গাজায় তিন দিন যুদ্ধ বন্ধ রাখবে ইসরায়েল : ডব্লিউএইচও

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তিন দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ রাখবে ইসরায়েল। গাজায় পোলিওর ভয়াবহ সংক্রমণের ফলে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিরতিতে সম্মত হয়েছে তারা।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ডব্লিউএইচওর এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা তিন দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ সময়ে প্রথম দফায় গাজার ছয় লাখ ৪০ হাজার শিশুকে পোলিও টিকা দেওয়া হবে।

ফিলিস্তিনের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা রিক পিপারকর্ন বলেন, রোববার (০১ সেপ্টেম্বর) থেকে গাজায় পোলিওর টিকা দেওয়া শুরু হবে। এ তিন দিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সময়ে যুদ্ধ বন্ধ থাকবে। এ সময়েই টিকা দেওয়া হবে।

গাজায় পয়োব্যবস্থার অভাব, স্বাস্থ্যসেবায় প্রতিবন্ধকতা ও টিকা সংকটে পোলিওর ভয়াবহ সংকটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি এটি ইসরায়েলেও ছড়াতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং জাতিসংঘের কর্মকর্তারা গাজায় টিকাদান কর্মসূচির জন্য ইসরায়েলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন। তাদের চাপের মুখে এ বিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল।

এদিকে গাজায় টিকাদানের জন্য যুদ্ধবিরতি কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সংগঠনটির নেতা বাসেম নাইম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে হামাস আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

মানবিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ায় এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের অধ্যাপক মোহামেদ এলমাসরি। এ ছাড়া তিনি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন।

গাজায় টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে জাতিসংঘের দুই হাজারের বেশি কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিন দিনের মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি শেষ করা সম্ভব না হলে তাদের অতিরিক্ত সময় দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

No comments

Powered by Blogger.