তৃতীয় দফায় বাড়ছে বিদ্যুতের পাইকারি দাম, ঘোষণা আজ

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের পাইকারি দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দেবে আজ বৃহস্পতিবার। সূত্র জানায়, ঢাকার কারওয়ান বাজারে কমিশন কার্যালয়ে ঘোষণা দেওয়া হবে। এ নিয়ে চলতি বছরে তৃতীয় দফায় বাড়ছে বিদ্যুতের পাইকারি দাম।গতকাল বুধবার বিইআরসি সূত্র জানায়, গত ১৩ নভেম্বর বিইআরসি কার্যালয়ে বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানো নিয়ে গণশুনানি হয়।


১৮ সেপ্টেম্বর গড়ে ১৫ শতাংশ হারে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এ বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত জানাবে কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ গতকাল বুধবার কালের কণ্ঠকে দাম বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
দাম বাড়ানোর ব্যাপারে কমিশনের সদস্য সেলিম মাহমুদ বলেন, পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে সব প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। তবে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ঠিক কত বাড়বে, এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
পিডিবির প্রস্তাব অনুযায়ী চলতি বছর আরো দুই বার বিদ্যুতের দাম বাড়ায় বিইআরসি। প্রথম দফায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের পাইকারি দাম ২ টাকা ৩৭ পয়সা থেকে ১১ শতাংশ বাড়িয়ে ২ টাকা ৬৩ পয়সা করা হয়, যা গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কার্যকর হয়। দ্বিতীয় দফায় ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ইউনিটের দাম ২ টাকা ৬৩ পয়সা থেকে ২ টাকা ৮১ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়, যা কার্যকর করা হয় ১ আগস্ট থেকে।
দাম বাড়াতে পিডিবির প্রস্তাব : পিডিবির প্রস্তাবে বলা হয়, ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় সরবরাহ ব্যয় ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা। এ ব্যয় ২০১০-১১ অর্থবছরে বেড়ে ৪ টাকা ১৫ পয়সা হয়। চলতি অর্থবছরে এ ব্যয় প্রতি ইউনিটে ৪ টাকা ৮৬ পয়সায় দাঁড়াবে। অন্যদিকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ গড়ে ২ টাকা ৮১ পয়সায় বিক্রি করে পিডিবি। ইউনিটপ্রতি লোকসান ২ টাকা ৫ পয়সা। পিডিবির এ লোকসান পূরণ করার জন্যই বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ানো দরকার বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়। পিডিবি চলতি অর্থবছরে বিদ্যুতের দাম পাইকারি ৭২ শতাংশ বাড়ানো প্রয়োজন বলে বিইআরসির কাছে সুপারিশ করে। চার দফায় এ দাম কার্যকর করারও প্রস্তাব দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
চার দফায় দাম বাড়ানোর সুপারিশে চলতি বছরের নভেম্বরে প্রথম ধাপে ২ টাকা ৮১ পয়সা থেকে ৩ টাকা ২৪ পয়সা, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় ধাপে ৩ টাকা ২৪ পয়সা থেকে ৩ টাকা ৭২ পয়সা, জুলাইয়ে তৃতীয় ধাপে ৩ টাকা ৭২ পয়সা থেকে ৪ টাকা ২৮ পয়সা এবং চতুর্থ ধাপে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে চার টাকা ২৮ পয়সা থেকে ৪ টাকা ৯৩ পয়সা করার কথা বলা হয়। গড়ে এ দাম বৃদ্ধির হার ১৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, পিডিবি ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি), ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কম্পানি লিমিটেড (ইজিসিবি) ও আশুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনে। তারপর পাইকারি গ্রাহক ডিপিডিসি, ডেসকো, ওজোপাডিকো ও আরইবির কাছে এবং নিজস্ব বিতরণ অঞ্চলে সাধারণ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়।


No comments

Powered by Blogger.