ডিএসইতে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে

সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছিল ১৮০.৬২ পয়েন্ট। সূচক পতনের সঙ্গে অনেকটা একচেটিয়াভাবে কমে গিয়েছিল বিভিন্ন কম্পানির শেয়ারের দাম। আগের দিনের বড় দরপতন কাটিয়ে পর গতকাল মঙ্গলবার ডিএসইতে ৮১.৬৭ পয়েন্ট সূচক বেড়েছে। হারানো সূচক সামান্য ফিরে পাওয়া কিংবা আবার কমে যাওয়ার মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে শেয়ারবাজার। সাম্প্রতিক কিছু উদ্যোগের খবরে বাজার একদিন ঊর্ধ্বমুখী হলে পর দিনই আবার পতনমুখী হলেও শেয়ারবাজার নিয়ে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদী।


চট্টগ্রাম স্টক এঙ্চেঞ্জের সভাপতি ফখর উদ্দিন আলী আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, বাজারে গত কয়েক দিন লেনদেন বেড়েছে। এ সময় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের হাতে টাকা থাকার কথা নয়। নিশ্চয়ই বাণিজ্যিক ব্যাংক ও বড় বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, আগের দিন হয়তো বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ থেকে দূরে ছিল। দরপতনের অধিকাংশ কম্পানির শেয়ারের দর যে স্তরে নেমে এসেছে, তাতে স্থিতিশীল হতে আর সময় লাগার কথা নয়।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান ও এঙ্মি ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, 'আমার জানামতে ব্যাংকগুলো তাঁদের বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছে। তবে ধীরে ধীরে এটা করা হচ্ছে। কেননা একসঙ্গে বড় ধরনের বিনিয়োগ শুরু করলে তা বাজারের জন্য বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।' এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর কাছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা মজুদ রয়েছে বলে জানান তিনি। ব্যাংকগুলোর 'পুঁজিবাজার স্থিতিশীলকরণ তহবিল (এসএমএসএফ)' গঠন নিয়ে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙ্চেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে ফান্ড গঠনের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের সম্পর্ক নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি নেই বলে জানান নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বলেন, 'এটা অতিরিক্ত একটি ফান্ড। ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ফান্ড থেকে এই ফান্ডটি গঠন করা হবে।'
এদিকে গতকাল দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে ২৫২টি কম্পানির চার কোটি ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৫৩টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৩৫০ কোটি তিন লাখ ৬৩ হাজার ১৭৪ টাকা। আগের দিনের তুলনায় ৬৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা কম। ডিএসইর মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৮১.৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ৫৫৫৫.২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া ২৫২টি কম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৬টির, কমেছে ৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে চারটি কম্পানির শেয়ারের। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল দুই লাখ ৭২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।
লেনদেনের ভিত্তিতে গতকালের প্রধান ১০টি কমপানি হলো_বেঙ্মিকো লিমিটেড, গ্রামীণফোন, ওয়ান ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, এম আই সিমেন্ট, সিটি ব্যাংক, ইউসিবিএল ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক।
মূল্যবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা গতকালের ১০টি কম্পানি হলো_দেশবন্ধু পলিমার, গ্রামীণফোন, প্রাইম ইনস্যুরেন্স, ইস্টল্যান্ড ইনস্যুরেন্স, বেঙ্মিকো সিনথেটিকস্, মুন্নু স্টাফলার, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, পঞ্চম আইসিবি, শমরিতা হামপাতাল ও মবিল যমুনা লুব্রিক্যান্টস। অন্যদিকে দাম কমার শীর্ষে প্রধান ১০টি কম্পানি হলো_সমতা লেদার, ইমাম বাটন, মেঘনা সিমেন্ট, রহিম টেঙ্টাইল, অগ্রণী ইনস্যুরেন্স, আরামিট লিমিটেড, প্রগ্রেসিভ লাইফ ইনস্যুরেন্স, জুট স্পিনার্স, চতুর্থ আইসিবি ও ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

No comments

Powered by Blogger.