সবিশেষ-আকাশে ফিলিং স্টেশন

গাড়ি চলতে চলতে হঠাৎ জ্বালানি শেষ হয়ে গেলে ফিলিং স্টেশন পাওয়া পৃথিবীতে কোনো ব্যাপারই নয়। তাই গাড়ি চালাতে গিয়ে পৃথিবীর খুব কম লোকই জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করে। পৃথিবীতে না হয় দুশ্চিন্তা না করলাম। জ্বালানি যদি ফুরিয়ে যায় মহাকাশে, তখন? তখন তো আর জ্বালানি ভরার উপায় নেই। অগত্যা গন্তব্যে যাওয়ার কথা আর না ভেবে হিসাব করতে হয় পৃথিবীতে ফেরা যাবে কি না।মহাশূন্যে জ্বালানি সংকটের কারণে বিজ্ঞানীদের পাঠানো নভোযানগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তাই এবার এ বাধা উত্তরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে জ্বালানি ভরার কেন্দ্র (ফিলিং স্টেশন) স্থাপনের পরিকল্পনা করছেন তাঁরা।


কক্ষপথে এ ফিলিং স্টেশন স্থাপন করা হবে। এখান থেকে জ্বালানি ভরে নভোযান চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ বা অন্য গন্তব্যের দিকে আবার যাত্রা শুরু করবে।
নাসার সহযোগী পরিচালক উইলিয়াম এইচ জারস্টেইনমেয়ার জানান, এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাঁরা ছয় মাস গবেষণার পর
প্রাথমিক খসড়া তৈরি করেছেন। আগামী নভেম্বরে নাসার প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটনে এ নিয়ে বৈঠকে বসবেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা। বৈঠকের মতামতের ভিত্তিতে চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
মহাকাশে জ্বালানি সংকট মেটাতে বর্তমানে রকেটের মাধ্যমে অন্য নভোযানে করে জ্বালানি পাঠানো হয়। এতে নভোযানে জায়গা কমে যায়। আবার রকেটের গতিও কমে। মহাকাশে জ্বালানি স্টেশন স্থাপনের মধ্য দিয়ে সেই সমস্যার সমাধান হবে। এতে মহাকাশে অন্তত টানা দুই যুগ ধরে মেয়াদি গবেষণাও চালানো সম্ভব হবে।
৬০ থেকে ৮৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে ২০২৪ সাল নাগাদ মহাকাশে ফিলিং স্টেশন স্থাপনের চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী নাসার বিজ্ঞানীরা কাজও এগিয়ে নিচ্ছেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।

No comments

Powered by Blogger.