গার্দিওলার স্মৃতি ফিরিয়ে নেওয়া ম্যাচও

তিহাস আর ফর্ম_দুটোই আছে পক্ষে। শেষবার চেক প্রজাতন্ত্রের কোনো দল ন্যু ক্যাম্প সফরে গিয়েছিল সেটা অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক দশক আগের সেই ম্যাচে তুলনামূলক বেশি পরিচিত দল স্পার্টা প্রাগকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বার্সেলোনা। সেই ম্যাচের দলে ছিলেন তো বটেই, একটা গোলও করেছিলেন বার্সেলোনার বর্তমান কোচ পেপ গার্দিওলা। আজ রাতে নিজেদের মাঠে ভিক্তোরিয়া প্লজেনের মুখোমুখি হওয়ার আগে সেই সুখস্মৃতি মনে হতেই পারে গার্দিওলার। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের এইচ গ্রুপের অন্য ম্যাচে আজ আগের ম্যাচেই বার্সেলোনার কাছে ০-৫ গোলে বিধ্বস্ত হওয়া বাটে বরিসভ লড়বে ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলানের বিপক্ষে।


শেষবার যখন মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল, সেটাও প্রায় এক দশক আগেরই কথা, ২০০১-০২ মৌসুমের উয়েফা কাপ ম্যাচটিতে ০-৬ গোলে হেরেছিল বেলারুশিয়ান ক্লাবটি। কাকতালীয় মনে হতে পারে, কিন্তু সেই ম্যাচের দলে ছিলেন বাতে বরিসভ ক্লাবের এখনকার কোচ ভিক্তো গনচারেঙ্কো আর তাঁর দুই সহকারী আলেকসান্দর ফেদেরোভিচ ও অ্যালেঙ্ িবাগা। অর্থাৎ, তাঁরা নামবেন এক দুঃস্মৃতিকে সঙ্গী করে!
এইচ গ্রুপের দুই জায়ান্ট আজকের ম্যাচ দুটিতে প্রত্যাশিত জয় পেলে প্রায় নিশ্চিত করে ফেলবে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠা। একই সুযোগ ই গ্রুপের শীর্ষে থাকা ইংলিশ ক্লাব চেলসিরও, নিজেদের মাঠে আজ তারা আতিথ্য দেবে গ্রুপের তলানিতে থাকা বেলজিয়ান ক্লাব জেঙ্ককে। কিন্তু অন্য দুটি গ্রুপের অবস্থা মোটেই সে রকম নয়। ইদানীং প্রায় সব ম্যাচেই পরীক্ষার মুখোমুখি হওয়া চেলসির প্রতিবেশী আর্সেনাল যেমন আজ মুখোমুখি হবে এফ গ্রুপের শীর্ষে থাকা ফ্রান্সের মার্শেইয়ের, আর জি গ্রুপের দুই বড় দল শাখতার দনেৎস্ক ও পোর্তোর সামনে সুযোগ ঘুরে দাঁড়িয়ে গ্রুপে নিজেদের অবস্থান সংহত করার।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ খেলতে ফ্রান্স গিয়ে কখনো হেরে ফিরতে হয়নি গানারদের। কিন্তু সেসব তো পুরনো দিনের কথা! এ মৌসুমের আর্সেনালের অবস্থা মোটেই আগের মতো নয়। ইংলিশ লিগে দারুণ বিপদে থাকা দলটির বিপর্যয় আরো ঘনীভূত হয়েছে টমাস ভার্মিলেন আর ব্যাকারি সানিয়ার ইনজুরিতে। তার ওপর আজকের ম্যাচে তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বী মার্শেই আছে দারুণ ফর্মে_প্রথম দুই ম্যাচে জয় তো পেয়েছেই, এখনো কোনো গোলও খেতে হয়নি দিদিয়ের দেশমের দলকে। আর্সেন ওয়েঙ্গারের সামনে তাই সত্যিই একটি পরীক্ষা। চ্যাম্পিয়নস লিগের আটটি ম্যাচের মধ্যে আজ এই ম্যাচটাতেই সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করা যায়। বাকি ম্যাচগুলোয় লড়াই হবে অসম!
বার্সেলোনার সামনে ভিক্তোরিয়া, এসি মিলানের সামনে বাটে বরিসভ কিংবা চেলসির সামনে জেঙ্কের লড়াইগুলো যেমন ডেভিড গোলিয়াথের লড়াই বলে বিবেচিত হয়, পোর্তোর সঙ্গে সাইপ্রাসের দল অ্যাপোয়েলের লড়াইটাও সে রকমই। রাশিয়ার জেনিত সেন্ট পিটার্সবুর্গের সঙ্গে ইউক্রেনের শাখতার দনেৎস্কের লড়াইটা হয়তো অত অসম হবে না, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড-অলিম্পিয়াকোস আর ভ্যালেন্সিয়া-বেয়ার লেভারকুসেন ম্যাচেও লড়াই আশা করা যায়। তবে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে নিশ্চয়ই থাকবে আর্সেনাল-মার্শেই ম্যাচ।
বার্সেলোন আর মিলান অবশ্য প্রতিপক্ষকে নিয়ে নয়, চিন্তিত নিজেদের নিয়েই। বার্সার দুশ্চিন্তার কারণ রক্ষণভাগ। এ সপ্তাহেই রেসিং সান্তান্দরের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়েছেন জেরার্ড পিকে, যে কারণে তাঁর জায়গায় প্রায় পুরো ম্যাচই খেলতে হয়েছে এরিক আবিদালকে। কিন্তু তাঁর নিজের ফিটনেস নিয়েই আছে দুশ্চিন্তা। তবে মেসি-জাভি-ইনিয়েস্তারা আছেন, বার্সেলোনাও গোল পাচ্ছে বলে সে দুশ্চিন্তা এখনো বড় হয়ে উঠছে না। মিলানের দুশ্চিন্তার কারণ ঘরোয়া লিগের ফর্মহীনতা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবিনহোর ফেরা সম্প্রতি তাতে কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত এনেছে বটে, কিন্তু প্রশ্ন হলো, সেটা ধরে রাখতে পারবে তো তারা? ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.