আমিরের দিকেও সন্দেহের তীর বাটের আইনজীবীর!

ত দিন এমন সব কথা বলেছেন যা শুনে মনে হয়েছে স্পট ফিঙ্ংিয়ের ব্যাপারে কিছুই জানতেন না সালমান বাট। যেন অকারণেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ইংল্যান্ডের আদালতে শুনানিতে গিয়ে অবশ্য সেই অবস্থান থেকে কিছুটা সরে এসেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টের বিচারকের সামনে তিনি স্বীকার করেছেন ফোন করে তাঁকে স্পট ফিঙ্ংিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাজহার মাজিদ। তবে সেই প্রস্তাব মেনে নিতে নাকি রাজি হননি বাট। যদিও ম্যাচের সময় ঘটনাগুলো ঘটেছে জুয়াড়ি মাজিদের কথামতোই!


মাজিদের কথামতো স্পট ফিঙ্ংিয়ে যদি রাজি না-ই হয়ে থাকেন তাহলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডসের সেই টেস্টে নো বলগুলো কিভাবে হলো_এ প্রশ্নে বাট অবশ্য পাশ কাটানো উত্তর দিয়েছেন। জুয়াড়ি যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবেই মোহাম্মদ আমির আর মোহাম্মদ আসিফের নো বল করাটা তাঁর কাছে স্রেফ 'কাকতালীয়'। তিনি নিজে নাকি দুই সতীর্থকে কখনো নো বল করতে বলেননি। সালমান বাটের চেয়ে তাঁর আইনজীবী আলি বাজওয়া আরো এক কাঠি এগিয়ে। মক্কেলকে বাঁচানোর জন্য তিনি উল্টো দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন বোলারের ওপর, 'বাট একজন ভদ্রলোক। জেনেশুনে কখনো সে এমন কাজ করবে না বা কাউকে করতে দেবে না। তবে মাজহার মাজিদ ও মোহাম্মদ আমিরের ষড়যন্ত্রে কিছু হয়ে থাকলে হতেও পারে।'
এর আগে জেরার সময় সালমান বাট নিজেও স্বীকার করেছেন শুধু লর্ডস টেস্টের সময় নয়, আগেও আরো বেশ কয়েকবার মাজিদ তাঁকে ফোন করে স্পট ফিঙ্ংি ও ম্যাচ পাতানোর নানা প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু এর কিছুই নাকি মেনে নেননি বাট। গত বছর টোয়েন্টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় এক ম্যাচে বাটকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের উইকেট দিয়ে আসার প্রস্তাব করেছিলেন মাজিদ, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে অনুরোধ করেছিলেন কোনো রান না করতে! ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিন রাতে হোটেলে মাজিদের ফোন পাওয়ার পর নাকি প্রস্তাবটা উড়িয়ে দিয়েছিলেন বাট। কিন্তু নাছোড়বান্দা মাজিদ সেটা না শুনে পরের দিন সকালেই আবার তাঁকে ফোন করে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন কথাটা। বিরক্ত হয়ে নাকি বাট পাঞ্জাবি ভাষায় বলেছিলেন, 'ঠিক হ্যায়'। আদালতে ওই 'ঠিক হ্যায়'কেই পরে বাটের বিপক্ষে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও বাট এখন দাবি করছেন 'ঠিক হ্যায়' বলে তিনি মাজিদের প্রস্তাব মেনে নিয়েছেন এটা বোঝাতে চাননি, বরং ফোনে আলাপচারিতাটা যত জলদি পারা যায় শেষ করতে চেয়েছিলেন। লর্ডস টেস্টে নো বলের ক্ষেত্রেও ঠিক এ রকমই ঘটেছে। প্রস্তাব দিয়েছেন মাজিদ, কিন্তু সে প্রস্তাব কানে তোলেননি বাট। তার পরও মোহাম্মদ আসিফ বা আমিরের নো বল করাটা তাই তাঁর কাছে 'কাকতালীয়' এবং তাঁর আইনজীবীর কাছে 'আমির-মাজিদদের ষড়যন্ত্র'! রয়টার্স, বিবিসি

No comments

Powered by Blogger.