ডিএসইতে লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

গস্ট মাসের পর গতকাল ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল। তবে গতকাল সূচকের পতনও ছিল বেশ বড়। টানা কয়েক দিন চাঙ্গা থাকার পর সূচকের এ পড়ে যাওয়াকে বাজারের স্বাভাবিক আচরণ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, গত কয়েক দিন দাম বাড়ার পর গতকাল শেয়ার বিক্রি করে লাভ উঠিয়ে নিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।


বিক্রির এ চাপে মূল্যসূচক ২২৪ কমে গেছে। তবে সামগ্রিকভাবে বাজারের অবস্থা ভালো বলেই তাঁদের মন্তব্য। বিকেলে বহু প্রতীক্ষিত ঘোষণা দেবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশন, সেখানে কী কী থাকতে পারে, তা নিয়ে গতকাল দিনভর আলোচনা ছিল পুঁজিবাজারে।
গতকাল ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জে (ডিএসই) এক হাজার ৫১ কোটি ৩৯ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ২৪৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বেশি। মঙ্গলবার ডিএসইতে ৮০২ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এর আগে গত পহেলা আগস্ট সর্বশেষ এক হাজার কোটি টাকার ওপর লেনদেন হয়েছিল ডিএসইতে। সেদিন লেনদেন হয়েছিল এক হাজার পাঁচ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
শুরুর চিত্রটা ছিল আগের দিনগুলোর মতোই। প্রথম পাঁচ মিনিটেই সূচক বাড়ে ১৯৪ পয়েন্ট। এর পর থেকে সূচক কমতে থাকে। আর দিন শেষে মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ২২৪.৩০ পয়েন্ট কমে ৫৩৭২.৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। টানা পাঁচ দিন সূচক বাড়ার পর গতকাল ডিএসইতে সূচক কমল।
বাজারের লেনদেন বাড়ার সঙ্গে সূচকের পতনকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমদ বলেন, বাজারে লেনদেন বাড়ার মানে হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিকসহ অন্যান্য বিনিয়োগ বাড়ছে। সূচক কমার বিষয়ে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে যাঁরা শেয়ার কিনেছিলেন, তাঁরা হয়তো বিক্রির চেষ্টা করেছেন।
গতকাল লেনদেন হওয়া ২৫৯টি কম্পানির মধ্যে ২৩৩টিরই শেয়ারের দাম কমেছে, বেড়েছে ২৪টির আর বাকি দুটি কম্পানির শেয়ারের দাম আগের মতোই রয়েছে। পুঁজিবাজার স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন। বৈঠকে পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (এসইসি) বেশ কয়েক দফা বৈঠক করেন। রবিবার পুঁজিবাজারের সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী। আর গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তগুলো ঘোষণা করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা গতকাল দিনভর এই ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন। বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। বাজারে লেনদেন বাড়ার মানে হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিকসহ অন্যান্য বিনিয়োগ বাড়ছে। গত কয়েক দিনে যাঁরা শেয়ার কিনেছিলেন, তাঁরা হয়তো বিক্রির চেষ্টা করেছেন

No comments

Powered by Blogger.