৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে সংশয় বিশ্বব্যাংকের-মন্দার প্রভাব বিভিন্নভাবে বাংলাদেশে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা

বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ ঝুঁকির কারণে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৭ শতাংশ অর্জন হবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নয় বিশ্বব্যাংক।বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে গতকাল মঙ্গলবার বলা হয়, গত দুই বছরে চালের ভালো ফলন, শিল্প, সেবা ও নির্মাণ খাতে সাফল্য গত (২০১০-১১) অর্থবছরে ৬.৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় ঝুঁকির মধ্যে চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরে জিডিপিতে কী পরিমাণ প্রবৃদ্ধি হবে, তা অনিশ্চিত।


বিশ্বব্যাংক মনে করে, আগামী দিনগুলোয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা এবং অভ্যন্তরীণ নীতি ও ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করবে। প্রতিবেদনে অবশ্য বলা হয়েছে, রপ্তানি ও রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আর অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়ানো হলে গত বছরের সাফল্যের পুনরাবৃত্তি এবারও হতে পারে। এ জন্য ভারতে শুল্কমুক্ত পোশাক রপ্তানির সুযোগের যথাযথ ব্যবহার ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করে ঋণদানকারী সংস্থাটি।
সম্ভাব্য দ্বিতীয় দফা বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বিভিন্ন ভাবে বাংলাদেশে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংক বলেছে, সম্ভাব্য মন্দার প্রভাবে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স কমে গিয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনের ভারসাম্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে মুদ্রার বিনিময় হারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ফলে অনিশ্চয়তা বাড়বে, যা বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দেবে।
ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ললিতা মূর্তিকে উদ্ধৃত করে বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা খুবই জরুরি। সম্প্রসারণমূলক নীতি দেশের অর্থনীতিতে ঝুঁকি আরো বাড়াবে। মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা
কঠিন হবে।

No comments

Powered by Blogger.