অর্ধেক কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা by নিয়াজ মোর্শেদ,এমএ খান মিঠু ও শাহাদাত হোসেন রতন,

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন আড়াইশর বেশি প্রতিদ্বন্দ্বী। প্রায় সাড়ে চার লাখ ভোটারের প্রতিনিধিত্ব করবেন তারা। তাদের ওপর এলাকার উন্নয়ন, সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষা, সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিসহ নানা কাজের দায়িত্ব বর্তাবে। যারা ভোটারদের ভাগ্য পরিবর্তনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ_ সেই কাউন্সিলর প্রার্থী ১১২ জনের বিরুদ্ধেই রয়েছে অসংখ্য মামলা। নাসিক এলাকার বাইরেও দেশের বিভিন্ন এলাকার থানা পুলিশকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে তাদের অপরাধের তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে।


অনেকের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কারও বিরুদ্ধে সাজার রায়ও হয়েছে। আবার এমন প্রার্থীওআছেন, যিনি কারাভোগ করেছেন এবং রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্রবাতিল করেছেন। পরে আদালতের নির্দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরেছেন। আগামী ৩০ অক্টোবর নির্ধারিত হবে কারা কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে সাধারণ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
নাসিক নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সাধারণ আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ৫৩ জনের বিরুদ্ধে বর্তমানে মামলা চলছে। অতীতে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা ছিল। সাধারণ আসনে মোট ১১২ প্রার্থী মামলা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অর্থাৎ প্রায় ৪৫ শতাংশ প্রার্থী নানা কারণে মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জনের বিরুদ্ধে অতীতে হত্যা মামলা ছিল। এখন ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা চলমান। অতীতের হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর নজির পাওয়া গেছে। মামলায় অভিযুক্ত আছেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের নারী প্রতিদ্বন্দ্বীরাও। সংরক্ষিত ৯টি আসনে ৫৬ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা এবং কাউন্সিলর পদে নির্বাচন প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার সমকালকে বলেন, সৎ মানুষ নির্বাচিত হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন এটাই প্রত্যাশা। সুজন কারও বিরুদ্ধে বলছে না। শুধু প্রার্থীদের তথ্য ভোটারদের কাছে পেঁৗছে দিচ্ছে। এসব তথ্য দেখেই ভোটাররা সিদ্ধান্ত নেবেন, কাকে প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচন করবেন। তিনি বলেন, অনেক সময় রাজনৈতিক কারণে মামলা হয়। যাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা, সন্ত্রাস, বিস্ফোরক মামলা রয়েছে তাদের বিষয়ে জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।
১নং ওয়ার্ডে ১৪ প্রার্থীর মধ্যে ৭ জনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে মামলা আছে। হাজী মোঃ ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা ছিল। হাজী মোঃ আনোয়ার ইসলামের মামলা বিশেষ ক্ষমতা আইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এমএ হালিম জুয়েলের বিরুদ্ধে এখন একটি মামলা চলছে। তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা ছিল। মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলছে। অতীতে আরও দুটি মামলা ছিল। মোঃ রওশন আলীর বিরুদ্ধে চারটি মামলা চলছে। অতীতে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে একটি মামলা ছিল।
২নং ওয়ার্ডে ৬ প্রার্থীর মধ্যে ১ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মোঃ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ ১৩টি মামলা ছিল। এখনও একটি মামলা চলছে।
৩নং ওয়ার্ডে ১১ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ রয়েছে। মোঃ মাহবুবুর রহমান লাল চাঁনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা রয়েছে। অতীতের হত্যা মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশেষ বিবেচনায় প্রত্যাহার করেছে। তোফায়েল হোসেনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়। মাহবুব আলম শিপনের বিরুদ্ধে অতীতে একটি মামলা ছিল। শাহজালালের বিরুদ্ধে এখন দুটি মামলা চলছে। মোঃ নুর সালামের বিরুদ্ধে অতীতে কোনো মামলা না থাকলেও এখন একটি মামলা চলমান। আরেক প্রার্থী আকবর হোসেন এখন ৫টি মামলা মাথায় নিয়ে নির্বাচন করছেন।
৪নং ওয়ার্ডে ১১ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মোঃ নজরুল ইসলাম অতীতের দুটি মামলা থেকে খালাস পেলেও ডেমরা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান। হাজী মোঃ হযরত আলীর বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল। এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত নূর হোসেনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ৬টি মামলা থেকে খালাস পেলেও ৪টি মামলা চলছে। নির্বাচন কমিশন নূর হোসেনকে গ্রেফতার করতে পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশ কার্যকর হয়নি। আইয়ুব আলী মুন্সীর বিরুদ্ধে ৩টি মামলা চলছে। এম এ রহিমের বিরুদ্ধে আছে ৩টি মামলা। আমির হোসেনের বিরুদ্ধে অতীতেও একটি মামলা ছিল।
৫নং ওয়ার্ডে ১২ প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আঃ রাজ্জাক মেম্বার অতীতে একটি মামলায় খালাস পেলেও এখনও একটি মামলায় জামিনে আছেন। নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি মামলা চলছে। আসাদুজ্জামান আসাদ ৪টি মামলায় বেকসুর খালাস পেলেও এখনও দুটি মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন।
৬নং ওয়ার্ডে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আবু খান অতীতের ৩টি মামলায় খালাস পেয়েছেন। মতিউর রহমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে মামলায় চ্যাম্পিয়ন। অতীতে তার বিরুদ্ধে হত্যা, খুন, প্রতারণাসহ ২১টি মামলা ছিল। এর কোনোটায় হাইকোর্টের স্থগতাদেশ আছে, কোনোটায় আপস-মীমাংসা করেছেন। এখন তিনি ৩টি মামলায় জামিনে আছেন। আরেক প্রার্থী আকিলউদ্দিন ভঁূইয়া ৩টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও ১০টি মামলায় জামিনে আছেন।
৭নং ওয়ার্ডে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আলাউদ্দিন মেম্বারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি প্রত্যাহার করা হলেও ৩টি মামলায় জামিনে আছেন। যে কোনো সময় গ্রেফতারের ভয় আছে তার। আবদুল রবের বিরুদ্ধে ১টি মামলা আছে। আলী হোসেন আলা দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও চলমান মামলা থেকে অব্যাহতি পাননি।
৮নং ওয়ার্ডে ১৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। কাজী গোলাম আযম দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। দেলোয়ার হোসেন খোকন ৩টি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও একটি মামলা বিচারাধীন। উজ্জ্বল হোসেন দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। মোঃ মোহসিন ভঁূইয়া দুটি মামলা থেকে খালাস এবং চলমান মামলায় খালাসের অপেক্ষায় আছেন। ইসমাঈলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা চলছে। মোঃ জহিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে অতীতে একটি মামলা ছিল।
৯নং ওয়ার্ডে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মোঃ মাসুদুর রহমান দুটি মামলা নিয়ে কাউন্সিলর হতে চাইছেন। মাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি মামলা আছে।
১০নং ওয়ার্ডে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একমাত্র মোঃ মহিউদ্দিন ভঁূইয়ার বিরুদ্ধে অতীতে একটি মামলা ছিল।
১১নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে শুধু ওমর ভঁূইয়া চঞ্চলের বিরুদ্ধে ৩টি মামলা বিচারাধীন।
১২নং ওয়ার্ডে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। শাহাদাত হোসেন ভঁূইয়া ৩টি মামলা থেকে খালাস পেলেও একটি মামলা চলছে। মোঃ আনোয়ার হোসেন আনু ৮টি মামলায় খালাস এবং দুটি মামলায় জামিনে আছেন। মোঃ শওকত হাসেম বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলাসহ চারটি মামলায় জামিনে আছেন। অতীতে তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ৩টি মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়। চলমান চারটি মামলায় তিনি জামিনে আছেন। নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এখন কোনো মামলা না থাকলেও চারটি মামলা ছিল। সাবেক ফুটবলার সম্রাট এমিলি একটি মামলায় জামিনে আছেন।
১৩নং ওয়ার্ডে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মনিরুজ্জামান শাহীনের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলছে। অতীতে ছিল ৪টি মামলা। মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বর্তমানে তিনটি মামলায় জামিনে আছেন। অতীতে দুটি মামলা ছিল। হোসাইন মোহাম্মাদ ৩টি মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। অতীতের একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। আরিফ হোসেন শহিদের বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি মামলা চলছে। শাহ মোহাম্মাদ ফয়েজউল্লাহ তিনটি মামলায় খালাস পেয়েছেন।
১৪নং ওয়ার্ডে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। শফিউদ্দিনের একটি মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে প্রত্যাহার করা হয়। মোঃ দিদার খন্দকার একটি মামলায় জামিনে আছেন। অতীতের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। মোঃ মনির হোসেনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা চলছে। দেবাশীষ ঘোষ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
১৫নং ওয়ার্ডে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে শাহজাদা প্রধান বাবুর বিরুদ্ধে একটি মামলা চলছে।
১৬নং ওয়ার্ডে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
১৭ নং ওয়ার্ডে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে মোহাম্মাদ আবদুল করিম দুটি মামলায় জামিনে আছেন।
১৮নং ওয়ার্ডে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে মোহাম্মাদ কামরুল হাসান মুন্নম্নার বিরুদ্ধে অতীতে ৬টি মামলা থাকলেও এখন কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধেই মামলা নেই।
১৯নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ফয়সাল মোহাম্মাদ সাগরের বিরুদ্ধে ২টি মামলার মধ্যে একটি মামলা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২০নং ওয়ার্ডে ৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মনোয়ার হোসেন শেখন একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। শাহেন শাহ আহম্মেদ অস্ত্র মামলায় জামিনের আগে পালাতক ছিলেন। মোহাম্মাদ সোহেল করিম রিপন একটি মামলায় জামিনে আছেন এবং অতীতের তিনটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
২১নং ওয়ার্ডে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মোহাম্মাদ নূর হোসেন অতীতের একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। আবদুর রশীদ অতীতের একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। আজিজুল হক ২টি মামলায় খালাস পেয়েছেন।
২২নং ওয়ার্ডে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মোহাম্মাদ বাহাউদ্দিন একটি মামলায় জামিন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অতীতের দুটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। মোহাম্মাদ অহিদুজ্জামান একটি মামলায় জামিনে আছেন। এবিএম আমিরুল ইসলাম দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।
২৩নং ওয়ার্ডে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। সাইফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বর্তমানে একটি মামলা চলছে। আনোয়ার হোসেন একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। মোহাম্মাদ জাহাঙ্গীর আলম আগেও একটি মামলায় অব্যাহতি পেয়েছেন। মোহাম্মাদ রাহাত মিয়া দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন।
২৪নং ওয়ার্ডে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। আবদুস সামাদ দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। হাজী মোহাম্মাদ শহীদ একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। মোহাম্মাদ শাহ নেওয়াজ তিনটি মামলায় জামিনে আছেন। মোহাম্মাদ জামান খান তিনটি মামলা মাথায় নিয়ে নির্বাচন করছেন।
২৫নং ওয়ার্ডে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে একমাত্র হাফেজ মোহাম্মাদ কবির হোসেনের বিরুদ্ধে ২০০৬ ও ২০০৭ সালে দুটি মামলা হয়। দুটি মামলাতেই তিনি অব্যাহতি পান।
২৬নং ওয়ার্ডে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মোহাম্মাদ ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা ভয়ভীতি দেখিয়ে নিষ্পত্তির অভিযোগ রয়েছে। মোহাম্মাদ মনজুর হোসেনের বিরুদ্ধে অতীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা ছিল।
২৭নং ওয়ার্ডে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। ওয়াহিদুজ্জামান সেলিমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলছে। অতীতের চারটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। সফরউদ্দিন একটি মামলায় জামিনে আছেন। কামরুজ্জামান বাবুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা বন্দর থানায় চলমান।
সংরক্ষিত মহিলা আসন : ১নং আসনে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মোসাম্মৎ নাসরিন সুলতানার বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিল। নাজমা বেগমের বিরুদ্ধে একটি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
২নং ওয়ার্ডে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে মোসাম্মাৎ ডলি আক্তারের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অতীতে একটি মামলা ছিল। ৩নং ওয়ার্ডে মোসাম্মাৎ আয়শা আক্তারের বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন। ৪নং ওয়ার্ডে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে মিনোয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন। ৫নং ওয়ার্ডে রহিমা শরীফ মায়া অতীতের একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও এখন তাকে আরেকটি মামলায় নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। ৬নং ওয়ার্ডে ২ প্রার্থীর কারও বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। ৭নং ওয়ার্ডে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে রিনা নাজিম বন্দর থানার একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন। ৮নং ওয়ার্ডের ৪ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা নেই। ৯নং ওয়ার্ডের ৮ প্রার্থীর বিরুদ্ধেও মামলা নেই।

No comments

Powered by Blogger.