স্টেম সেল গবেষণা বন্ধ করল পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান জেরন

হবিলের অভাবে স্টেম সেল গবেষণা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বে স্টেম সেল গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান জেরন করপোরেশন। কম্পানিটির এ সিদ্ধান্ত স্টেম সেল গবেষণায় বড় ধরনের আঘাত বলে মনে করছেন অনেক বিজ্ঞানী। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, অর্থের অভাব এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে এমব্রিয়ানিক (ভ্রূণজাত) স্টেম সেল নিয়ে গবেষণা বন্ধ করছে তারা।


জেরনের এ সিদ্ধান্তে স্টেম সেল নিয়ে গবেষণারত বিজ্ঞানীরা মর্মাহত হয়েছেন। তবে ভ্রূণজাত স্টেম সেল নিয়ে জেরনের গবেষণা বন্ধ হওয়ার ঠিক আগে আগেই অগ্রগতির খবর আসে প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেল নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিতদের কাছ থেকে। প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেল নিয়ে গবেষণায় নিয়োজিত বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
দেহের প্রাথমিক কোষ স্টেম সেল থেকে শরীরের হাড়, মাংস, রক্ত সবই তৈরি হয়। ভ্রূণজাত স্টেম সেলগুলো শরীরের যেকোনো ধরনের কোষে পরিণত হওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেলগুলো অতটা রূপান্তরশীল নয়। জেরনের গবেষণা বন্ধের ঘোষণা স্টেম সেল নিয়ে গবেষণারত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে তেমন প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন গবেষকরা।
লন্ডনের কিংস কলেজের স্টেম সেল সায়েন্স বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ডাসকো ইলিক বলেন, জেরনের সিদ্ধান্ত কোনো যুগের সমাপ্তি নয়।
হৃদরোগে আক্রান্তদের পরবর্তী সময়ে আরো বেশি জটিলতায় আক্রান্ত হওয়া প্রতিরোধ করতে প্রাপ্তবয়স্ক স্টেম সেল নিয়ে গবেষণা করে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠান মেসোব্লাস্ট লিমিটেড। জেরনের এ ঘোষণার কিছুদিন আগেই তারা তাদের গবেষণায় সাফল্যের কথা জানায়।
হৃদরোগ, স্ট্রোক, পারকিনসন্স, পক্ষাঘাত রোগের মতো যেসব রোগের কোনো প্রতিষেধক বা চিকিৎসা নেই, সেগুলোর চিকিৎসায় নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে স্টেম সেল গবেষণা।
২০১০ সালের অক্টোবরে প্রথমবারের মতো জেরনের উৎপাদিত পণ্য 'জিআরএনওপিসি ওয়ান' দিয়ে প্রথম রোগীর চিকিৎসা করা হয়। সূত্র : রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.