যেন আরেক স্টেইন!

‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম’—এ কথাটাও যেন যথেষ্ট মনে হচ্ছে না প্যাট কামিন্সের সগৌরব আবির্ভাব বোঝাতে। এ বছরের শুরুতেও যে স্বীকৃত কোনো ক্রিকেটে পা পড়েনি তাঁর! মধ্য জানুয়ারিতে বিগ ব্যাশ টি-টোয়েন্টি দিয়ে অভিষেক। ওই টুর্নামেন্টে গতির ঝড় তুলে সর্বোচ্চ উইকেট। এরপর শুধুই স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে যাওয়া। পরের মাসেই ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্টে অভিষেক, সবচেয়ে কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার কেন্দ্রীয় চুক্তি, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে অভিষেকে নজর কাড়া, মাত্র তিনটি প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা নিয়ে টেস্ট অভিষেক, দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট, জয়সূচক রান, ম্যাচ-সেরা—স্বপ্ন স্বপ্ন মনে হতেই পারে কামিন্সের!
‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ’ বলে স্বীকৃতি পেয়ে গেছেন। অস্ট্রেলিয়ার নতুন কোচ মিকি আর্থার তাঁর মাঝে দেখতে পাচ্ছেন সময়ের সেরা ফাস্ট বোলার ডেল স্টেইনের ছায়া! দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ থাকার সময় স্টেইনের শুরু আর বেড়ে ওঠা খুব কাছ থেকেই দেখেছেন আর্থার। কামিন্সকে দেখে তাঁর মনে পড়ে যাচ্ছে সেই কথা, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ঢোকার সময়কার ডেল স্টেইনের সঙ্গে কামিন্সের মিল খুঁজে পাচ্ছি। অবিশ্বাস্য মিল, ব্যতিক্রম শুধু কামিন্সের বয়স অনেক কম, যা ব্যাপারটিকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে।’
বয়স মাত্র ১৮, কামিন্সকে ঠিকভাবে ব্যবহার করাটাও তাই গুরুত্ব পাচ্ছে। অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক এরই মধ্যে ভাবতে শুরু করেছেন এ নিয়ে, ‘আমার মনে হয় না প্যাডির (কামিন্স) পক্ষে এখনই অস্ট্রেলিয়ার সব ধরনের ক্রিকেটে খেলা সম্ভব। ওকে প্রতিটি ম্যাচ খেলানো হবে বোকামি। তবে এটা শুধু আমার মত। নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলে ওকে নিয়ে একটা পরিকল্পনা করতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার জন্য অসাধারণ এক ক্রিকেটার হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে, ওর যত্ন তাই নিতেই হবে।

No comments

Powered by Blogger.