অত্যাধুনিক সাবমেরিন যুক্ত হলো তুর্কি নৌবাহিনীতে

এক সময় ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরে তুর্কি বাহিনীর দাপটে চোখ তুলে চাইতে ভয় পেত অন্যান্য শক্তিগুলো। গেল এক দশকে নিজেদের সেই সামরিক গৌরব আবারও ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আঙ্কারা।

সেই লক্ষ্যে নেওয়া হচ্ছে একের পর এক উচ্চভিলাষী পরিকল্পনা। তারা জল, স্থল ও আকাশে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে মরিয়া। এ লক্ষ্যেই তুর্কি নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে শক্তিশালী এক সাবমেরিন।

তুর্কি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শনিবার (২৪ আগস্ট) দেশটির নৌবাহিনীতে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত রেইস-ক্লাস সাবমেরিনের প্রথমটি কমিশন করা হয়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ মুগলা সাবমেরিনের কমিশনিং অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। পরিকল্পনা অনুসারে এই শ্রেণির ৬টি সাবমেরিন তুর্কি নৌবাহিনীতে যুক্ত করা হবে। এ সময় দেশীয় সাবমেরিন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশটির নৌ সক্ষমতা আরও বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদেয়ান।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, পিরি-রেইস সাবমেরিন দীর্ঘসময় ধরে পানির নিচে থেকে তার অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম। এ সময় তুরস্কের তৈরি এসব সাবমেরিন বিশ্বের অন্যান্য বাহিনীর হাতে থাকা একই ধরনের সাবমেরিনের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত বলেও দাবি করেন এরদোয়ান। তুরস্কের সদ্য কমিশন পাওয়া রেইস-ক্লাস সাবমেরিন পিরি-রেইস সর্বপ্রথম ২০১৯ সালে উন্মুক্ত করা হয়। এটি ২২৪ দশমিক ২৫ ফুট লম্বা। এতে ৪০ জন পর্যন্ত বহন করা যায়। পিরি-রেইসের কমিশনিং অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয় তুর্কি নৌবাহিনীতে ২০২৫ সালে রেইস-ক্লাসের সাবমেরিন হিজির-রেইস ও ২০২৬ সালে মুরাত-রেইস কমিশনিং করা হবে। এরদোয়ান জানান, ২০২৯ সালের মধ্যে রেইস-ক্লাসের ছয়টি সাবমেরিন তুর্কি নৌবাহিনীতে কমিশন করা হবে।

বলা হচ্ছে, তুরস্কের নিজস্ব নকশায় তৈরি এ সাবমেরিনটি পরিচালিত হবে সম্পূর্ণ তুর্কি অস্ত্র দ্বারা। এতে ব্যবহার করা হবে তুরস্কের তৈরি ‘AKYA’ টর্পেডো এবং অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, তুর্কি নৌবাহিনীর কমান্ডকে আরও শক্তিশালী করতে তার দেশ নতুন অ্যাটাক বোট, মাইন হান্টিং শিপ, ইস্টিফ ক্লাস ফ্রিগেট, ওপেন সি টহল জাহাজ এবং নতুন ধরনের ল্যান্ডিং ক্রাফট তৈরির কাজ করে যাচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.