মঙ্গলে প্রথম পদচিহ্ন হবে নারীর!

নিল আর্মস্ট্রং তার দুই পুরুষ সহযাত্রী নিয়ে চাঁদের বুকে এঁকেছিলেন প্রথম মানুষের পদচিহ্ন। এবার বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মঙ্গলে মানুষের প্রথম পদচিহ্ন আঁকতে পারেন কোনো নারী নভোচারী। ২০৩৩ সাল নাগাদ গ্রহটির দুটি চাঁদের যে কোনো একটিতে তারা অবতরণ করার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। খবর ডেইলি মেইলের। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যতটা মঙ্গল গ্রহের দূরত্ব তার চেয়ে ১৫০ গুণ বেশি।


পৃথিবী থেকে মঙ্গল গ্রহে যেতে ও ফিরে আসতে সময় লাগবে দেড় বছর। বিজ্ঞানীদের আশা, চাঁদের চেয়ে ১৫০ গুণ বেশি দূরত্বের মঙ্গলে মানুষের পদচিহ্ন আঁকতে পারেন একজন নারী নভোচারীও।
নাসার কর্মকর্তা কলিন হার্টম্যান সম্প্রতি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বলেন, চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন পুরুষরা।
মঙ্গল গ্রহে যে কারও প্রথম পা পড়তে পারে। যেহেতু মঙ্গল অভিযানের আরও প্রায় ২০ বছর বাকি আছে সে জন্য এখন যারা ১১ থেকে ১২ বছর বয়সী কিশোরী তাদের মধ্যে মঙ্গল অভিযানের আগ্রহ তৈরি করতে হবে। পরে তাদের মধ্য থেকে যে কেউ হতে পারে মঙ্গল অভিযাত্রী। নাসার নারী মহাকাশ বিশেষজ্ঞ লকহিদ মার্টিন বলেন, অভিযাত্রী হিসেবে কেবল পুরুষদের বেছে নেওয়া হয়। আর নানা প্রতিকূলতার কারণে অনেক নারীই শেষ পর্যন্ত মহাকাশ গবেষণার শিখরে পেঁৗছতে পারেন না। পরিসংখ্যানও বলছে একই কথা। যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০ নারী মহাকাশ বিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অথচ নাসায় কাজ করেন মাত্র ৩৯ জন নারী। ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে নাসার এক্সপ্লোর মার্সের শিক্ষা ও লবিং গ্রুপের সভাপতি আর্টেমিস ওয়েস্টার্নবার্গ বলেছেন, আমরা নারীদের বলতে চাই, এ জগৎটা কেবল পুরুষদের জন্য নয়, এটা তাদের জন্যও উন্মুক্ত।

No comments

Powered by Blogger.