শেয়ারবাজার নিয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা রবিবার-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বহুপ্রতীক্ষিত বৈঠকে সিদ্ধান্ত

শেয়ারবাজার স্থিতিশীল করার জন্য এত দিন ধরে যেসব ঘোষণা এসেছিল, এবার সেগুলোর বাস্তবায়ন হবে_প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল বুধবার মধ্যরাতে এ কথাই জানালেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। দীর্ঘ চার ঘণ্টার এ বৈঠকে যেসব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেগুলোর বিচার-বিশ্লেষণ করে সরকারের পক্ষ থেকে রবিবার চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হবে।
গতকাল রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বৈঠক শেষে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসইসির সদস্য আরিফ খান জানান, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের আয় করমুক্ত থাকবে। শেয়ারে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগ করলে উৎস নিয়ে কোনো সংস্থা প্রশ্ন করবে না। সেকেন্ডারি মার্কেট থেকে শেয়ার কিনলে কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া যাবে। ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে সম্মত হয়েছে। ব্রোকারেজ হাউসের কমিশন অর্ধেক কমিয়ে ১০০ টাকায় পাঁচ পয়সা (দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ) করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য কী কী করা দরকার তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানা আছে। এ নিয়ে ঘোষণাও এসেছে প্রচুর। এসব ঘোষণার বাস্তবায়ন দাবি করে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছেন আশাহত বিনিয়োগকারীরা।
। সবার ওপর আস্থা হারিয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করে আসছেন। গতকালের বৈঠক তাঁদের সবার কাছে ছিল অনেক প্রতীক্ষার, এর প্রতিফলনও ছিল গতকালের বাজারে।
বৈঠককে সফল উল্লেখ করে আরিফ খান বলেন, অত্যন্ত সংবেদনশীল মন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারের সমস্যাগুলো অনুধাবন করেছেন। বাজারে স্থিতিশীলতা আনা ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি জানান, সরকার দুই-এক দিনের সময় নিয়েছে। প্রস্তাবনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিগগিরই ঘোষণা দেওয়া হবে।
এর আগে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন বলেন, বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য অনেক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে, অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে বিনিয়োগকারীদের নেওয়া ঋণের সুদ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত (ব্লক) করা যায় কি না সে বিষয়েও কথা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি ফখরুদ্দীন আলী আহমেদ বলেন, সবার সব প্রস্তাবনার ইমপ্যাক্ট অ্যানালাইসিস করে রবিবার ফাইনাল ডিক্লারেশন দেবে সরকার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, এসইসি ও স্টক এঙ্চেঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট সবার কার কী করণীয় সেসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা যাতে তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে টিকে থাকতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করেন তিনি।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শুরু হয়ে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে বৈঠক। এতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন-বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, অর্থসচিব ড. মোহাম্মদ তারেক, ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের সচিব শফিকুর রহমান পাটোয়ারী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন আহমেদ, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন, সদস্য আরিফ খান, আমজাদ হোসেন, সালাম শিকদার, হেলাল উদ্দীন নেজামী, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদা, আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফায়েকুজ্জামান, ডিএসইর প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী, সিএসইর প্রেসিডেন্ট ফখরুদ্দীন আলী আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম মজুমদার ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন অংশ নেন।
পরপর তিন দিন শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতনের প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসইসির চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে তিনি বুধবার সন্ধ্যায় পুঁজিবাজার নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা জানান।
তিন দিনে সূচক ৪৩৪ পয়েন্ট পড়ার পর অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন এসইসির চেয়ারম্যান। সেদিনও ছিল মঙ্গলবার। পরদিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছিলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকৃত অর্থের আয়কর রেয়াত সুবিধা পুনর্বহাল করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে একই অর্থবছরে করযোগ্য আয় থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হলেও ওই টাকার ওপর কোনো রকম কর দিতে হবে না। একইস ঙ্গে চলতি অর্থবছরে স্টক এঙ্চেঞ্জের ব্রোকারেজ কমিশনের ওপর আরোপিত উৎসে করের হার শূন্য দশমিক ১০ শতাংশের পরিবর্তে আগের বছরের মতো শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হচ্ছে। মিউচ্যুয়াল ফান্ডের আয়ের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহারেও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এনবিআর। এ ছাড়া পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হয়নি বলেও বৈঠকে জানানো হয়। একই দিন অর্থাৎ ১২ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করে তিনি গত বছর শেয়ারবাজার থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অর্জিত মুনাফা পুনর্বিনিয়োগের পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান। শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ বাড়ানো ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মার্জিন ঋণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আশ্বাসের কথাও জানান তিনি। সেই দিন ঢাকা স্টক এঙ্চেঞ্জের সূচক ছিল ৫২৯৩ পয়েন্ট। এক মাস পর গতকাল যখন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে যাচ্ছেন তখন সূচক ৪৯৮৭ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট। এর আগের তিন দিনে ৫৬০ পয়েন্ট কমেছিল। গতকাল ৩৩৮ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বাড়ার পরও ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক পাঁচ হাজারের নিচেই রয়ে গেছে।
গত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাস ছিল শেয়ারবাজারে ঘোষণা ও আশ্বাসের মাস। বাজারসংশ্লিষ্ট কোনো দায়িত্বপূর্ণ সংগঠন, এমনকি খোদ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে আসা এসব আশ্বাস, ঘোষণা বা ইঙ্গিতে প্রতিবারই তাৎক্ষণিকভাবে বেড়ে গেছে সূচক ও লেনদেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্সের অধ্যাপক ড. ওসমান ইমামের মতো বাজার বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সতর্ক করেছিলেন, সূচক ও লেনদেনের এই ঊর্ধ্বগতি ক্ষণস্থায়ী। বাজার একটি পর্যায় পর্যন্ত নামবে। তবে পতন কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটি কেউ বলতে পারেননি। হারানো পুঁজি পুনরুদ্ধারের (রিকভারি) আশায় মরিয়া হয়ে নানা ঘোষণা ও আশ্বাসে বারবার বিশ্বাস করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা, আর বারবারই ধোঁকা খেয়েছেন তাঁরা। দর বাড়া-কমার ফাঁদে পড়ে তাঁদের অনেকেই কেবল পুঁজি হারিয়েছেন, পড়তি বাজার থেকে গোপনে লাভের টাকা উঠিয়ে নিয়েছে চতুররা।
ব্যাংক খাতের একটি সংগঠন থেকে এসেছিল পাঁচ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনের ঘোষণা। ত্রাণকর্তা হিসেবে হঠাৎ দৃশ্যপটে আবির্ভূত হলেন ২০১০ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির দায়ে অভিযুক্তদের একজন, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত কমিটি যাঁর বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছিল। তাঁর নেতৃত্বাধীন একটি সংগঠন বাজারে স্থিতিকরণ তহবিলের ধারণা এনে চমক সৃষ্টি করল। ঘোষণা দিল, বাজারদরে শেয়ার কিনে নিয়ে দরপতন ঠেকানো হবে।
পিছিয়ে ছিল না ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-ও। ধারাবাহিক মন্দা কাটিয়ে পুঁজিবাজারে গতিশীলতা সৃষ্টি এবং আটকেপড়া বিপুল পরিমাণ মার্জিন ঋণের দায় থেকে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহকদের মুক্তি দিতে একটি বাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল (মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড-এমএসএফ) গঠনের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি। ২৯ সেপ্টেম্বর এফবিসিসিআই জানায়, মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ব্রোকার-ডিলার, তালিকাভুক্ত কম্পানি, বাণিজ্যিক ব্যাংক, বীমা কম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসী বাংলাদেশি এবং উচ্চ আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা এই তহবিল গঠনের জন্য স্বাক্ষর করবেন। মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকার প্রতিষ্ঠান থেকে মার্জিন ঋণ নিয়ে কেনা শেয়ারের বিনিময়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই তহবিলের ইউনিট গ্রহণ করবেন। এসব বিনিয়োগকারীর নেওয়া মার্জিন ঋণের জন্য নতুন করে কোনো রকম সুদ গ্রহণ করা হবে না। একই সঙ্গে এসব ঋণের শ্রেণীকরণ প্রক্রিয়া দুই বছরের জন্য মুলতবি রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানানো হবে বলে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ জানান।
বাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিলের ধারণাপত্র তুলে ধরেছিলেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কম্পানিজের (বিএপিএলসি) চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। এতে বলা হয়, এই তহবিল হবে একটি মেয়াদহীন বা উন্মুক্ত মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এই ফান্ডের ইউনিট স্টক এঙ্চেঞ্জে কেনাবেচা করা যাবে। তহবিলটি পরিচালনার জন্য একটি নতুন সম্পদ ব্যবস্থাপনা কম্পানি গঠন করা হবে। এই কম্পানি অনুমোদনের জন্য এসইসিতে আবেদন করা হবে। আইন অনুযায়ী তহবিল গঠনের প্রাথমিক শর্ত পূরণের জন্য বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা প্রাথমিকভাবে ৫০০ কোটি টাকা প্রদান করবেন। কার্যক্রম শুরুর পর মার্জিন ঋণে কেনা শেয়ারের বিনিময়ে ইউনিট ইস্যুর পর এই তহবিলের মোট সম্পদের পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে বলে উদ্যোক্তারা মনে করেন।
বিশাল পুঁজির বড় প্রতিষ্ঠানগুলো যখন তারল্য সংকটের দোহাই দিয়ে হাত গুটিয়ে বসে ছিল, এই দুর্দিনে তবু বাজার আঁকড়ে পড়ে ছিলেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরাই। দেশের শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ। এর মধ্যে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অংশ ১ শতাংশ। অব্যাহত দরপতনে শেয়ারবাজারে দৈনিক লেনদেন নেমে এসেছে ৩০০ কোটি টাকার নিচে। বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, যদি তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংক গড়ে পাঁচ কোটি টাকা করেও শেয়ারে বিনিয়োগ করত, তাহলে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ১৫০ কোটি টাকা বাড়ত। এ ছাড়া ৪২টি বীমা, ১৯টি আর্থিক ও ৩০টি বিনিয়োগ কম্পানিরও দিনে অন্তত ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সক্ষমতা রয়েছে। এসইসির চেয়ারম্যান নিজেও স্বীকার করেছেন, ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরাই ধরে রেখেছেন পুঁজিবাজার।
শেয়ারবাজারের মূল ক্রীড়নকদের কেউই যে কথা রাখেনি তা অনেক মূল্য দিয়ে বুঝেছেন ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভরত বিনিয়োগকারীদের একটি সংগঠনের নেতা মিজান রশীদ চৌধুরী এর আগে কালের কণ্ঠকে বলেছিলেন, 'আমরা এর আগেও বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাজস্ব বোর্ডের নানা ঘোষণা শুনেছি। কিন্তু বাস্তবায়ন দেখিনি। তাই তাঁরা এসইসির চেয়ারম্যানকে যেসব আশ্বাস দিয়েছেন এর বাস্তবায়ন হলেই আমাদের আস্থা ফিরবে। তখনই আন্দোলন ছেড়ে ঘরে ফিরব।' প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব দাবি করেছিল বিনিয়োগকারীদের এ সংগঠন।
গতকাল সন্ধ্যায় যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকটি শুরু হয় তখনও মতিঝিলে অবস্থান করছিলেন অনেক বিনিয়োগকারী। বৈঠক শেষে গতকাল মধ্যরাতে সিএসইর সভাপতি বলেন, 'আশা করছি এবার বিনিয়োগকারীরা খুশি হবেন।' তবে তাঁদের আশার কতখানি পূরণ হলো তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে রবিবার পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের খবরে সূচক বাড়ল ৩৩৮ পয়েন্ট

No comments

Powered by Blogger.