অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে দ্বন্দ্ব- ইকুয়েডরের প্রতি সমর্থন জানাল ৩৫টি দেশ

সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ব্যাপারে ইকুয়েডরের ‘অপরিহার্য কূটনৈতিক অবস্থানের’ প্রতি আংশিক সমর্থন দেবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সংস্থা ওএএস। সংশ্লিষ্ট ৩৫টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেন।


অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ইকুয়েডরের কূটনৈতিক বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ওএএস। যৌন হয়রানির মামলায় সুইডেনে প্রত্যর্পণ এড়াতে অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন। ওই দূতাবাসে যুক্তরাজ্য সরকার হামলার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ এনে ইকুয়েডর ওএএসের সমর্থন চেয়েছিল। তবে এ ধরনের কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি বলে যুক্তরাজ্য দাবি করেছে। ইকুয়েডরের প্রতি ওএএসের সমর্থনের সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে আপত্তি জানালেও পরে রাজি হয়।
উইকিলিকসে বিপুলসংখ্যক কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে এবং অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। যৌন হয়রানির মামলায় যুক্তরাজ্যের আদালতে গত মে মাসে আইনি লড়াইয়ে চূড়ান্তভাবে হেরে যান অ্যাসাঞ্জ। দেশটির কর্তৃপক্ষ তাঁকে এখন সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করতে চায়। সুইডেন সরকার অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করতে পারে। গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধে যুক্তরাষ্ট্র অ্যাসাঞ্জকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দিতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে গত ১৯ জুন আশ্রয় নিয়ে অ্যাসাঞ্জ রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। কিটো কর্তৃপক্ষ ১৬ আগস্ট ওই আবেদন মঞ্জুর করে। তবে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হলেই অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে সুইডেনে প্রত্যর্পণ করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।
অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তারে পুলিশের পরিকল্পনা ফাঁস: অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তারে যুক্তরাজ্যের পুলিশ যে পরিকল্পনা করেছিল, দুর্ঘটনাক্রমে সেটি ফাঁস হয়ে গেছে। পুলিশি পরিকল্পনার সচিত্র প্রতিবেদন গতকাল শনিবার কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, দূতাবাসের বাইরে অবস্থানকারী পুলিশের একজন সদস্য ‘রেস্ট্রিকটেড’ ও ‘ডিসিশন—সাপোর্টিং র‌্যাশন্যাল’ চিহ্নিত হাতে লেখা দলিলপত্র বহন করছেন। এতে বলা হয়, দূতাবাসের বাইরে এলেই অ্যাসাঞ্জকে যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তার করা হবে।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের একজন মুখপাত্র বলেন, ওই দলিলটি হচ্ছে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ থেকে একজন কর্মকর্তার নেওয়া নোট। জামিন ভঙ্গের অভিযোগে পুলিশ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করতে চায়। তবে কোনো অবস্থাতেই কূটনৈতিক নিরাপত্তাবিধি অমান্য করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে না। বিবিসি ও এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.