সত্যিই পাত্তা পেল না মালদ্বীপ-বাংলাদেশ ৩ - ০ মালদ্বীপ

বাংলাদেশের ফুটবলাররাই সত্যি। বদলে গেছে বাংলাদেশ। বিশেষভাবে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। মাঠ দাপিয়েছে ইঞ্জিনের গতিতে। তারপর ঝাঁঝাল আক্রমণে দিশেহারা করে তুলেছে মালদ্বীপকে। যারা বাংলাদেশের কাতারে উঠে আসার গর্ব করত। তাদের সেই গর্ব মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবলের দারুণ এক প্রজন্মের দুর্দান্ত অভিষেক হয়েছে ৩-০ গোলে জয় দিয়ে। সুবাদে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বেও শুভ সূচনা হলো বাংলাদেশ যুব দলের।এ জন্য পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইলিয়েভস্কি খেলিয়েছেন দ্বিতীয় সারির দল। আর কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এই দলের বড় বিজ্ঞাপন হয়ে উঠেছেন দুই গোল করা মাসুদ রানা। তাঁর সামনেই অসহায় মালদ্বীপ যুব দল।


প্রথমে তো নিজের অর্ধ ছেড়ে তারা ওপরে উঠবে বলে পণ করেছিল। তাতে জমছিল না বাংলাদেশের আক্রমণও। কিন্তু ১১ মিনিটে ওয়াহেদের এক ড্রিবলে দুই মালদ্বীপ ডিফেন্ডার বিভ্রান্ত, তারপর মাসুদ রানা ভোঁ দৌড়ে ডি-বঙ্ েঢুকে ডান পায়ের চমৎকার শটে মালদ্বীপের জালে বল বাড়িয়ে দিলে মাঠে মারা যায় প্রতিপক্ষের সব ট্যাকটিকস। ২৪ মিনিটে সেই মাসুদ রানার পায়েই আবার উজ্জ্বল বাংলাদেশ। একটা গোলের ব্রত নিয়ে নেমে দুটো গোল! দারুণ এই প্রাপ্তির আনন্দ এই ফরোয়ার্ডের চোখে-মুখে, 'কোচ বলেছিলেন, দেশের মাটিতে খেলা। তাই তিনি অনেক গোল চান। সেটা আমি করতে পেরেছি।'
দ্বিতীয়ার্ধে আবার দ্বিতীয় সারির দলে আরো গতি আসে শাহেদ-মালেকদের বদলি হয়ে নামায়। কিন্তু সেই গতির অনুপাতে গোল হয়নি। ৬৯ মিনিটে তপু বর্মণের ক্রসে মালেকের টোকায় তৃতীয় গোল পায় বাংলাদেশ। তারপর এই মালেকই আবার দুটো সহজ সুযোগ নষ্ট করায় ম্যাচটা ওই তিন গোলের জয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে স্বাগতিকদের। খেলা চলাকালীন বাংলাদেশের কোচকে মাঝে মাঝে ক্ষুব্ধ দেখালেও ম্যাচ শেষে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তাঁর 'দারুণ প্রজন্মের' দুর্দান্ত অভিষেকে, 'আমি খুশি দলের খেলায়। কারণ দুই দলের ক্ষমতার পার্থক্য ম্যাচে স্পষ্ট বোঝা গেছে।'
'এ' গ্রুপের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সামনে দাঁড়াতেই পারল না ওমান। প্রথম ম্যাচে সৌদিরা ৪-০ গোলে তাদের হারিয়ে শুরু করেছে ফেভারিটের মতোই। দুই পক্ষের লড়াইয়ে ম্যাচটা জমে ওঠারই ইঙ্গিত ছিল শুরুতে। কিন্তু ২৪ মিনিটের একটা লাল কার্ড বদলে দিল ম্যাচের গতি-প্রকৃতি। এরপর বাকি ৬৬ মিনিটই কাটে সৌদি আধিপত্য আর গোলোৎসবে। ১৮ গজি বঙ্রে বাইরে এসে হাতে বল ঠেকিয়ে লাল কার্ড দেখে বিপদ ডেকে আনেন গোলরক্ষক আল মাওয়ালি। তারপর থেকেই ১০ জনের ওমানের লড়াই ১১ সৌদির সঙ্গে। এই অসম লড়াইয়ে ওমান ক্রমে পিছু হটেছে নিজেদের গোলপোস্ট বাঁচাতে। ৪৪ মিনিট পর্যন্ত সফল, প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে গোলমুখ খুলে যায় সালেহর টোকায়। ওমরের ডান দিকের ক্রসে পা ছুঁইয়েছেন এ ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই দ্বিতীয় গোল হজম করে ওমান, প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে আল সাফারির দর্শনীয় এক শটে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় গতবারের সেমিফাইনালিস্টরা। ৭৭ মিনিটে নাওয়াফের শট গোলরক্ষক আহমেদ ফারাজ ঠেকালেও গ্রিপ থেকে বেরিয়ে পড়ে বল, সুবাদে বুদ্ধিদ্বীপ্ত টোকায় সালেহর দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-০। ৯০ মিনিটে বাসাসের পেনাল্টি গোলে ৪-০ গোলে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্টের চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। এবারও তারা টুর্নামেন্টের বাছাই পর্ব শুরু করেছে চ্যাম্পিয়নের মতো আর কাতার যথারীতি খেলেছে বাছাই পর্বে আটকে যাওয়ার মতোই।

No comments

Powered by Blogger.