সাদাকালো-সংসদীয় সংস্কৃতি নিয়ে কিছু কথা by আহমদ রফিক

র্তমান মেয়াদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ধসনামা বিজয়ে সবাই খুব আশান্বিত হয়েছিল। বিশেষ করে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের দফাগুলো দেখে। কোনো দলই পাঁচ বছরের মেয়াদে ইচ্ছা থাকলেও সব দফা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারে না। অপেক্ষা করে পরবর্তী মেয়াদে ক্ষমতায় আসার। পাঁচ বছরের কাজকর্মে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সাফল্যে জনসন্তুষ্টি ঘটাতে পারলে পরবর্তী মেয়াদে ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত হয়ে যায়।


আমাদের বর্তমান সরকার প্রধান চারপাশের সমালোচনার জবাবে প্রায়ই ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তাঁদের সাফল্যের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। যুক্তিসংগতভাবেই তিনি তা উল্লেখ করতে পারেন। সৎ, আদর্শবাদী শিক্ষামন্ত্রী কিংবা অনুরূপ প্রকৃতির দক্ষ কৃষিমন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে কারো অভিযোগ নেই। নেই আরো দু-চারজন সম্বন্ধে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করা, যদিও বড়ো ধীরগতিতে চলছে এ প্রক্রিয়া। এ ধরনের একাধিক কাজে সরকারের সাফল্য তো রয়েছেই।
কিন্তু এর বিপরীত চিত্রটা সমালোচনার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। যেমন_যোগাযোগ পরিবহন (নৌ ও স্থলপথে), রাস্তাঘাট, সেতু ইত্যাদি নিয়ে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা বিরোধী দলের জন্য একটা সুবিধাজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে পদ্মা সেতু বিতর্ক এবং শেয়ারবাজারের ধস। তবে যা মধ্যবিত্ত থেকে সাধারণ মানুষকে অস্থির করে তুলেছে, তা হলো দৈনন্দিন ব্যবহারের দ্রব্যমূল্য এককথায় কাঁচাবাজার, যেটা না হলে ছাপোষা মানুষেরও দিন চলে না। কিন্তু এখানকার লোভী ও স্বার্থপর বাজার নিয়ন্ত্রক চক্রকে কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছে না। বাগে আসছে না আরো একাধিক খাত। দামের সে কী ঊর্ধ্বগতি। অথচ বাগে আনা দরকার ছিল। ছিল উভয় দিককার স্বার্থে। কিন্তু ইত্যাকার বিষয় নিয়ে সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতার মূল্যায়ন আজকের আলোচ্য বিষয় নয়। সংসদীয় একটি তাত্তি্বক বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা, যা একাধারে বিস্ময়ের ও বেদনার। প্রায় ৪০ বছর হতে চলল স্বাধীন বাংলাদেশে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা চলছে; কিন্তু তা সত্ত্বেও এ দীর্ঘ সময়ে এ ব্যাপারে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চায় আমাদের সংসদ সদস্যরা ধাতস্থ হতে পারেননি।
এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন সরকারি দল বা বিরোধী দল প্রায় এক কাতারে। রাজনৈতিক বিচারে ক্ষমতায় আসীন সরকারের অবস্থান যেহেতু অধিক গুরুত্বপূর্ণ, তাই তাদের ভূমিকাই প্রথম বিবেচ্য, বিরোধী দলের কথা তার পরে। একটি জনপ্রিয় দৈনিকে প্রকাশিত খবরে (২৮.১০.২০১১) দেখেছি, মন্ত্রীদের অধিকাংশ সংসদে অনুপস্থিত, আর তা-ই নিয়ে সরকারদলীয় সিনিয়র-জুনিয়র সদস্যদের উত্তেজিত প্রতিক্রিয়া। কারণ মন্ত্রীরা উপস্থিত না থাকলে সংসদে প্রশ্নোত্তর-পর্ব একেবারে মাঠে মারা যায়।
এর আসল কারণ হলো, প্রধানমন্ত্রী জরুরি কাজে বিদেশ সফরে। তাই সংসদে উপস্থিত না থাকলেই বা কী। তাই জনৈক সিনিয়র সংসদ সদস্য তাঁর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এভাবে_'৪০-৪২ জন মন্ত্রীর তো একসঙ্গে কাজ থাকতে পারে না' যে তাঁরা সংসদে হাজির থাকবেন না। এ অভিযোগের পেছনে যুক্তি আছে। কারণ নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাজকর্ম বা অভিযোগ সম্বন্ধে জানতে হলে সংসদে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর উপস্থিতি অপরিহার্য। কারণ সংসদের কাছেই তো মন্ত্রিসভার কাজকর্মের জবাবদিহিতা।
এটা ভালো লক্ষণ যে ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন সিনিয়র সদস্য অর্থাৎ সংসদ সদস্য মন্ত্রীদের অনুপস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এমনকি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু জবাব দেওয়ার জন্য সংসদীয় দলের ভারপ্রাপ্ত নেত্রীও সংসদে উপস্থিত ছিলেন না। প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে তাঁর উপস্থিত থাকা খুবই জরুরি ছিল। অবাক হওয়ার কিছু নেই যে প্রধানমন্ত্রী সংসদে অনুপস্থিত থাকলে কখনো কখনো কোরামের অভাবে সংসদ অধিবেশন অচল হয়ে পড়ে। তাই বলতে হয়, শুধু উপস্থিতিতিই নয়, আরো নানা কারণে আমাদের দেশে সুস্থ সংসদীয় সংস্কৃতির বিকাশ দীর্ঘ চার দশকেও ঘটেনি। সেদিকে কারো নজর নেই।
অবাক হই না, যখন সরকারদলীয় সিনিয়র সংসদ সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন! কেন সার কিনতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব এমনকি কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান পর্যন্ত বিদেশে? তাই তাঁর প্রশ্ন, 'আমিও মন্ত্রী ছিলাম, সার কিনতে তো আমি বিদেশে যাইনি।' সত্যি, সার কিনতে এতজনের বিদেশে যাওয়ার পেছনে খুব কি কোনো যুক্তি আছে। গরিব দেশ_যতটা অর্থব্যয় বাঁচানো যায়, ততটাই তো ভালো। কেমিক্যাল করপোরেশনে থাকাকালীন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায়ও বলতে পারি, সার কিনতে এতজনকে বিদেশে যেতে কখনো দেখিনি। আসলে ব্যয়-সংকোচন আমাদের ধাতে নেই। বিশেষ করে সমষ্টিগত ক্ষেত্রে বা জাতীয় পর্যায়ে। ওই যে কথায় বলে, 'কম্পানিকা মাল দরিয়া মে ঢাল'_এখন কম্পানির জায়গায় সরকার। সেখানে পরিমিত ব্যয়ের কথা কেউ ভাবে না।
এ ঘটনার সূত্র ধরেই বলি, বাংলাদেশের পরিচিতি দরিদ্র দেশ হিসেবে। এর অর্থনীতি এখনো যথেষ্ট দুর্বল। এটা সরকারের অজানা নয়। সে ক্ষেত্রে সরকার কি ভাবতে পারে না বিভিন্ন খাতে ব্যয়-সংকোচের নীতি গ্রহণ করতে, যাতে গুচ্ছের বিদেশি মুদ্রার খরচ কমে আসে। শুধু মিতব্যয়িতা বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট নয়, দরকার আপাতত কৃচ্ছ্রসাধনা, অন্তত কয়েক দশকের জন্য। এ নীতি কিন্তু ভারত গ্রহণ করেছিল পঞ্চাশের দশক থেকেই, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে। কয়েক দশক পর তাদের আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
অথচ আমরা বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভয়াবহ রকম উদার। তাতে বিদেশি মুদ্রা তথা জাতীয় সঞ্চয় যতই খরচ হোক না কেন। বিশেষজ্ঞ গ্রুপের বিদেশযাত্রা অনায়াসে সংখ্যায় কমিয়ে আনা যায়। শুভেচ্ছাযাত্রায় ৪০ বা ৮০ জন কী দরকার? বন্ধ থাক না কিছুদিন এ ধরনের বিদেশ ভ্রমণের বিলাসিতা। এ প্রসঙ্গে আরো একটি কথা বলি, বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি কি আমাদের এই গরিব দেশের পক্ষে মানায়? ভারত আমাদের তুলনায় আয়তনে অনেক বড় দেশ। তাদের আন্তর্জাতিক অবস্থানও যথেষ্ট উচ্চে। তাদের যদি মুড়ির টিন-মার্কা অ্যাম্বাসাডর গাড়িতে কাজ চলে, তাহলে আমাদের সাদামাটা গাড়িতে কাজ চলবে না কেন, মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে কেন? ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কংগ্রেস প্রধান ও লোকসভার স্পিকার এ ব্যাপারে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। আমরা পারব না কেন?
আমি শুধু সরকারের কথা বলছি না। বেসরকারি খাতে দুর্মূল্য বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি চালু থাকবে কেন? ব্যবসায়ী, শিল্পপতি যুক্তি দেখাতে পারেন, 'আমার টাকায় আমি গাড়ি কিনব, তাতে সরকারের অসুবিধা কোথায়?' হ্যাঁ, অসুবিধা আছে। নিজের টাকায় গাড়ি কেনা হলেও বৈদেশিক মুদ্রা খরচের ধাক্কাটা তো বাংলাদেশ ব্যাংক তথা সরকারকে পোহাতে হয়। এর প্রভাব পড়ে জাতীয় অর্থনীতিতে। বিত্তবান বাংলাদেশিরা খরচ কমিয়ে একটু দেশপ্রেম দেখালে আখেরে তো দেশের লাভ। লাখ টাকার গাড়ি আর কোটি টাকার গাড়িতে 'স্ট্যাটাস মূল্য' ছাড়া কতটুকুই বা ফারাক?
এ ধরনের বহু খাত আছে, যেখানে পরিমিতিবোধ আমাদের জাতীয় সঞ্চয়ে সাহায্য করতে পারে। ঈদুল আজহা সামনে রেখে উদাহরণস্বরূপ বলি, এক-দুই লাখের কোরবানির বদলে ২০-২৫ হাজার টাকায় কাজটা সারলে পুণ্য অর্জনে তো কোনো কমতি পড়বে না। বরং বাকি টাকাটা কোনো গরিবকে দান করলে তার উপকার হবে, দাতারও বাড়তি পুণ্য হবে। কোরবানিতে প্রতিযোগিতার বিশাল ব্যয় কি ধর্মগ্রন্থ অনুমোদন করে? বরং বলা যায়, বিত্ত-বৈভবের বাহ্য প্রদর্শনী ধর্মীয় মূল্যবোধের পরিপন্থী, আধুনিক গণতান্ত্রিক চেতনায় তো বটেই।
আমরাও মূল বক্তব্যে ফিরে যাই। দরিদ্র দেশে বিত্ত-বৈভবের প্রতিযোগিতা বা প্রদর্শনী একেবারেই বেমানান। এ কথার সূত্রেই বলা চলে, ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশের চিন্তা কিছুদিন দূরে সরিয়ে রেখে দেশের ভালো-মন্দের দিকে একটু নজর দিলে দেশ ও দশের জন্য ভালো হতো। বাংলাদেশ হয়তো একসময়কার অনেক অখ্যাতি, অনেক দুর্নাম মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পারত। এ জন্য মিতব্যয়িতার প্রয়োজন যেমন ব্যক্তিপর্যায়ে, তেমনি সমষ্টিগত পর্যায়ে অর্থাৎ বেসরকারি-সরকারি উভয় দিকের জন্য অপরিহার্য। সরকার এ বিষয়ে অন্যদের পথ দেখাতে পারে নিজেদের আচরণ দিয়ে, উদাহরণ সৃষ্টি করে এবং আইন প্রণয়নের মাধ্যমে।
সংসদে উপস্থিতি প্রসঙ্গে সংসদ সদস্য শেখ সেলিমও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, মন্ত্রীদের না পাওয়া গেলে সমস্যা সংকটের জবাবদিহিতার কী হবে? ঠিকই তো, এতে প্রকৃতপক্ষে সংসদ অকার্যকর বিবেচিত হতে পারে। কারণ সরকারের ভালো-মন্দ সব কাজের জবাবদিহিতা তো সংসদের কাছে। আর জবাবদিহিতা না থাকলে কোনো কাজের স্বচ্ছতা সম্বন্ধে নিশ্চয়তা মেলে না। প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাচ্ছি সংসদে সুআচরণের সংস্কৃতি গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিতে। কারণ তিনিই সরকার প্রধান। তাঁর নির্দেশে সেটা সম্ভব। শুধু উপস্থিতি নয়, সংসদে সংসদ সদস্যদের আচরণবিধিও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। কয়েক বছর আগে একদিন সংসদের কার্যক্রম দেখতে গিয়ে যা অভিজ্ঞতা হলো তা না বলাই ভালো।
'সংসদকে কার্যকর করতে হবে'_এমন আপ্তবাক্য হরহামেশা শোনা যায় দেশি-বিদেশি বিশিষ্টজনদের মুখে। কিন্তু কিভাবে তা হবে? মন্ত্রীরা আজকে সংসদে আসেননি; কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কাল নিশ্চয়ই আসবেন। কিন্তু বিরোধী দল? প্রায় তিন বছর হয়ে গেল তারা লাগাতার সংসদ বর্জন করে যে অনাচারী সংসদীয় সংস্কৃতির পরিচয় রাখছে তা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়_নির্বাচনী এলাকার জনগণের কাছে কী জবাব দেবে তারা? রক্ষা, জনগণ প্রশ্ন করেন না।
কোন সারিতে কতজন বসবেন_সামনে না পেছনে_এ নিয়ে বছরের পর বছর সংসদ বর্জনের পেছনে কোনো যুক্তি নেই। সংসদ যদি এতই অপাঙ্ক্তেয় হয়ে থাকে তাহলে সম্মানীভাতা নিচ্ছেন কেন? বরং সাহস করে পদত্যাগের মাধ্যমে জনগণকে জানিয়ে দিন কী কী কারণে আপনারা সংসদ ছেড়ে এসেছেন। পদত্যাগ কিন্তু অন্যায় স্বীকার বা প্রতিবাদের যুক্তিসংগত মাধ্যম। আশপাশের দেশ বা বিদেশের দিকে তাকালে এমন উদাহরণ বিস্তর মিলবে। তাই পদত্যাগ করে বিরোধী দল নৈতিক সাহসের উদাহরণ রাখে না কেন?
কিন্তু তারা তা করবে না। স্বার্থ এমনই জিনিস যে সেদিক থেকে হাত গুটিয়ে নেওয়া যায় না। তাই তুচ্ছ অজুহাতে সংসদে যাব না; কিন্তু সম্মানীভাতা, সুযোগ-সুবিধা_সব কিছু দুই হাত ভরে নেব_তা যতই অনৈতিক ও অযৌক্তিক হোক। অথচ তারা সংসদে এলে পদ্মা সেতু, শেয়ারবাজার, বিদ্যুৎ, দ্রব্যমূল্য, তেল-গ্যাস ইত্যাদি বহু বিষয় নিয়ে যৌক্তিক বিচার-ব্যাখ্যায়, বাদ-প্রতিবাদে, আলোচনা-সমালোচনায় সংসদ প্রাণবন্ত হয়ে উঠতে পারত এবং সরকারকে জবাবদিহিতায় পড়তে হতো_থাকুক না তাদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
তবুও দেখে ভালো লাগছে যে বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে অন্তত কয়েকজন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অনেকটা বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়েছেন। শেখ সেলিম তো শেয়ারবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের দুর্দশার কথা বলে অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করতে দ্বিধা করেননি। সত্যি কী দুর্ভাগ্য শেয়ারবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী সাধারণ মানুষের! এক সেবাব্রতী লেখিকা জামিল আখতার বীনু অবশ্য ক্ষুব্ধ কণ্ঠেই বলেন, 'শেয়ারবাজারের ফাটকাবাজি যারা বোঝে না তারা কেন ওই ফাঁদে পা দিতে যায়? যায় কি আর সাধে_যায় এ আশায়, যদি শিকে ছিঁড়ে কিছু পেয়ে কপাল ফেরে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা তো এখন কঠিন লড়াই।
আবারও বলি, বড় তুচ্ছ কারণে অন্ধ জেদের বশবর্তী হয়ে বিরোধী দল সংসদ বর্জনের যে অসংসদীয় দৃষ্টান্ত রেখেছে, তা ভবিষ্যৎ সংসদের জন্য এক অশিষ্ট উদাহরণ হয়ে রইল_যা সুস্থ সংসদীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী। ভবিষ্যতে হয় তো অন্য প্রান্ত থেকে অনুরূপ আচরণের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। তবু আশা করব, তা যেন না ঘটে।
লেখক : ভাষা সংগ্রামী, রবীন্দ্রগবেষক, কবি ও প্রাবন্ধিক

No comments

Powered by Blogger.