ইংরেজি ভাষার উৎপত্তিস্থল তুরস্ক!

প্রায় নয় হাজার বছর আগে ইংরেজিসহ আধুনিক ইন্দো-ইউরোপীয় বিভিন্ন ভাষার উদ্ভব হয়েছিল পূর্ব ইউরোপের আনাতোলিয়ায় (বর্তমান তুরস্ক)। সায়েন্স সাময়িকীতে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। নিউজিল্যান্ডের কিছু বিজ্ঞানী এ গবেষণা চালান।


ভাইরাস মহামারির কারণ অনুসন্ধানে যে ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়, ঠিক একই কায়দায় বিজ্ঞানীরা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলোর বংশলতিকা শনাক্তের চেষ্টা করেন। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষার উদ্ভব এবং বিকাশের স্থান ও সময়কাল অনুসন্ধান করেন।
আট থেকে সাড়ে নয় হাজার বছর আগে আনাতোলিয়ার শান্তিপ্রিয় চাষিদের মাধ্যমে কৃষিকাজের পাশাপাশি ভাষাও বিস্তার লাভ করে বলে গবেষণায় সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়। অকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবর্তনমূলক জীববিজ্ঞানী কুয়েনটিন অ্যাটকিনসন ও তাঁর সহযোগীরা ইন্দো-ইউরোপীয় ১০৩টি ভাষার শব্দভান্ডার নিয়ে এ গবেষণা চালান।
এ গবেষণার মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন। তবে নতুন গবেষণার ফলাফল সবাই না-ও মানতে পারেন। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলোর মধ্যে ইংরেজিসহ ইউরোপের বিভিন্ন ভাষার পাশাপাশি ফারসি, হিন্দি, বাংলাসহ দক্ষিণ এশীয় বিভিন্ন অঞ্চলের ভাষাও রয়েছে। ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারকে বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত ভাষা-পরিবারগুলোর একটি বলে বিবেচনা করা হয়। এসব ভাষার রয়েছে তুলনামূলক স্পষ্ট ইতিহাস। এসব ভাষায় গত দুই হাজার বছরের বেশি সময় ধরে লেখা হচ্ছে। এই ভাষা-পরিবারের উৎপত্তির সময় ও স্থান নিয়ে মতভেদ রয়েছে।
ভাষাতাত্ত্বিক ঐতিহাসিকেরা এত দিন পর্যন্ত ধারণা করতেন, পূর্ব ইউরোপের বিস্তীর্ণ শুষ্ক তৃণভূমি এলাকায় কাস্পিয়ান সাগরের উত্তরে অবস্থিত পনটিক (বর্তমান ইউক্রেন) অঞ্চলে পাঁচ হাজার বছর আগে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা-পরিবারের উৎপত্তি হয়েছে। ভাষাতাত্ত্বিক জীবাশ্ম গবেষণায় এ-সংক্রান্ত প্রমাণও মিলেছে। বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমস।

No comments

Powered by Blogger.