ত্রিপোলিতে হিলারির আকস্মিক সফর

লিবিয়ার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রতি সমর্থন ও দেশটির পুনর্গঠনে সহায়তার আশ্বাস নিয়ে আকস্মিক সফরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে গিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তিনি লিবিয়া পুনর্গঠনে কয়েক মিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা, যুদ্ধাহত সেনাদের চিকিৎসা সহায়তা ও নিরাপত্তা খাতে বেশ কয়েকটি বিষয়ে এনটিসিকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেবেন। খবর এপি, এএফপি, রয়টার্স।গাদ্দাফি-পরবর্তী লিবিয়ায় নতুন এ সহায়তা প্যাকেজ ১১ মিলিয়ন ডলারের বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ১০ মিলিয়ন ডলার লিবিয়ার উদ্ধারকৃত রাসায়নিক অস্ত্র, গ্রেনেডসহ অন্যান্য বিধ্বংসী অস্ত্র অকার্যকর করতে ব্যয় করা হবে।


এ সহায়তার মাধ্যমে লিবিয়াকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ১৩৫ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তা দিল যুক্তরাষ্ট্র। গাদ্দাফি-পরবর্তী এটাই কোনো মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তার লিবিয়ার সফর। এর আগে লিবিয়া সফর করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, তুর্কি প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। একদিনের এ সফরে হিলারি এনটিসি চেয়ারম্যান মোস্তফা আবদেল জলিলসহ শীর্ষ এনটিসি উপদেষ্টাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া সেখানে নতুন করে খোলা মার্কিন দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লিবিয়ায় এনটিসির সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দৃঢ় করা ও পুরো লিবিয়ার নিয়ন্ত্রণে এনটিসিকে সহায়তার আশ্বাস দেবেন হিলারি। একই সঙ্গে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সহায়তা থাকবে। অন্যদিকে এনটিসি জানিয়েছে, তার ত্রিপোলি সফরে শিক্ষার মানোন্নয়ন, আর্থিক উন্নয়ন এবং সুশাসনের বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে।
সিরতে রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ : সিরতে এখনও প্রবল যুদ্ধে সম্মুখীন হচ্ছে গাদ্দাফি বাহিনী। গতকাল গাদ্দাফি অনুগতদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই এনটিসি সেনা নিহত ও আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। কোণঠাসা হয়ে গেছে বুঝতে পেরে গাদ্দাফি অনুগতরা এখন এলোপাতাড়ি গুলি ও মর্টার ছুড়ছে বলে জানিয়েছে এনটিসি যোদ্ধারা। ধীরে ধীরে অনেক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখানে নিজেদের পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে এনটিসি যোদ্ধারা।
এদিকে এনটিসি কমান্ডার মুসা ইউনুস জানান, তারা বনি ওয়ালিদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন গাদ্দাফি সেনারা তাদের ব্যবহৃত সামরিক গাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। সিরতে দখলের মাধ্যমে লিবিয়াকে মুক্ত ঘোষণা করা হবে।

No comments

Powered by Blogger.