বাউফলে ২০০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিশুরী বন্দরে গত শুক্রবার রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২০০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও উপজেলা প্রশাসন প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।


প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই বন্দরের হারুন মেকারের দোকানে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বাউফল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে পটুয়াখালী ও আমতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় সাড়ে তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নেভাতে গিয়ে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
সাড়ে তিন ঘণ্টার অগ্নিকাণ্ডে ২০০ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিদ্যুতের ১৫টি ট্রান্সফরমার ও চারটি খুঁটি পুড়ে গেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মালাকার এন্টারপ্রাইজের খোকন ও মনীন্দ্র মালাকার জানান, তাঁদের আত্মীয়স্বজনের কমপক্ষে ৩০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গেছে। তাঁদের ১২-১৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্দরের মুদি-মনিহারির পাইকারি ব্যবসায়ী মিন্টু মালি বলেন, ‘জীবনের সব উপার্জন ব্যবসায় খাটিয়েছি। আজ সব শেষ হয়ে গেল।’ তিনি দাবি করেন, তাঁর কমপক্ষে দেড় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শিকদার বস্ত্রালয়ের আবদুর রাজ্জাক শিকদার দাবি করেন, তাঁর কমপক্ষে দেড় কোটি টাকার কাপড় পুড়ে গেছে। টিনের আড়তদার ইয়াকুব তালুকদার বলেন, তাঁর ৯০ লাখ টাকার টিন পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
বাউফল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে পটুয়াখালী ও আমতলী ফায়ার সার্ভিসের দল ছাড়া তাঁদের পক্ষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব ছিল না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মৃণাল কান্তি দে বলেন, এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে যা পাওয়া গেছে, তাতে ১০০ কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.