৯৫ শতাংশ সিআইবি রিপোর্ট অনলাইনেই পাওয়া যাচ্ছে

নলাইনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সমস্যা চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তা সত্ত্বেও ৯৫ শতাংশেরও বেশি ঋণগ্রহীতার সিআইবি রিপোর্ট অনলাইনেই সংগ্রহ করতে পারছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনলাইনে সিআইবি রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি সমস্যা চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।


এগুলো হচ্ছে_কোনো বড় গ্রাহকের এক হাজার লাইনের বেশি ঋণ তথ্য থাকলে তার রিপোর্ট অনলাইনে সংগ্রহ করতে পারছে না ব্যাংকগুলো; দ্বিতীয়ত, কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রতিষ্ঠান হলে সেসব প্রতিষ্ঠানের ঋণতথ্য সিস্টেমে দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো; তৃতীয়ত, একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ব্যাংকের আপলোড করা তথ্যের ভিন্নতার কারণে সিস্টেমের মাধ্যমে রিপোর্ট পাওয়া অনেক সময় সম্ভব হচ্ছে না।
তবে এসব সমস্যা সিআইবি রিপোর্ট অনলাইনে দেওয়ান কার্যক্রমে তেমন প্রভাব ফেলেনি। ব্যাংকগুলো ৯৫ শতাংশেরও বেশি গ্রাহকের সিআইবি রিপোর্ট অনলাইনে সংগ্রহ করতে পারছে। সিআইবি অনলাইন কার্যক্রম চালু হওয়ার আগে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠানো সিআইবি রিপোর্টের জন্য আবেদনের পরিমাণ ছিল দৈনিক গড়ে প্রায় ছয় হাজার।
গত ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত পুরনো পদ্ধতিতে আবেদনের পরিমাণ ছিল দৈনিক গড়ে ২৮০টি, যা আগের তুলনায় ৪.৬৬ শতাংশ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রয়োজনীয় সিআইবি রিপোর্টের ৯৫ শতাংশেরও বেশি অনলাইন প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই সংগ্রহ করছে। সিআইবি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এইচ এম কায় খসরু কালের কণ্ঠকে বলেন, 'যেকোনো নতুন সিস্টেম চালু করতে গেলে এতে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সমস্যাগুলো ক্রমান্বয়ে সমাধানের মাধ্যমেই একটি ত্রুটিমুক্ত সিস্টেম চালু হয়। আমরা ইতিমধ্যেই সিআইবি রিপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনটি প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করতে পেরেছি। সিস্টেমের এসব সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যেই সফটওয়্যারটির ভেন্ডর ক্রিফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই এসব সমস্যারও সমাধান হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।

No comments

Powered by Blogger.