মঞ্জুর পাশে সানি

অ্যালবার্ট এডউইন ট্রট। ভদ্রলোক মারা গেছেন তাও প্রায় ৯৭ বছর হয়ে গেল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র ৫টি টেস্ট খেলেছিলেন তিনি। মাঝে মধ্যেই ট্রটের নাম স্মরণ করে ক্রিকেট বিশ্ব। যখনই কোনো অভিষেক বোলার ভালো বোলিং করে, তখনই ট্রটকে নিয়ে নাড়াচাড়া হয়। কেননা ১৮৯৫ সালে ১১ জানুয়ারি অ্যাডিলেডের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসেই ৪৩ রান দিয়ে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন। এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে কোনো অভিষেক বোলারের সেটাই সেরা সাফল্য। এরপর অভিষেকেই ৮ উইকেট পাওয়াদের তালিকায় আরও ৯ জন রয়েছেন। ৭ উইকেটের তালিকায়ও আছেন ১৩ জন। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশির নাম আসেনি।


গতকাল সকালেই দুই উইকেট তুলে নেওয়ার পর সে সম্ভাবনাও তৈরি করেছিলেন ইলিয়াস সানি। আগের দিনের ৪ উইকেটের সঙ্গে এদিন দুটি মিলিয়ে মোট ৬ উইকেট নিলেন সানি ৯৪ রানে। বাংলাদেশি কোনো বোলারের জন্য এটি ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাফল্য। সানির আগে কেবল একজনই থেকে গেলেন রান কিছু কম দেওয়ার কারণে। তিনি সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম। যিনি ২০০১ সালের বুলাওয়ে টেস্টে ৮১ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন। মঞ্জু আর সানির পর আরও এক বাংলাদেশি বোলার অভিষেকেই ৬ উইকেটের মালিকানা দখল করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়। যিনি অভিষেক টেস্টেই ১৩২ রানের খরচে উইকেটগুলো শিকার করেন।
এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের অভিষেকটাও হয়েছিল অনেক সম্ভাবনার জন্ম দিয়ে। সেবার ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংসটাউনে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান দিয়ে ৫ উইকেটের দেখা পান। এর আগে প্রথম ইনিংসে রিয়াদ ৫৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। মাশরাফি বিন মতুর্জার অভিষেকটাও হয়েছিল ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ উইকেট দখলের মধ্য দিয়ে। ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসেই মাশরাফি ৩২ ওভারে ১০৬ রান দিয়ে অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখেন। তবে অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে একাই ৪৪.৩ ওভার বোলিং করে ১৩২ রানের খরচে ৬ উইকেট তুলে নেন দুর্জয়। গতকাল ইলিয়াস সানিও সকাল সকাল কিছু রান খরচ করেন। তবে স্যামুয়েলস আর কার্লটন বাফের উইকেট দখল করে সানি এই মাইলফলকে পেঁৗছে যান।

No comments

Powered by Blogger.