার্কেটে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর এমদাদ উল্লাহকে নিয়ে অন্য একটি অভিযানে বের হলে বেরিবাঁধ এলাকায় শিবিরের আর একটি গ্রুপ গাড়ি নিয়ে ওৎ পেতে থাকে। পুলিশের গাড়িটি ওই এলাকা অতিক্রম করার সময় এমদাদ উল্লাহ গাড়ি থেকে লাফ দেয়। এ সময় শিবিরের ওৎ পেতে থাকা গ্রুপটির সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। একপর্যায়ে এমদাদ উল্লাহকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। শিবিরকর্মীদের ছোঁড়া গুলিতেই এমাদুল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি সালাউদ্দিন। তবে এমদাদ উল্লাহর ভাই হেদায়েত উল্লাহ জানান, গত রাত ৮টার দিকে মিরপুর থানা পুলিশ এমদাদ উল্লাহকে ধরে নিয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে পুলিশের এসআই পরিচয় দিয়ে কামাল নামে এক ব্যক্তি তার বড় ভাই আনোয়ার উল্লাহকে ফোন দেন। তিনি জানতে চান এমদাদের সাথে তার সম্পর্ক কি। তিনি উত্তরে বলেন, ছোট ভাই। কি করেন জানতে চাইলে বলেন, ইসলামী ব্যাংকে চাকরি করেন। এরপর ওই পুলিশ সদস্য লাইন কেটে দেয়। হেদায়েত উল্লাহ আরো জানান, এরপর এমদাদের বন্ধুদের ফোন দিলে কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে সকালে টিভি স্ক্রল দেখে এমদাদকে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার লাশ পাওয়া যায়। রূপনগর থানার এসআই মনির হোসেন জানান, এমদাদের বুক থেকে দুটি গুলি পিঠ দিয়ে বের হয়ে গেছে। এছাড়া বাম হাতে দুটি সহ তার শরীরে মোট ৪টি গুলির চিহ্ন রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.