ইন্দো-বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব সেপ্টেম্বরে ঢাকায়- সংস্কৃতি সংবাদ

কালের পরিক্রমায় ১০০ বছর পূর্ণ করতে চলেছে ভারতীয় চলচ্চিত্রশিল্প। ১৯১৩ সালের ২১ এপ্রিল দাদা সাহেব ঢুন্ডিরাজ গোবিন্দ ফালকে (পরবর্তীতে দাদা সাহেব ফালকে নামে পরিচিত) নির্মিত প্রথম ভারতীয় সিনেমা রাজা হরিশচন্দ্র প্রদর্শিত হয়েছিল তৎকালীন বোম্বের অলিম্পিয়া থিয়েটারে।
তাই চলতি বছরের ২১ এপ্রিল শতবর্ষে পা রেখেছে উপমহাদেশের চলচ্চিত্র। আর এই শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে সেপ্টেম্বরে ঢাকায় শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসব। বাংলাদেশ ও ভারতের ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছে উৎসব। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্র আয়োজিত ‘ভারতীয় চলচ্চিত্রের ১০০ বছর ও সৌমিত্র চ্যাটার্জি ফিল্ম রেট্রোস্পেকটিভ’ শিরোনামে এ উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন। ১ সেপ্টেম্বর থেকে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে শুরু হবে উৎসব। মাঝে ৬ সেপ্টেম্বর বিরতি দিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে উৎসব। সপ্তাহব্যাপী এই ইন্দো-বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবে সব ধরনের সহযোগিতা করছে বাংলাদেশের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং ভারতের তথ্য মন্ত্রণালয়। উৎসবে ডিভিডি ফরম্যাটে ভারতের ১৪টি ছবির সঙ্গে প্রদর্শিত হবে বাংলাদেশের ৮টি চলচ্চিত্র।
জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে ১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন ভারতের খ্যাতিমান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং দেশটির সাড়ান জাগানো উমরাও জান ছবির খ্যাতিমান পরিচালক মোজাফ্ফর আলী। এ ছাড়াও ভারতীয় চলচ্চিত্র উৎসবের পরিচালকম-লীর পক্ষে উমরাও জান ছবির অভিনেতা ফারুক শেখ ও রাজিব কুমার জৈন উৎসবে উপস্থিত থাকার কথরয়েছে।
উৎসবে প্রতিদিন সকাল ১১টা, বেলা সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা ৬টায় ছবির প্রদর্শনী হবে। বাংলাদেশের প্রদর্শিতব্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মাটির ময়না, অবুঝ মন, মনপুরা, চাকা, সূর্য দীঘল বাড়ি, আগুনের পরশমণি, লাঠিয়াল ও সীমানা পেরিয়ে। বাংলা, হিন্দিসহ বিভিন্ন ভাষার প্রদর্শিতব্য ভারতীয় ছবিগুলো হচ্ছে রাজা হরিশচন্দ্র, অপুর সংসার, উমরাও জান, অশনি সংকেত, ভালু, ঘটশ্রদ্ধা, জান ভি দো ইয়ারও, তিসরি কসম, কনি, হীরক রাজার দেশে, দেখা, সোনার কেল্লা, ঘরে বাইরে ও যোধা আকবর। ইন্দো-বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য দিনের প্রবেশপত্র বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যাবে ধানম-ি ও গুলশানের ইন্দিরা গান্ধী সংস্কৃতি কেন্দ্র শাখায়।
৩১ আগস্ট অলিয়ঁসে প্রামাণ্যচিত্র ফরটি ইয়ার্স প্রদর্শনী
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর এ দেশে আটকে পড়ে অনেক পাকিস্তানী নানা ধরনের নাগরিক সুবিধাবঞ্চিত এই জনগোষ্ঠী গত ৪০ বছর ধরে বাংলাদেশে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বিহারি বাংলাদেশী হিসেবে পরিচিত উর্দুভাষী এই জনগোষ্ঠী দেশের ১১৬টি ক্যাম্পে বসবাস করছে। এর মধ্যে সর্ববৃহৎ মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে বাস করছে ২৫ হাজার। আর রিফিউজি নামে পরিচিত এই ক্যাম্পের বাসিন্দাদের অসহনীয় জীবনযাপনসহ সুপেয় পানির অভাব, বিদ্যুতহীনতা, পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যাসহ তাদের নানা নাগরিক সমস্যা নিয়ে নির্মিত হয়েছে প্রামাণ্যচিত্র ফোরটি ইয়ার্স। আর ২৩ মিনিটের এ প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন ওই জনগোষ্ঠীর অধিবাসী খালিদ হোসেন। আগামী ৩১ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টায় ফরাসি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অলিয়ঁস ফ্রঁসেজের মিলনায়তনে প্রদর্শিত হবে প্রামাণ্যচিত্রটি। প্রদর্শনী শেষে অনুষ্ঠিত হবে প্রামাণ্যচিত্রে উঠে আসা উদর্ুুভাষী অধিবাসীদের জীবনের সমস্যা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান। এ বিষয়ে কথা বলবেন ব্র্যাকের পক্ষে আফসান চৌধুরী, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, আল-ফালাহ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ ইলিয়াস ও অলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার পরিচালক অলিভিয়ের লিতভিন।

No comments

Powered by Blogger.