সরাসরি জয় পেল রাজশাহী-খুলনাও

ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের ছড়াছড়িতে একটা দিন যেন গেল কাল জাতীয় লিগে! বিকেএসপিতে সেঞ্চুরি করেছেন চট্টগ্রামের নাফিস ইকবাল। সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে আবারও উইকেট শিকারে মত্ত আবদুর রাজ্জাক। তাঁর বোলিংয়ে এক দিন বাকি থাকতেই বরিশালকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা। বগুড়ায় ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েও বিষণ্ন মাহমুদুল হাসান। তাঁর এ বোলিং সাফল্যও ম্লান করে দিয়ে ৫৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে ফরহাদ হোসেনের রাজশাহী।১৬ রানের জন্য সেঞ্চুরি পাননি।


তবে মাত্র ১৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে রংপুরের হার ত্বরান্বিত করার পুরস্কার হিসেবে ম্যান অব দ্য ম্যাচ রাজশাহীর ফরহাদ হোসেন। ৫৫ রান নিয়ে গতকাল তৃতীয় দিন শুরু করা রাজশাহীর এ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করেন এ ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়া রংপুরের অফস্পিনার মাহমুদ। ২১০ রানে রাজশাহীকে থামিয়ে দেওয়ার পর জেতার জন্য ২৩৫ রান দরকার ছিল রংপুরের। কিন্তু সাকলাইন সজিব এবং ফরহাদের স্পিনে ১২৮ রানেই শেষ রংপুরের লড়াই। নবাগতদের এটা লিগে টানা দ্বিতীয় হার। অন্যদিকে এক ম্যাচ হেরেই জয়ের ধারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী।
সিলেটে বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংসে সোহাগ গাজির ব্যাট চলেনি। তবে রাজ্জাকের বল ঘুরেছে। আর তাতেই প্রথম ইনিংসে তিন শ পেরুনো বরিশাল দ্বিতীয়বারে অল আউট মাত্র ১৯৪ রানে। এরপর ১৬৫ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা। তুষার ইমরান এবং অধিনায়ক অমিত মজুমদারের অবিচ্ছিন্ন ১২০ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিতে এক দিন হাতে রেখেই তা ছুুঁয়েও ফেলে তারা। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৫ উইকেট এবং ৩৮ বলে ফিফটির পর ম্যাচসেরার পুরস্কার রাজ্জাক ছাড়া আর কার হাতে উঠবে!
এদিকে বিকেএসপিতে ধৈর্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চট্টগ্রাম। আর ফিটনেস নিয়ে যাবতীয় সমালোচনার উত্তর যেন ছয় ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে দিয়েছেন দলটির ওপেনার নাফিস ইকবাল। চট্টগ্রামের ৪২৫ রানের প্রথম ইনিংসে ইয়াসিন আরাফাতের ফিফটিরও অবদান আছে। ১৫৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা সিলেট বিনা উইকেটে ৫১ রান নিয়ে আজ আবার ব্যাটিংয়ে নামছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
রাজশাহী-রংপুর : রাজশাহী ২০৬ ও ২য় ইনিংস ৬৭ ওভার ২১০/১০ (ফরহাদ ৮৪, আলাউদ্দিন ৩/৫১, মাহমুদুল ৫/৩৯)। রংপুর ২৩০ ও ২য় ইনিংস ৪২.২ ওভার ১২৮/১০ (মাহমুদুল ২৮, সাকলাইন ৪/৪৯, ফরহাদ ৪/১৫)। ফল : রাজশাহী ৫৮ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ফরহাদ হোসেন।
খুলনা-বরিশাল : বরিশাল ৩০২ ও ২য় ইনিংস ৫২.১ ওভার ১৯৪/১০ (সালমান ৪১, ডলার ২/৩১, রাজ্জাক ৭/৭০)। খুলনা ৩৩০ ও ২য় ইনিংস ৪০.৫ ওভার ১৬৭/২ (অমিত ৫৬*, তুষার ৬৯*, সোহাগ ২/৫১)। ফল : খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আবদুর রাজ্জাক।
চট্টগ্রাম-সিলেট : সিলেট ২৭০ ও ২য় ইনিংস ১৪ ওভার ৫১/০ (ইমতিয়াজ ব্যাটিং ২৩, সায়েম ব্যাটিং ২২)। চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস ১৩৪ ৪২৫/৯ ডিক্লে. (নাফিস ১০৪, ইয়াসিন ৫৫, রবিউল ২/৬৫, অলক ৩/৯৬, শাকের ২/৭০)।

No comments

Powered by Blogger.