নেইমারের জন্য সুরক্ষা চান রোনালদো

ড়পরতা প্রতি দুই ম্যাচে ১৩ বার ফাউলের শিকার হচ্ছেন নেইমার! ব্রাজিলিয়ান লিগে এত বেশি ফাউল আর কোনো ফুটবলারকেই করা হয় না। ১৯ বছরের নেইমার কি পারবেন এই ধকলটা সামলাতে?বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদসহ বড় বড় সব ক্লাবের চোখ যাঁর দিকে, সেই নেইমার অবশ্য বলছেন তিনি পারবেন। কিন্তু 'দ্য ফেনোমেনন' নামে পরিচিত ব্রাজিলেরই আরেক সুপার স্টার রোনালদো বলছেন, রেফারিদের উচিত নেইমারের মতো ফুটবলারদের সুরক্ষা দেওয়া।


ভাগ্যিস, সালমান খানের মতো কোনো 'বডিগার্ড' নেই নেইমারের। থাকলে হয়তো মাঠেই নেমে যেতেন 'লাভলি সিং', পাহারা দিয়ে রাখতেন নেইমারকে। মাঠে বিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা তাই ইচ্ছেমতো ফাউল করে যাচ্ছেন নেইমারকে। এসব দেখে নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের কথাই মনে পড়ছে রোনালদোর। তাঁর বিশ্বাস, রেফারিরা মাঠে নিয়মের সঠিক প্রয়োগ ঘটালে 'লাভলি সিং'-এর মতো কোনো 'বডিগার্ড' প্রয়োজন হবে না নেইমারের। গ্লোবোস্পোর্টকে এভাবেই জানিয়েছেন বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক রোনালদো, 'খেলার সময় এ যন্ত্রণাটা আমাকেও অনেক সইতে হয়েছে। তবে আমার বিশ্বাস কড়া নিয়মের প্রয়োগ ঘটিয়ে রেফারিরা মাঠেই সুরক্ষা দিতে পারেন নেইমারের মতো প্রতিভাবান ফুটবলারদের। আসলে প্রতিভাবানদের অনেক ফাউল সহ্য করতে হয়, যার অনেকই কার্ড দেখানো বা মাঠের বাইরে পাঠানোর মতো।'
নেইমারের মতটা অবশ্য একটু ভিন্ন, 'আমি রক্ষণের খেলোয়াড়দের মুখোমুখি হতে পছন্দ করি। কখনো কখনো ওদের বাধার মুখে মাটিতে পড়ে যাই, তবে আবার উঠেও পড়ি। হয়তো রাগ হয়, তখন ১০ পর্যন্ত গুনি আর আবারও দৌড় শুরু করি।' এত ডামাডোলের মধ্যেও ফুটবল খেলাটা উপভোগ করছেন তিনি, 'তরুণ থাকতে থাকতেই আমি ফুটবলটা উপভোগ করতে চাই। আমি সব সময়ই চাই সান্তোসের হয়ে মাঠে থাকতে, পারলে প্রত্যেকটা ম্যাচে।' ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালটা হবে মারাকানায়, সেখানে থাকার ইচ্ছেটাও আছে তাঁর, 'আমি খুব করে চাই ফাইনালে খেলতে। মারাকানা স্টেডিয়ামটা খুবই সুন্দর আর আমাদের মতো আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের জন্য সেখানে জোরে দৌড়ানো ও শট নেওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।' ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.