ভাইয়ের সঙ্গে বোনকে পিঠমোড়া করে বেঁধে গণধর্ষণ

সঙ্গে থাকা মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে পিঠমোড়া করে বাঁধা হলো তিন সন্তানের জননীকে। দুজনেরই চোখ বেঁধে ফেলা হলো। ওই অবস্থায় একে একে সাতজন ধর্ষণ করল ওই নারীকে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে লোমহর্ষক পাশবিকতার এ ঘটনা ঘটেছে যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের কুচেমোড়া এলাকায়। গুরুতর অবস্থায় ওই নারীকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৫ বছর বয়সী এ নারী দাবি করেন, তিনি তিন সন্তানকে নিয়ে যশোর শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন। গতকাল রাত আটটার দিকে তিনি ছোট মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে মোটরসাইকলে করে যশোর থেকে শার্শা উপজেলার ভবানীপুরে এক খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। ঘটনার শিকার এই নারী বলেন, তাঁদের মোটরসাইকেলটি নাভারণ-সাতক্ষীরা সড়কের কুচেমোড়ায় পৌঁছালে আট-দশজন দুর্বৃত্ত দড়ি টানিয়ে রাস্তা আটকায়। পরে তাঁদের ভাই-বোনকে ধরে মাঠের মধ্যে নিয়ে একজনের সঙ্গে অন্যজনকে পিঠমোড়া করে বাঁধে। দুজনেরই মুখ ও চোখ বেঁধে দেয় দুর্বৃত্তরা। ওই অবস্থায় একে একে সাতজন তাঁর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। দুর্বৃত্তরা পরস্পরকে ডাকাডাকি করার সময় তিনি রাজু, আরিফ, লতিফ,বাবু নামগুলো শুনেছেন বলে দাবি করেন। দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল ও তাঁদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
ওই নারী জানান, রাত দুটো পর্যন্ত তাঁর ওপর নির্যাতন চালানোর পর দুর্বৃত্তরা তাঁদের মাঠের মধ্যে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাঁর মামাতো অতিকষ্টে বাঁধন খুলে তাঁকে (নারীকে) নাভারণের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। দুপুরে তাঁকে নাভারণ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বেলা একটায় মেয়েটিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তাঁর শরীরে ধর্ষণের আলামত ছিল। তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ ছিল। তাঁর শরীরে উচ্চমাত্রার জ্বর, বমি ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্যে মেয়েটিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শার্শা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রহিম জানান, ওই নারী যেসব নাম বলেছেন, সেগুলো ধরে দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারীর মামাতো ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.