২০২৪ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন: ডনাল্ড ট্রাম্প ও কমালা হ্যারিসের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই by সিরাজুল আই

২০২৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, রাজনৈতিক বৃত্তে  ততই বাড়ছে প্রতিযোগিতা। এই দৌড়ে দুইজন বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস। উভয় প্রার্থীই তাদের নিজ নিজ দলের প্রধান প্রতিনিধি এবং বর্তমানে তাদের জনপ্রিয় ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন। এই বিশ্লেষণটিতে  সাম্প্রতিক ভোটে তাদের অবস্থান, তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টা, মূল শক্তি, চ্যালেঞ্জ এবং প্রেসিডেন্ট  নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সামগ্রিক সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করা হয়েছে।

বর্তমান পোলিং ট্রেন্ডস

২০২৪ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের  লড়াই মূলত  রিপাবলিকান পার্টির  ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ডেমোক্রেটিক পার্টির কমালা হ্যারিসের । উভয় প্রার্থীই নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য  গুরুত্বপূর্ণ  রাজ্যগুলোতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করছেন, যেখান থেকে  নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারিত হতে পারে। এই  রাজ্যগুলোতে ট্রাম্প এবং হ্যারিসের পোলিং ট্রেন্ড তুলে ধরা হলো

 

স্টেট      ডনাল্ড ট্রাম্প (রিপাবলিকান)    কমালা হ্যারিস (ডেমোক্র্যাটিক)  

 

মিশিগান        ৪৭ %                                          ৪৫%                                

লিড- ট্রাম্প  +২

উইসকনসিন   ৪৮%                                           ৪৬%                                  

লিড  ট্রাম্প +২

পেনসিলভানিয়া   ৪৬%                                         ৪৭ %                                 

লিড   হ্যারিস +১

অ্যারিজোনা       ৪৮ %                                        ৪৭ %                                     

লিড ট্রাম্প +১

নেভাদা             ৪৬ %                                         ৪৮%                                    

লিড    হ্যারিস +২


মূল নির্বাচনী ক্ষেত্রগুলোর সর্বশেষ পোলিং ডেটা অনুসারে ,ডনাল্ড ট্রাম্প এবং কমালা হ্যারিসের মধ্যে লড়াইটা অত্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে।  উভয় প্রার্থীই বিভিন্ন অঞ্চলে স্বতন্ত্র শক্তি প্রদর্শন করছেন। মিশিগান এবং উইসকনসিনে, ট্রাম্প হ্যারিসের চেয়ে ২ পয়েন্টের একটি সূক্ষ্ম  লিড ধরে রেখেছেন, যা সাম্প্রতিক নির্বাচনে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দেয়। হ্যারিস পেনসিলভানিয়ায় সামান্য সুবিধা পেয়েছেন, ১ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। সামগ্রিক নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণে এই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। অ্যারিজোনায়, ট্রাম্প  নির্বাচনী প্রচারে  রাজ্যের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে ১ পয়েন্টের  ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। বিপরীতভাবে হ্যারিস নেভাদায় ২ পয়েন্টে এগিয়ে, যেখানে একটি তীব্র  প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশে ডেমোক্র্যাটিকদের সামনে সুযোগ সাধারণত  কমই  থাকে। নির্বাচনী ক্ষেত্রের সমস্ত রাজ্য জুড়ে এই সংকীর্ণ মার্জিনগুলো ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট  পদের লড়াইয়ে  চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণে  ভোটারদের ভোটদান এবং  প্রার্থীদের  প্রচারাভিযানের প্রচেষ্টার  গুরুত্বের উপর জোর দেয়।

প্রার্থীদের সম্পর্কে

ডনাল্ড ট্রাম্প রিপাবলিকান পার্টির মধ্যে একজন  শক্তিশালী প্রার্থী  হিসেবে ধারাবাহিকভাবে যেকোনো সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন। প্রেসিডেন্ট পদে তার বিতর্কিত  মেয়াদ  এবং  চলমান আইনি লড়াই সত্ত্বেও , ট্রাম্প তার পছন্দের কেন্দ্রে  জোরালো সমর্থন বজায় রেখেছেন। পোলিং ডেটা ধারাবাহিকভাবে দেখায় যে ট্রাম্প রিপাবলিকান ভোটারদের থেকে  প্রায় ৫০-৬০% ভোট নিয়ে  নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা দলের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা প্রদর্শন করে। যদিও তিনি রক্ষণশীল রিপাবলিকান এবং ডান-পন্থী  ভোটারদের কাছ থেকে দৃঢ় সমর্থন উপভোগ করেন, তবে  স্বতন্ত্রদের মধ্যে তাঁর রেটিং উল্লেখযোগ্যভাবে কম এবং ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে প্রায় সর্বসম্মতভাবে নেতিবাচক। এই মেরুকরণ ট্রাম্পের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। তাই তিনি তার মূল সমর্থকদের বাইরে  বিস্তৃত পরিসরের ভোটারদের কাছে তার আবেদন তুলে ধরার  চেষ্টা করছেন।

অন্যদিকে কমালা হ্যারিস ডেমোক্রেটিক পার্টির মধ্যে নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন। পোলিং প্রবণতা ইঙ্গিত দেয় যে তিনি ধারাবাহিকভাবে ডেমোক্র্যাটিক বৃত্তে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ,  ডেমোক্রেটিক ভোটারদের   ৪০-৫০% ভোট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে । সাম্প্রতিক ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির  (ডিএনসি) ইভেন্টগুলোর পরে ডেমোক্র্যাটিক পরিধির মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে । তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে  বর্তমানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুইং রাজ্যে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন হ্যারিস। যদিও  ভোটারদের মধ্যে তার চাহিদা বাড়ছে , কারণ নিজের  প্রচারাভিযানকে জোরদার করেছেন হ্যারিস। জনসাধারণের মধ্যে নিজের উপস্থিতি বাড়িয়েছেন  এবং কার্যকরভাবে দেশের জন্য নিজের  দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরছেন। ডেমোক্র্যাটিক ভিত্তিকে শক্তিশালী করতে এবং সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য হ্যারিসের ক্ষমতা ট্রাম্পের থেকে  ব্যবধান কমাতে সহায়ক হবে।

বর্তমান পোলিং ট্রেন্ড  ও প্রভাব

ডনাল্ড ট্রাম্প এবং কমালা হ্যারিসের মধ্যে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই প্রতিযোগিতামূলক হতে চলেছে , বিশেষ করে নির্বাচনী ক্ষেত্রের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে৷ উভয় প্রার্থী  ঘাড়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন।  ভোটারদের উপস্থিতি, কৌশলগত প্রচারণা এবং ভোটারদের সাথে প্রতিটি প্রার্থীর  সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতার ওপর ভোটের মার্জিন নির্ভর করে  । নির্বাচনের আগে এখনো হাতে কিছুটা সময় থাকায়  ট্রাম্প এবং হ্যারিস উভয়ের কাছেই  সিদ্ধান্তহীন ভোটারদের সমর্থন পাবার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

তহবিল সংগ্রহ ও অনুদান

ডনাল্ড ট্রাম্পের তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টা উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছে  তৃণমূল স্তরের নেটওয়ার্ককে পুঁজি করে এবং রিপাবলিকান বৃত্তে নিজের  স্থায়ী প্রভাবের কারণে । ট্রাম্প বিভিন্ন PAC এবং প্রচারণা কমিটির মাধ্যমে ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও  বেশি তহবিল সংগ্রহ করেছেন, এই মোটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছোট-ডলার অনুদান থেকে এসেছে, যা তার সমর্থকদের আনুগত্য প্রতিফলিত করে। তার তহবিল সংগ্রহের প্রচেষ্টাকে হাই -প্রোফাইল ইভেন্ট এবং সমাবেশের দ্বারা আরও জোরদার করা হয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, ট্রাম্পের চলমান আইনি চ্যালেঞ্জ তার সমর্থকদের নিরুৎসাহিত করেনি। বরং অনেকেই মনে করছেন ট্রাম্পের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে , যা তার প্রচারাভিযানে বাড়তি এডভ্যান্টেজ জুগিয়েছে।

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস তার  প্রোফাইল এবং বিস্তৃত নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে শক্তিশালী তহবিল সংগ্রহের ক্ষমতা  প্রদর্শন করেছেন। তার প্রচারণা সফলভাবে ৭৫মিলিয়নেরও বেশি তহবিল সংগ্রহ করেছে, যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ছোট ভোট  দাতাদের কাছ থেকে এসেছে। এই ভোটাররা  তার প্রার্থীতা সম্পর্কে অত্যন্ত উত্সাহী, বিশেষ করে মূল বিতর্ক এবং জনসাধারণের উপস্থিতির পরে। তৃণমূল স্তরের সমর্থন ছাড়াও হ্যারিস কার্যকরভাবে প্রধান ডেমোক্রেটিক নেটওয়ার্কগুলিতে প্রভাব ফেলেছেন যার মধ্যে রয়েছে সিলিকন ভ্যালি, ওয়াল স্ট্রিট এবং হলিউডের প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বরা। ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি (ডিএনসি) হ্যারিসের প্রচারণাকে জোরদার করতে, তার দিকে  অনুদান দেওয়ার প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধনে,   একটি ঐক্যবদ্ধ ফ্রন্ট নিশ্চিত করতে  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

মূল শক্তি ও চ্যালেঞ্জ

ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থীতা বেশ কয়েকটি কারণে শক্তিশালী । তার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো তার অনুগত সমর্থকদের শক্তিশালী ভিত্তি, যারা তার প্রতি অত্যন্ত নিবেদিত। প্রাইমারি এবং সাধারণ নির্বাচন উভয় ক্ষেত্রেই  নির্ভরযোগ্য ভোটার ভিত্তি প্রদান করে। ট্রাম্প মিডিয়া সামলাতে  ওস্তাদ।  সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার এবং সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের  সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার  ক্ষমতা ট্রাম্পের   শক্তিশালী হাতিয়ার । তিনি নির্বাচনী প্রচারে  ট্যাক্স কমানো এবং শক্তিশালী বাণিজ্য নীতির উপর জোর দিয়েছেন।  বিশেষ করে  সুইং স্টেটের ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে গেলে এই   অর্থনৈতিক বিষয়গুলোকে  মাথায় রাখা উচিত। ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি   ভোটারদের একটি অংশের কাছে তার আবেদনকে শক্তিশালী করেছে । তবে ট্রাম্প বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন যা তার প্রচারণাকে প্রভাবিত করতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে চলমান আইনি চ্যালেঞ্জ, ফৌজদারি তদন্ত এবং দেওয়ানি  মামলা।

প্রথমে ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং সেইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট  পদের প্রতিযোগী হিসাবে  হ্যারিসের গ্রহণযোগ্যতা বিশেষত নারী , সংখ্যালঘু এবং তরুণ ভোটারদের উত্সাহিত করেছে।   ভাইস প্রেসিডেন্ট, সিনেটর এবং ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে দীর্ঘ  অভিজ্ঞতা তাকে ডেমোক্র্যাট  ভোটারদের একটি বিস্তৃত অংশের কাছে  পৌঁছাতে  শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে।  বিশেষ করে ফৌজদারি বিচারব্যবস্থার  সংস্কার, স্বাস্থ্যসেবা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোতে। সেইসঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি হ্যারিসের সমর্থনে আরও ঐক্যবদ্ধ বলে মনে হয়, যা ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর পথ প্রশস্ত করতে পারে। সেইসঙ্গে হ্যারিসও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন  যা তার প্রেসিডেন্ট পদের  লড়াইয়ে  বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ভোটারদের  উপলব্ধি এক্ষেত্রে  একটি বাধা হিসেবে  রয়ে গেছে, কারণ তিনি কম অনুমোদনের রেটিং নিয়ে লড়াই করেছেন। রক্ষণশীল মিডিয়াতে নেতিবাচক চিত্রায়নের পাশাপাশি  মূল বিষয়গুলোতে তাঁর স্পষ্ট বার্তার অভাব রয়েছে। ট্রাম্পের বিপরীতে হ্যারিসের প্রাথমিক প্রার্থী হিসাবে দেশব্যাপী প্রচার চালানোর অভিজ্ঞতা কম। অর্থনৈতিক উদ্বেগ, বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার ব্যয় সম্পর্কিত বিষয়ে  যদি তার প্রচারে কার্যকর সমাধান না থাকে  তবে তা উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ  তৈরি করতে পারে।

ভবিষ্যতের প্রভাব এবং বিজয়ের পথ

ডনাল্ড ট্রাম্প এবং কমালা হ্যারিস উভয়ের সামনেই  ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট  নির্বাচনে জয়ের জন্য আলাদা পথ রয়েছে।  প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভোটারদের ওপর  কৌশলগত ফোকাস এবং জাতীয় ইস্যুতে জোর  দেওয়া প্রয়োজন। ট্রাম্প তাঁর প্রচারণায় অর্থনৈতিক নীতি, অভিবাসন সংস্কার, এবং দেশে একটি শক্তিশালী আইন-শৃঙ্খলার উপর মনোনিবেশ করবেন । চলমান আইনি চ্যালেঞ্জকে কাটিয়ে উঠে  একটি সুশৃঙ্খল, সমন্বিত বার্তা  ভোটারদের  মনোযোগ টানার পক্ষে সহায়ক হতে পারে।

অন্যদিকে, কমালা হ্যারিসকে অবশ্যই  সুইং ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর সময় মূল ডেমোক্র্যাট  সমর্থকদের মধ্যে তার অবস্থান শক্ত করতে হবে। তার প্রচারণায়  সম্ভবত স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার, জলবায়ু কর্মসূচি  , জাতিগত ন্যায়বিচার এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের উপর ফোকাস থাকবে।   সাফল্য অর্জনের জন্য হ্যারিসকে অবশ্যই বিদ্যমান ভোটারদের সংশয় কাটিয়ে উঠতে হবে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে। ভোটারদের কার্যকরভাবে সংগঠিত করার জন্য  তৃণমূল স্তরের প্রচারণাও জোরদার করতে হবে।

উপসংহার: একটি অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ লড়াই

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট  নির্বাচন দুটি শক্তিশালী প্রার্থীর মধ্যে একটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং গতিশীল লড়াই হতে চলেছে, যা  আমেরিকার ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। একদিকে ডনাল্ড ট্রাম্প তার দৃঢ় সমর্থন এবং  প্রচারণার সাথে কমালা হ্যারিসের মুখোমুখি। হ্যারিস আবার  ঐক্য এবং প্রগতিশীল সংস্কারের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য  প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন । এই নির্বাচনের ফলাফল মূলত নির্ভর করবে ভোটারদের উপস্থিতি, সমালোচনামূলক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমস্যাগুলো মোকাবেলা করার প্রার্থীদের ক্ষমতা এবং শেষ মাসগুলোতে তাদের প্রচারাভিযানের কৌশলগুলোর কার্যকারিতার উপর। যেহেতু উভয় প্রার্থীই তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করছেন  তাই এই নির্বাচন আমেরিকান রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হতে চলেছে। এই নির্বাচনের ফলাফল  আগামী বছরগুলোতে দেশের  নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে উলেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে ।

লেখক ডঃ সিরাজুল আই. ভূঁইয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার সাভানা রাজ্যের সাভানা স্টেট ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক এবং   আমেরিকার বিজনেস অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস একাডেমি (BAASANA) এর প্রাক্তন সভাপতি।

No comments

Powered by Blogger.