বিএনপিতে কোনো দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই নাই: তারেক রহমান

বিএনপিতে কোনো দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই নাই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গতকাল রংপুর বিভাগীয় জেলাগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বিএনপি মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় তারেক রহমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। বলেন, বিএনপি’র নাম ভাঙিয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু বিএনপিতে কোনো দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই নাই।
ওদিকে গতকাল এক বিবৃতিতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবসে তারেক রহমান বলেন, আমার দলের পক্ষ থেকে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে বাংলাদেশে আর কোনো ব্যক্তি যেন গুম না হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য, আমরা জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত গুম প্রতিরোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কনভেশন (আইসিপিপিইডি) অনুসারে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করবো ইনশাআল্লাহ। মানবতার বিরুদ্ধে এই গুরুতর অপরাধের ন্যায়বিচার হতেই হবে।
তারেক রহমান বলেন, গুম মানবতাবিরোধী অপরাধ, যা মৌলিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বাংলাদেশে নজিরবিহীন গুমের ঘটনায় লক্ষ-লক্ষ দেশবাসীর মতো আমিও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে এটি প্রয়োগ করা হয়। শেখ হাসিনার দুঃশাসনে গুমকে ব্যবহার করা হয়েছে জনসমাজে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো একযোগে প্রকাশ করেছে যে, ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৭ শতাধিক মানুষকে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো গুম করেছে।
তিনি বলেন, এই নিখোঁজ মানুষগুলো ছিলেন তাদের পরিবারের প্রাণপ্রিয় সদস্য। তাদের স্বপ্ন, ভালোবাসা ও সুন্দর ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। অদৃশ্য মানুষগুলো কোথায় আছে আমরা জানি না, তবে রেখে গিয়েছে মর্মান্তিক ও বেদনাবিধুর বাংলাদেশ, যেখানে আমাদের অর্জিত মানবাধিকার ও মূল্যবোধ লুণ্ঠিত হয়েছে। গুম আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। আইসিসি এর রোম সনদের ৭ (২) অনুচ্ছেদে গুমকে মনবতার বিরুদ্ধে একটি অপরাধ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, আর মানবাধিকারের এই লঙ্ঘনের জন্য ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীতার উপর জোর আরোপ করা হয়েছে।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা রাজনৈতিক দর্শন, জাতি, ভাষা, নৃ-গোষ্ঠী, সংস্কৃতি, বর্ণ ইত্যাদিসহ রাষ্ট্রীয় সীমানাকে অতিক্রম করে গুম হওয়া মানুষগুলোর স্মরণে এবং সেইসঙ্গে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য দিবসটি পালন করি। আমি এই মনুষ্যত্বহীন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার জন্য দুনিয়া জুড়ে ঐক্য ও সংহতির আহ্বান জানাই।

No comments

Powered by Blogger.