নাসিক নির্বাচন-২০১১ : শামীমকে সমর্থনে স্থানীয় আওয়ামী লীগে গৃহবিবাদ, নগরবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া by আবু সউদ মাসুদ,

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষপর্যন্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাবেক এমপি শামীম ওসমানকে সমর্থন দেয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগে দেখা দিয়েছে গৃহবিবাদ। একপক্ষ আনন্দিত, অপরপক্ষ ক্ষুব্ধ। নগরবাসীর মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সমর্থনপ্রত্যাশী সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভী নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলে আবারও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি বিশাল অংশও নির্বাচনে তার প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়াবে না বলে আইভী দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ নারায়ণগঞ্জে কার্যত দু’ভাগ হয়ে পড়েছে।


এদিকে শামীম ওসমান ও আইভী দু’জনই নির্বাচনে অংশ নেয়ায় আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগি হবে এবং লাভবান হবেন বিএনপি প্রার্থী—এমনটাই মনে করছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকারের সমর্থকসহ সাধারণ মানুষ। গতকাল বুধবার বিকালে তৈমূর আলম শহরের কিল্লারপুল, তল্লা ও খানপুর এলাকায় গণসংযোগ করেন। তার সঙ্গে জনসংযোগে অংশ নেন বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ শামীম ওসমানকে সমর্থন দিলেও ব্যাপক গণসংযোগ করছেন ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভী। এদিকে দলের সমর্থন পেয়ে শামীম ওসমানের গণসংযোগ আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে।
গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত আইভী ও শামীম ওসমান দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডে প্রচারণা চালান। আইভীর গণসংযোগের সময় জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শহীদুল্লাহ, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিএম আরাফাত উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহসভাপতি হায়দার আলী পুতুল, আওয়ামী লীগের খাজা রহমতউল্লাহসহ অনেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় আইভীর পক্ষে গণসংযোগ চালান। অপরদিকে শামীম ওসমানের সঙ্গে ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু প্রমুখ। এছাড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদ বাদল, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান দীপু প্রমুখ শামীম ওসমানের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
শামীমকে আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয়ার পর জেলার শীর্ষ নেতাদের বড় অংশ আইভীর পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। থানা পর্যায়ের নেতারা শামীম ওসমান সমর্থক। ফলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দু’ভাগ হয়ে আইভী ও শামীমের জন্য মাঠে নেমেছেন। ডা. আইভীর পক্ষে দিন-রাত প্রচারণা চালাচ্ছেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল কাদির, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন আহমেদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রিয়াজ উদ্দিন রেনু, শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিএম আরাফাত প্রমুখ। এর মধ্যে আনোয়ার হোসেন শহরের ৯টি ওয়ার্ড ও আবদুল কাদির সিদ্ধিরগঞ্জের ৯টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করছেন। আইভীকে বিজয়ী করতে আওয়ামী লীগের ওই অংশটি এখন মরিয়া।
শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ৪০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছি। চেষ্টা করেছি গণমানুষের পাশে থাকতে। পেশিশক্তির রাজনীতির সঙ্গে কখনোই নিজেকে জড়াইনি; বরং নিজ দলের চিহ্নিত ও বিতর্কিত পেশিশক্তির হাতে চরমভাবে নিগৃহীত হয়েছি। তারপরও দল কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পক্ষান্তরে নারায়ণগঞ্জে সেই পেশিশক্তির পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে দলীয় হাইকমান্ড। এই রাজনীতি করার ইচ্ছা আর নেই। আইভী নারায়ণগঞ্জে জনপ্রিয় এবং গণমানুষের নেতা, তাই তার পক্ষেই নির্বাচন করছি। এটিই আমার শেষ নির্বাচন। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সাধারণ মানুষের মতামত উপেক্ষা করার মতো দুঃসাহস আমার নেই।
জেলা যুবলীগ সভাপতি আবদুল কাদির বলেন, সাত বছর মেয়র থাকাকালে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের কাছে আওয়ামী লীগকে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে গ্রহণযোগ্য করে তুলেছেন আইভী। তিনি প্রমাণ করেছেন নারায়ণগঞ্জে পেশিশক্তির ব্যবহার ছাড়া আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হতে পারে। অন্তত দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি যে নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসের কলঙ্কে কলঙ্কিত ছিল, তা থেকে তিনি মুক্ত করেছেন। ফলে এখানকার মানুষও আইভীকে এবার সমর্থন জানাতে ভুল করেনি। ইনশাল্লাহ আইভী জয়ী হবেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আহ্বায়ক নাজিমউদ্দিন বলেন, আমি এবং আমার কর্মীরা শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভীর পক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। দলীয় যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন, আমাদের এ অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না। আমরা আইভীর পক্ষে আছি এবং থাকব।
শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল বলেন, আমাদের এবারের লড়াই মূলত নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ থেকে চিরদিনের মতো সন্ত্রাস বিদায় করা। এটি নির্দলীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনেই আমরা দলীয় হাইকমান্ডের কাছে প্রমাণ করতে চাই সাধারণ মানুষ পেশিশক্তির রাজনীতি আর গ্রহণ করছে না। আগামী ৩০ অক্টোবরই প্রমাণ হবে দলের সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল। দল যদি তাকেই সমর্থন জানাবে, তাহলে এত নাটকীয়তার দরকার ছিল না। তবে দলীয় হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইভীর পক্ষে কাজ করছি। এত পরে এসে দলীয় হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্তই গ্রহণ করুক না কেন, আমাদের আর ফিরে আসার কোনো পথ নেই। কারণ এলাকা নিয়ে আমাদের রাজনীতি।
অপরদিকে শামীম ওসমানের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত বাদল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক সাগর, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাবুদ্দিন প্রমুখ। আওয়ামী লীগের এ অংশটি শামীমকে বিজয়ী করতে মাঠে নেমেছে।
দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের ঘোষণার পর শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে নেমে আসে আনন্দের জোয়ার। সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২৭টি ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতাকর্মীরা হয়ে উঠেছেন উজ্জীবিত।
শামীম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে থাকা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান দীপু বলেন, দল নারায়ণগঞ্জের একজন ত্যাগী নেতাকে সমর্থন জানিয়ে আবারও প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। দলের জন্য নিবেদিত নেতাকে আওয়ামী লীগ পুরস্কৃত করে। এখন শামীম ওসমানের বিজয় আর কেউ ঠেকাতে পারবে না ইনশাল্লাহ।
শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা জানান, শামীম ওসমানকে যথাযোগ্য সম্মানটি দেয়া হয়েছে। দলের প্রতি তার আত্মত্যাগ অনস্বীকার্য। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে শামীম ওসমানের কোনো বিকল্প নেই। সাংগঠনিকভাবে শামীম ওসমান একজন সুনিপুণ কারিগর।
এদিকে সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে কথা বলে জানা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ বলছেন, নাটকের পর ঘোষণা আসায় আওয়ামী লীগ সমর্থনপুষ্ট প্রার্থীর লাভের চেয়ে ক্ষতি হবে বেশি। আবার কেউ বলছেন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয়ভাবে কোন ধরনের রাজনীতি লালন করে তা নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। আবার কেউ বলছেন, শামীম ওসমানকে দল থেকে সমর্থন দেয়ায় লাভবান হবেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার। আওয়ামী লীগ সমর্থক ভোটের একটি অংশ চলে যেতে পারে তৈমূর আলমের পক্ষে।
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না আইভী : দলের সমর্থন না পেলেও কোনো কিছুতেই ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভী নির্বাচন থেকে সরবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি কোনো কিছুতেই এখন আর পিছপা হবো না। আর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর তো প্রশ্নই আসে না। কেউ আমাকে এখন রুখতে পারবে না। কারণ নারায়ণগঞ্জের জনগণের ইচ্ছায় আমি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্তরের মানুষ আমার জন্য আমার সঙ্গে রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমি বেঈমানি করতে পারি না। নারায়ণগঞ্জবাসীকে সঙ্গে নিয়েই আমি লড়ে যাব।
ভোটের হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত প্রার্থীরা : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর মাত্র ১০ দিন বাকি। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে, প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ততই বাড়ছে। প্রার্থীরা দিন-রাত ছুটছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। চালাচ্ছেন গণসংযোগ। মেয়র পদে ৬ প্রার্থী মাঠে থাকলেও মূলত আলোচনায় তিন মেয়র প্রার্থী—বিএনপি সমর্থিত ও জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভী ও সাবেক এমপি শামীম ওসমান। প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করতে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আগামী ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রার্থী ঠিক করতে ভোটারদের নজরদারিতে এখন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা ভোটের হিসাব-নিকাশে ব্যস্ত। ভোটাররা তাদের যোগ্য প্রার্থীদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।
আট কাউন্সিলর প্রার্থীকে জরিমানা : আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ডের আট কাউন্সিলর প্রার্থীকে ৫৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বিকাল সোয়া চারটা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে পৃথক অভিযানে এ জরিমানা আদায় করা হয়।
নাসিক নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসাইন জানান, ১৩নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী রবিউল হোসেন ও মহিউদ্দিন আহম্মেদ লিটনকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ওয়ার্ডের ছয় কাউন্সিলর প্রার্থীকে মোট ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে তাত্ক্ষণিক বাকি ছয়জনের পরিচয় জানাতে পারেননি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
সিইসি না’গঞ্জ আসছেন ২৩ অক্টোবর : প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা আগামী ২৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ আসছেন। তিনি প্রথমে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে বৈঠক করবেন। পরে জিয়া হলে প্রার্থী ও ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। একই সময়ে সুজন ১০টি ওয়ার্ডে প্রার্থীদের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করবে। তিনি কোনো একটি অনুষ্ঠান পরিদর্শন করবেন।
আকরাম আজ আইভীর পক্ষে মাঠে নামছেন : নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি এসএম আকরাম আজ থেকে আইভীর পক্ষে মাঠে নামছেন। ফলে এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থনবঞ্চিত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত্ আইভীর স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়ার ষোলকলা পূর্ণ হচ্ছে। রাজনীতিতে ক্লিনম্যান হিসেবে পরিচিত সাবেক এমপি এসএম আকরামের এই আকস্মিক মাঠে নামার ঘোষণায় নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে নাটকীয় মোড় নিতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল ধারণা করছে। এ ব্যাপারে এসএম আকরাম বলেন, আমি জেলার আহ্বায়ক, দল থেকে প্রার্থী সমর্থনের ঘোষণা দেয়া হলো অথচ আমাকে কিছুই জানানো হলো না। কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের পাশ কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে আর আমরা ঘরে বসে থাকব তা তো হয় না। এ ঘটনার প্রতিবাদে আমি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দলীয় এ সিদ্ধান্তে চরমভাবে ক্ষুব্ধ। আমি আগেও আইভীর সঙ্গে ছিলাম। এখনও আছি। আমার দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়েই বৃহস্পতিবার থেকে আমি আইভীর জন্য নির্বাচনী গণসংযোগে নামছি। কেন্দ্রীয় নেতাদের চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করেছি। ইনশাল্লাহ এবার নারায়ণগঞ্জে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটবে।

No comments

Powered by Blogger.