চার তরুণের ব্যাটে উইন্ডিজের দিন

শোনা যাচ্ছিল, হোয়াইটওয়াশ ঠেকাতে যেভাবেই হোক খেলানো হবে শিবনারায়ণ চন্দরপলকে। শেষ পর্যন্ত চোটের কাছে হার মেনেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অভিজ্ঞতা তাই নেমে এল অর্ধেকে!
১৩৭ টেস্টের চন্দরপল বাইরে। এই টেস্টের ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের সবাই মিলে যত টেস্ট (১৭৭) খেলেছেন, এক শচীন টেন্ডুলকারই খেলেছেন তার চেয়ে ছয়টি বেশি! টেস্ট শুরুর আগে উইন্ডিজ একাদশের সবার মিলিত রান ৫৭৬৭। টেন্ডুলকার-দ্রাবিড়-লক্ষ্মণরা তো বহুদূর, বীরেন্দর শেবাগের রানই এর চেয়ে দুই হাজার বেশি!
কাগজে-কলমে এতটাই পিছিয়ে, কিন্তু মুম্বাই টেস্টের প্রথম দিনটি শুধুই ওয়েস্ট ইন্ডিজের! টপ অর্ডারে ক্যারিবিয়ান তরুণেরা এমনই ব্যাটিং করলেন, চন্দরপল থাকলেও ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন হতো না। সারা দিনে উইকেটই পড়ল মাত্র দুটি! প্রথম আর শেষ সেশনে উইকেটই হারায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চার ব্যাটসম্যানের বয়স আর অভিজ্ঞতা বিবেচনায় বলা যায়, অসাধারণ টেস্ট ব্যাটিং।
টস হেরে ফিল্ডিং পাওয়ার পর মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেছিলেন, এটা শাপেবর হতে পারে। সকালের উইকেটে আর্দ্রতা ছিল যথেষ্টই। কিন্তু সেটা কাজে লাগাতে পারেননি ইশান্ত শর্মা ও অভিষিক্ত বরুণ অ্যারন। ভারতের দ্রুততম বোলার বলে আলোচিত অ্যারন সারা দিনই ১৪০ কিলোমিটারের আশপাশে বোলিং করেছেন, তবে প্রথম দিনে তাঁকে এমন আহামরি কিছু মনে হয়নি।
দুই ওপেনার বারাথ ও ব্রাফেটের দৃঢ় প্রতিজ্ঞাও ছিল দেখার মতো। সামান্যতম ঝুঁকিও নেননি কেউ। চা-বিরতির কাছাকাছি গিয়ে যেন মনোযোগ একটু নড়ে গেল দুজনের। অশ্বিনের বাড়তি বাউন্সের শিকার দুজনই। ভারত প্রথম উইকেট পেয়েছে দিনের ৫৩তম ওভারে, ৫ ওভার পরই দ্বিতীয়টি। পরের ৪২ ওভার জুড়ে আবার ভারতকে হতাশ করেছেন ব্রাভো-এডওয়ার্ডস। ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করেছেন দুজন। ৪৭৮ টেস্টে এ নিয়ে মাত্র তৃতীয়বার ফিফটি ছুঁলেন প্রথম চার ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান, আগের দুবারের ঘটনা ১৯৪৮ ও ১৯৭৬ সালে।
লারা-ব্রাভো নিয়ে মনে কৌতূহল জাগছে? ১৩তম টেস্ট শেষেও রান ও গড়ে লারার পাশে থাকতে আজ আর ১১০ রান করতে হবে ব্রাভোকে, আর ব্যাট করতে হবে এই এক ইনিংসই।

No comments

Powered by Blogger.