লড়াই করেই খুশি মিসবাহ

খানিক আগেই আউট হয়ে গেছেন উমর আকমল। হঠাৎ ক্যামেরা খুঁজে পেল তাঁকে, ড্রেসিংরুমের বাইরের সিঁড়িতে থুতনিতে হাত দিয়ে বসে আছেন। তখনো পায়ে প্যাড, মুখে রাজ্যের হতাশা। শহীদ আফ্রিদির রান আউটে পাকিস্তানের শেষ আশাটাও নিভে যাওয়ার পর আবার ক্যামেরা আকমলের দিকে। বসে আছেন সেভাবেই, থুতনি থেকে হাত দুখানি শুধু দুই গালে। পাকিস্তানকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন তিনি, তাঁর জন্যই যে আবার ম্যাচটা হাত থেকে ছিটকে গেল!
নায়ক হতে হতে খলনায়ক ছোট আকমল আর আরও একবার শ্রীলঙ্কার জয়ের নায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি মালিঙ্গা, সঙ্গীরা যে লড়ার মতো রানই এনে দিতে পারেননি (১৩১)। খুব ভালো না হলেও পরশু মোটামুটি একটা স্কোর গড়লেন ব্যাটসম্যানরা (২৩৫), মালিঙ্গাও জ্বলে উঠলেন। মোহাম্মদ হাফিজ ও ইউনুস খানকে ফেরালেন প্রথম ওভারেই। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে থিতু হয়ে যাওয়া সরফরাজ আহমেদকে (২৪) ফিরিয়ে হলেন ম্যাচ-সেরা (৩/৩৬)। ২৫ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয়টি দুবাইতেই, আগামী পরশু।
এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের একমাত্র সেঞ্চুরি পাওয়া আকমল মনে হচ্ছিল আরেকটি সেঞ্চুরি পেয়েই যাবেন। ১১ রানে ৩ আর ১০২ রানে ৫ উইকেট হারানো দলকে টানছিলেন বলতে গেলে একাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাটা পড়েছেন সেই পুরোনো রোগেই। দিলহারা ফার্নান্ডোকে টানা তিনটি চার মেরে পরের বলে আবার তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন মিড অনে (১০২ বলে ৯১)। অনেক দিন পর আফ্রিদির ব্যাটে ছিল ম্যাচ-জয়ী ইনিংস খেলার ইঙ্গিত (১৪ বলে ২৯), কিন্তু তাঁর রান আউটেই শেষ পাকিস্তানের আশা।
হারের মাঝেও অবশ্য ইতিবাচক দিক খুঁজে পেয়েছেন মিসবাহ, ‘শুরুতে ৩ উইকেট হারানোর পরও আমরা দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। সবাই লড়াই করেছে। দিনটা আমাদের ছিল না, স্রেফ ৫০ ওভার খেলতে হতো, যা আমরা পারিনি।’
জিওফ মার্শের কোচিংয়ে এই প্রথম জয় পেল শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০-তে হারার পর হেরেছিল প্রথম ওয়ানডেও। দিলশানের কণ্ঠে তাই স্বস্তি, ‘জয়টা খুবই প্রয়োজন ছিল আমাদের। সিরিজ এখন উন্মুক্ত। আশা করি, সামনের ম্যাচগুলোতেও আজকের মতো খেলতে পারব।’

No comments

Powered by Blogger.