গোয়ালন্দ টেক্সটাইল মিল চালু হচ্ছে আজ

প্রায় তিন বছর বন্ধ থাকার পর আজ বৃহস্পতিবার পুনরায় চালু হচ্ছে শিল্পপ্রতিষ্ঠান গোয়ালন্দ টেঙ্টাইল মিল। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ নাজিরউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে মিলের কার্যক্রম শুরু হবে। এ উপলক্ষে আজ বেলা ৩টায় মিল প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিকবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাজবাড়ী-১ আসনের


সংসদ সদস্য আলহাজ কাজী কেরামত আলী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা প্রশাসক সৈয়দা সাহানা বারী, পুলিশ সুপার রেজাউল হক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক বিশ্বাস, গোয়ালন্দ উপজেলা চেয়ারম্যান হাসান ইমাম চৌধুরী, সদর ও গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এরাদুল হক ও লোকমান আহমেদসহ মিলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত থাকবেন।
গোয়ালন্দ টেঙ্টাইল মিলস্ শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহম্মেদ বলেন, রাজবাড়ী জেলা সদরের আহলাদীর এলাকায় সাত বিঘা জমির ওপর অবস্থিত গোয়ালন্দ টেঙ্টাইল মিলটি জেলার এক মাত্র বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান। ১৯৮৩ সালে ২০ কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করে সরকারের ৪৯ শতাংশ ও ব্যক্তি মালিকানায় ৫১ শতাংশ শেয়ার রেখে মিলটি ব্যক্তি মালিকানায় হস্তান্তর করা হয়। এ মিলটি ব্যক্তি মালিকানায় চলে আসার পর থেকেই কর্মচারী ও শ্রমিকরা নির্যাতনের শিকার। শ্রম আইন উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে মিলের বর্তমান কর্তৃপক্ষ একাধিকবার প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয়! ১৯৯৮ সালে ১৪ মাস বন্ধ রাখার পর শ্রমিকদের বহু আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মিলটি পুনরায় চালু করা হয়। কোনো কারণ ছাড়াই তারা ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাতের আঁধারে ৪৫ দিনের নোটিশ টানিয়ে মিলটি বন্ধ করে দেয়। এর পর থেকে একের পর এক মিল চালুর সময় নির্ধারণ করে মিল গেটে নোটিশ টানানোর খেলা চলে। মিলটি বন্ধ করা হলেও তৎকালে মিলে কর্মরত ছয় শতাধিক শ্রমিক আর এক শতাধিক কর্মচারীর বেতনের ১১ লাখ টাকা, গ্র্যাচুয়িটি ফান্ডের পাওনা দেড় কোটি টাকা পরিশোধের জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মিল চালু করাসহ আগের বেতন-ভাতা ও গ্র্যাচুয়িটি ফান্ডের টাকা পাওয়ার দাবিতে বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক-কর্মচারীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মানববন্ধন, শ্রম মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন স্থানে স্মারকলিপি দেন।

No comments

Powered by Blogger.