যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ সেপ্টেম্বরে আরও দুই যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট -৩৫১ জনবল বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে দুই মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি by বিকাশ দত্ত

লজিস্টিক ও লোকবলের অভাব থাকা সত্ত্বেও তদন্তকারী সংস্থা সেপ্টেম্বর মাসে আরও দু’যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন শাখায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। একই সঙ্গে অক্টোবরে আরেক ধাপে আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করবে বলে জানা গেছে।
এদিকে তদন্ত সংস্থায় যে ৩৫১ জনশক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে তা নিয়ে এখন অর্থ মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক এমএ হান্নান খান বলেছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় এটি অনুমোদন করলেই আমাদের গতি আসবে। তখন জেলা পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে আমরা তদন্ত করতে পারব। এদিকে আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যথাশীঘ্র ট্রাইব্যুনালের সকল সমস্যার সমাধান করা হবে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চৌধুরী মইনুদ্দিন, আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট সেপ্টেম্বর মাসে প্রদান করা হবে। পাশাপাশি আরও যারা বাকি আছে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। ২৬ জুলাই বাচ্চু রাজাকার হিসেবে পরিচিত মাওলানা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সে পলাতক আছে। তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে গ্রেফতারকৃত যে সমস্ত আসামির পক্ষে সাক্ষীর নাম দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে আমরা অচিরেই একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হব।
চৌধুরী মইনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান দু’জনেই বিদেশে অবস্থান করছে। তদন্তকারী সংস্থ এদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। আরও করছে বলে জানা গেছে। তদন্তকারী সংস্থার প্রধান এমএ হান্নান খান জনকণ্ঠকে বলেছেন, বিদেশে এ দু’জন অবস্থান করছে। তাদের বিরদ্ধে শীঘ্র প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। তিনি বলেন, প্রথম অবস্থাতে যে ২০ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছিল তাদের বিষয়ে আমারা কাজ করছি। লোকবলের অভাবে আমাদের কাজ করতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। তথাপি আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত গতিতে যাতে নির্ভুল রিপোর্ট প্রদান করা যায়। লোকবলের অভাব পূরণ হলেই আমরা দ্রুতগতিতে আরও যুদ্ধাপরাধীদের বিষয়ে কাজ করতে পারব।
সমন্বয়ক হান্নান খান জনকণ্ঠকে বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। তাদের বিচার চলছে। এখন জামায়াতের মীর কাশেম আলী, বাচ্চু রাজাকার হিসেবে পরিচিত মাওলানা আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া আগামী মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে দুই যুদ্ধাপরাধী যারা বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, সেই চৌধুরী মইনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে। এছাড়া খুলনার একেএম ইউসুফ, হবিগঞ্জের সৈয়দ কাওসার, এটিএম আজাহারুল ইসলাম, হাজী মোবারকসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এদের বিষয়ে অক্টোবর কিংবা নবেম্বরে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অর্গানোগ্রামে ৩৯১ জনশক্তি চেয়েছিলাম। স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন এটি কমিয়ে ৩৫১ জন করেছে, যা বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এটি আবার খতিয়ে দেখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এ জনশক্তি অনুমোদন করলেই আমাদের কোন সমস্যা থাকবে না। তিনি আরও বলেন, এখন দুই মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালি চলছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ও প্রসিকিউশন বিভাগে এখনও লজিস্টিক সাপোর্ট ও লোকবলের অভাব রয়েছে। ইতোমধ্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির ট্রাইব্যুনাল পরিদর্শন শেষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দুর্বলতার দিকগুলো তুলে ধরেছেন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেছেন, লজিস্টিক, লোকবল ও নিরাপত্তা জোরদার করলেই ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।
একটি সূত্র জানিয়েছে, লজিস্টিক ও লোকবলের অভাব থাকলেও ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বতর্মান দুটি ট্রাইব্যুনালে ১০ জনের বিচারকাজ চলছে। শীঘ্র আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে। এদিকে ৮ আসামির পক্ষে ২০ হাজার সাফাই সাক্ষী দেয়া হয়েছে। এত সাক্ষী দেয়ার পর জনমনে ভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ইতোমধ্যে জামায়াত নেতা মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষের সাক্ষী শেষ হয়েছে। ২৮ আগস্ট থেকে আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষী দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে। সাঈদীর পক্ষে ৪৮ সাক্ষী থাকলেও ট্রাইব্যুনাল সে ক্ষেত্রে ২০ সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ২৩ আগস্টে এদের নাম ট্রাইব্যুনালে জমা দিতে হবে। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য চলছে। সেখানে ৮ সাক্ষী তাঁদের সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। সে ক্ষেত্রে আব্দুল কাদের মোল্লার মামলাও দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, এখন যুদ্ধাপরাধী বিচারের দিকে সবাই চেয়ে আছে। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত শেষ হবার পর বিচার শুরু হয়েছে। আরও কিছু মমলার তদন্ত কাজ চলছে। আশা করছি চলতি বছরেই যুদ্ধাপরাধীর কয়েকটি মামলার আদেশ পাওয়া যেতে পারে। মামলার ধরন ও জেরার অবস্থা দেখে একইভাবে আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ৫/৬ জনের বিচার কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে প্রসিকিউশন বিভাগের অনেকেই নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন। যানবাহনের অভাবে প্রসিকিউটররা সহজভাবে চলাচল করতে পারছেন না। ইতোমধ্যে বেশ কয়েক প্রসিকিউটরের পিছনে সন্ত্রাসীরা অনুসরণ করেছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ট্রাইব্যুনালের লোকবল কম থাকাতে দু’টি ট্রাইব্যুনালে অনেক সময় একজনকেই কাজ করতে হয়। এতে বিচারকাজে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
২০১১ সালের নবেম্বরে রেজিস্ট্রারের অফিস থেকে একটি সাংগঠনিক কাঠামো বা অর্গানোগ্রামের প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে ট্রাইব্যুনাল-১ এর জন্য ৭৫ কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রয়োজন। এ অর্গানোগ্রাম ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান অনুমোদন করেছেন। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে চাওয়া হয়েছে ১১৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ টাইব্যুনাল-১ ও ২ এর কার্যালয়ে প্রস্তাবিত সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে রয়েছে ট্রাইব্যুনাল-১, চেয়ারম্যানের জন্য ১ জন বেঞ্চ অফিসার, ১ জন সহকারী বেঞ্চ অফিসার, ১ জন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, ২ জন স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর, ১ জন গাড়িচালক, ১ জন জমাদার, ২ জন এমএলএসএস, ১ জন কোর্টপিয়নÑ মোট ১০ জন। প্রতি সদস্যের (বিচারক) জন্য ১ জন বেঞ্চ অফিসার, ১ জন সহকারী বেঞ্চ অফিসার, ১ জন ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, ১ জন গাড়িচালক, ১ জন জমাদার, ২ জন এমএলএসএস। ২ সদস্যের জন্য মোট ১৪ জন। একইভাবে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালেও চেয়ারম্যানসহ দুই সদস্যের জন্য মোট ২৪ জন।
রেজিস্ট্রার অফিসের জন্য ১ জন অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত জেলা জজ পদমর্যাদায়), ২ জন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (যুগ্ম জেলা জজ পদমর্যাদায়)। এর মধ্যে রেজিস্ট্রারের (জেলা জজ পদমর্যাদায়) জন্য ২ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ১ জন ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ), ১ জন স্টেনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর, ১ জন হিসাব রক্ষক, ২ জন কোর্ট কিপার, ১ জন ক্যাশিয়ার, ১ জন ফটোকপিয়ার, ১ জন সিসি ক্যামেরা অপারেটর, ১ জন ডেসপার রাইডার, ১ জন গাড়িচালক (মাইক্রোবাস), ৪ জন এমএলএসএস, ২ জন মালী, ৪ জন সুইপার, ৬ জন নাইটগার্ড, ২ জন ফরাসÑ মোট ৩২ জন। অতিরিক্ত রোজিস্ট্রার ও দুই ডেপুটি রেজিস্ট্রারের জন্য ৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আইটি বিভাগর জন্য ১ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ১ জন হার্ডওয়্যার টেকনিশিয়ান, ১ জন এমএলএসএস। মোট ৩ জন। কম্পিউটার প্রোগামার-১ ও ২ এর জন্য ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ও এমএলএসএসসহ মোট ৪ জন। গবেষণা বিভাগের জন্য ১ জন সিনিয়র আইন গবেষণা কর্মকর্তা। তাঁর জন্য ১ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার ও এমএলএসএসসহ মোট ২ জন। ২ জন আইন গবেষণা কর্মকর্তা। তাঁদের জন্য অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও এমএলএসএসসহ মোট ৪ জন। ১ জন লাইব্রেরিয়ান। তাঁর জন্য ১ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও এমএলএসএসসহ মোট ২ জন। অর্থাৎ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এর জন্য মোট জনবলের প্রয়োজন ৪৮ জন। এছাড়া রেজিস্ট্রারের দফতরের জনবল প্রয়োজন ৬৫ জন। মোট জনবলের প্রয়োজন ১১৩ জন।
অন্যদিকে যানবাহন ও অফিস সরঞ্জামাদির মধ্যে কার ৮টি, মাইক্রোবাস ১টি, কম্পিউটার ২৫টি, ল্যাপটপ ১১টি, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ২টি, ফ্যাক্স মেশিন ৩টি, ফটোকপিয়ার ৩টি, মাল্টিমিডিয়া মুভি ক্যামেরা প্রজেক্টর মনিটর ৪টি।
এর মধ্যে এখন পর্যন্ত যে জনবল পাওয়া গেেছ তা হলো ট্রাইব্যুনাল-১ এর জন্য ১ জন সেরেস্তদার, ১ জন স্টেনোগ্রাফার (এজলাসে স্টেনোটাইপিস্ট, ১ জন স্টেনোগ্রাফার (রেজিস্ট্রার অফিস), ১ জন বেঞ্চ সহকারী যা ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এর জন্য। ১ জন নাজির ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২ এর জন্য। ১ জন এমএলএসএস (রেজিস্ট্রার অফিস)। একইভাবে ট্রাইব্যুনাল-২ এর জন্য ১ জন স্টেনোগ্রাফার, ১ জন স্টেনোগ্রাফার (অফিস সহকারী) ও ২ জন এমএলএসএস। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দায়িত্ব অধিকাংশ কর্মচারী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যৌথ দায়িত্ব পালন করেন। তাই এখন আরও ৩ অফিস সহকারী, ৩ জন এমএলএসএস জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজন। কারণ এখানে বিচার প্রক্রিয়া চলমান।
প্রসিকিউশন শাখায় এখন কিছুু কর্মকর্তা-কর্মচারী দেয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ মজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানা গেছে, ১৬ জুলাই প্রসিকিউশন শাখায় মোট ৩১টি সহায়ক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর পদ মঞ্জুর করেছে। এ পদগুলোর মধ্যে রয়েছে ১ জন সিনিয়র আইন গবেষণা কর্মকর্তা, ২ জন আইন গবেষণা কর্মকর্তা, ১ জন একান্ত সচিব, ১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, ৭ জন সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর, ১ জন হিসাবরক্ষক, ১ জন ক্যাশিয়ার, ১ জন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক, ৯ জন ড্রাইভার, ৩ জন এমএলএসএস, ২ জন দারোয়ান, ১ জন ফরাস, ১ জন ঝাড়ুদার মোট ৩১ জন। এছাড়া প্রসিকিউশন শাখার জন্য কার ৯টি, মাইক্রোবাস ১টি, কম্পিউটার ৮টি, ফ্যাক্স মেশিন ১টি ও ফটোকপিয়ার ১টি দেয়া হয়েছে।
২০১০ সালের ২৫ মার্চে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য পুরনো হাইকোর্ট ভবনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। পরবর্তীতে মামলার সংখ্যা ও বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে একই ভবনে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। বর্তমানে দুটি ট্রাইব্যুনালে ১০ জনের বিচার কাজ চলছে। এর মধ্যে গ্রেফতার আছে নয় জন। এরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, সুরা সদস্য মীর কাশেম আলী, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, আব্দুল কাদের মোল্লা, জামায়াত নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আব্দুল আলীম।

No comments

Powered by Blogger.