একটি যুগান্তকারী রায়- জিয়া-মোশতাক-সায়েমের শাসন অবৈধ by গোলাম আকবর চৌধুরী

সুপ্রীমকোর্টের মাননীয় বিচারপতিদের রায় দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেছে। কারণ তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর থেকে সামরিক শাসন, স্বৈর শাসনের কারণে সকল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।
নির্মম, নিষ্ঠুর অপশাসনে নিগৃহীত হয়েছে। সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিদের প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে অতিদ্রম্নত অনেক সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। তারপর থেকে ক্যুদেতার মাধ্যমে মতা দখল করে, অধ্যাদেশ/ফরমান জারির মাধ্যমে, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাকে অতিক্রম করে স্বৈরাচারী, গণবিরোধী, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক রাজনীতি চলে আসছে।
জিয়া, মোশতাক ও সায়েমের অবৈধভাবে মতা দখলের ব্যাপারে আমি 'রাষ্ট্রপতিদের অসদাচরণ ও সংবিধান লঙ্ঘন' শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম, যা ১৯৯৬ সালের ৪ আগস্ট দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত হয়। আমি উক্ত প্রবন্ধের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বক্তব্য নিচে উদ্ধৃত করছি :
"পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে এ দেশে রাজনীতি কখনও গণতান্ত্রিক ধারায় অগ্রসর হতে পারেনি। কারণ তখন থেকে রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের দ্বারা। তার পরে কু্যদেতার মাধ্যমে মতায় আসে ইস্কান্দার মির্জা, আইয়ুব খান ও ইয়াহিয়া খান প্রমুখ। তারা সামরিক ফরমানের দ্বারা দেশ শাসন করত। ফলে জনগণের মৌলিক অধিকার বলে কিছু ছিল না। রাষ্ট্রপতিদের খেয়াল খুশিমতো দেশ চলত। এতে গুটিকয়েক লোকের ভাগ্য পরিবর্তন ছাড়া দেশের আপামর জনসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসেনি। গণতন্ত্র অাঁতুড় ঘরেই রয়ে গেল। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির ধারা শুরম্ন হয়নি। ফলে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিসত্মানে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধি পেল। এই বৈষম্য ও স্বৈর শাসনের বিরম্নদ্ধে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শুরম্ন হয় গণআন্দোলন। আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ ও সাহসী নেতৃত্বে এবং পরবর্তীকালে সৈয়দ নজরম্নল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও কামারম্নজ্জামানের প্রত্য নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে এবং শুরম্ন হয় বাঙালী জাতীয়তাবাদ, শোষণমুক্ত, ধর্মনিরপে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার ভিত্তিতে ধবংসপ্রাপ্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশীয় ও আনত্মর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে পরিবার-পরিজনসহ নৃশংসভাবে হত্যা করে তারা মতা দখল করে বেআইনীভাবে রাষ্ট্রপতির আসনে অধিষ্ঠিত হয় এবং সীমা লঙ্ঘন ও অসদাচরণের মাধ্যমে এ দেশে পাকিসত্মানী রাজনৈতিক ধারা পুনঃপ্রবর্তন করে। দেশে শুরম্ন হয় স্বৈরাচারী সামরিক শাসন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খন্দকার মোশতাক আহমদ বেতার ভাষণের মাধ্যমে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা দেয়। এভাবেই শুরম্ন হয় বাংলাদেশে বেআইনীভাবে মতা দখলের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়া এবং ফরমান জারি করে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালনা, সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন ও অসদাচরণ। সবচেয়ে জঘন্য অসদাচরণ হলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দায়মুক্তি। তারপর ফরমানবলে বিচারপতি আবু মোহাম্মদ সায়েম ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে উপপ্রধান সামরিক আইন প্রশাসক নিযুক্ত করেন। (খঅড অঘউ চঅজখওগঊঘঞঅজণ অঋঋঅওজঝ উওঠওঝওঙঘ ঘঙঞওঋওঈঅঞওঙঘ উঅঞঊউ ৮ঞঐ ঘঙঠ. ১৯৭৫). অনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি এ. এম. সায়েম ৮ নভেম্বর ১৯৭৫ এক নোটিফিকেশন জারি করেন। তিনি কলমের খোঁচায় সংবিধান থেকে জাতির পিতার নাম বাদ দিয়ে শুধু অসদাচরণই করেননি, জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের নজির স্থাপন করেছেন। জিয়াউর রহমান ২৯ নভেম্বর ১৯৭৬ সালে এ. এম. সায়েমের কাছে থেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের পদটি দখল করেন। তিনি ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বন্দুকের নলের মুখে সায়েমকে সরিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এই জিয়াউর রহমানই সবচেয়ে বেশি সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালের ৩০ মে এক প্রহসনের গণভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি্বতা করেন। সেই সময় তিনি সেনাপ্রধান ছিলেন। সেনাপ্রধান থাকা অবস্থায় তিনি রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের অযোগ্য ছিলেন। ১৯৭৮ সালের জুন পর্যনত্ম তিনি সেনাবাহিনীর পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন এই রকম কোন নোটিফিকেশন প্রতিরা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়নি। তাই জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অবৈধ এবং আইনসঙ্গতভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে তার সকল কার্যক্রম অবৈধ।"
প্রতিরা মন্ত্রণালয়ের ২৮ ফেব্রম্নয়ারি ১৯৭৯ সালের নোটিফিকেশন নং ৭/৮/উ-১/৭৫-১৬০-এ বলা হয়েছে, ্তুইঅ-৬৯ গঅঔঙজ এঊঘঊজঅখ তওঅটজ জঅঐগঅঘ. ইট. চঝঈ ওঝ চজঙগঙঞঊউ ঞঙ ঞঐঊ জঅঘক ঙঋ ঞঊগচঙজঅজণ খওঊটঞঊঘঅঘঞ এঊঘঊজঅখ ডওঞঐ ওগগঊউওঅঞঊ ঊঋঋঊঈঞ.্থ এর অর্থ হচ্ছে জিয়াউর রমহান ১৮ ফেব্রম্নয়ারি ১৯৭৯ সালে অস্থায়ী লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত হয়েছেন। এই তারিখে তাঁর পদোন্নতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বিধায় প্রতিরা মন্ত্রণালয়ে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল নিম্নোক্ত নোটিফিকেশন দু'টি জারি করেন :
(ক) ঘঙ.৭/৮-উ-১/৭৫/২৭০. ইঅ-৬৯ গঅঔঙজ এঊঘঊজঅখ তওঅটজ জঅঐগঅঘ. ইট. চঝঈ ওঝ চজঙগঙঞঊউ ঞঙ ঞঐঊ জঅঘক ঙঋ ঞঊগচঙজঅজণ খওঊটঞঊঘঅঘঞ এঊঘঊজঅখ ডওঞঐ ঊঋঋঊঈঞ ঋজঙগ ২৮ঞঐ অচজওখ ১৯৭৮.
ঞঐওঝ ঈঅঘঈঊখঝ ঞঐওঝ গওঘওঝঞজণ্থঝ ঘঙঞওঋওঈঅঞওঙঘ ঘঙ. ৭/৮/উ-১-৭৫/১৬০ উঅঞঊউ ২৮ঞঐ ঋঊইজটঅজণ ১৯৭৯.
(খ) ঘঙ.৭/৮-উ-১/৭৫/২৭০. ইঅ-৬৯ ঞঊগচঙজঅজণ খওঊটঞঊঘঅঘঞ এঊঘঊজঅখ তওঅটজ জঅঐগঅঘ, ইট.চঝঈ ওঝ জঊঞওজঊউ ঋজঙগ ঞঐঊ ঝঊজঠওঈঊ ঙঋ ঞঐঊ ইঅঘএখঅউঊঝঐ অজগণ ডওঞঐ ঊঋঋঊঈঞ ঋজঙগ ২৯ঞঐ অচজওখ ১৯৭৮.চ্

এই দুটো ঘঙঞওঋওঈঅঞওঙঘ থেকে সহজেই বোঝা যায়, জিয়াউর রহমানের পদোন্নতি ও অবসর গ্রহণ দুটোই ইঅঈক উঅঞঊউ । রাষ্ট্রপতি কতর্ৃক এত বড় মিথ্যাচারের নজির পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এটা রাষ্ট্রপতির অসদাচরণ ও শাসত্মিযোগ্য অপরাধ।
বিভিন্ন ঘঙঞওঋওঈঅঞওঙঘ পর্যালোচনা করলে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে ওঠে -
১ ডিসেম্বর ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানকে মেজর জেনারেল দেখানো হয়েছে। অথচ ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিলের নোটিফিকেশনে তাকে ২৮ এপ্রিল ১৯৭৮ সালে অস্থায়ী লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে।
জিয়াউর রহমান যদি ২৯ এপ্রিল ১৯৭৮ সালে সামরিক বাহিনীর সেনাপ্রধানের চাকরি থেকে অবসর নিয়ে থাকেন আর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১ ডিসেম্বর ১৯৭৮ সালে সেনাপ্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন তাহলে এই মধ্যবর্তী সময়ে সেনাপ্রধান কে ছিলেন? এই সম্পর্কে আজ পর্যনত্ম কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। এভাবেই জিয়াউর রহমান রাজনীতিকে কলুষিত করে গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে পাকিসত্মানী স্বৈরাচারী ধারা পুনঃপ্রবর্তন করে নির্মম-নিষ্ঠুর ও অসাংবিধানিকভাবে দেশ শাসন করেন। অবশেষে ১৯৮১ সালের ৩০ মে যে পথে তিনি মতায় এসেছিলেন, ঠিক একই পথে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন।
জিয়াউর রহমানের মৃতু্যর পর বিচারপতি আব্দুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হন ৩০ মে ১৯৮১ সালে এবং পরে সংবিধান লঙ্ঘন করে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এইচ.এম. এরশাদ রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে মতা দখল করেন এবং এএফএম আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত করেন। এরপর জিয়াউর রহমানের কায়দায় এএফএম আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে সরিয়ে ১৯৮৩ সালের ১১ মে তিনি রাষ্ট্রপতির পদ দখল করেন। ১৯৮৫ সালের ২১ মার্চ গণভোট এবং ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালের ভোটারবিহীন সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশের রাজনীতিতে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করেন। পরবর্তীকালে সকল বিরোধী দলের আন্দোলনের ফলে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে তিনি মতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। এই জোরপূর্বক মতা দখল ও মতার অপব্যবহার করে তিনি শাসত্মিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তারপর বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ থেকে ৯ অক্টোবর ১৯৯১ পর্যনত্ম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
মাননীয় সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের এই ঐতিহাসিক রায়ের ফলে একটা বিষয় প্রতিষ্ঠিত হলো_ এর পরে আর কেউ এদেশে সামরিক শাসন প্রবর্তনের সাহস পাবে না। এই রায়ের ফলে ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায়ের অবসান হলো। এই আদেশের ফলে ১৯৭২ সালের সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হলো। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আদেশের ফলে জাতির ৭২ সালের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার পথে আর কোন অনত্মরায় রইল না। পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে সামরিক শাসনকে বৈধতা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রীমকোর্টের রায়ে সংবিধানের শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখা হলো। ভবিষ্যতে কেউ যাতে কু্যদেতার মাধ্যমে অন্যায়ভাবে রাষ্ট্রীয় ৰমতা দখল করার অপচেষ্টা না করে সেইজন্য এ রায় একটি কঠোর হুঁশিয়ারি ও সতর্কবার্তা। তাই দেশের আপামর জনসাধারণ এই ঐতিহাসিক রায়কে আনত্মরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছে এবং মাননীয় বিচারপতিদের এই বলিষ্ঠ রায়ের জন্য তাঁদের আনত্মরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
এখানে উলেস্নখযোগ্য যে, ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় প্রদান করে। উক্ত রায়ে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যনত্ম দেশ অবৈধ ও অসাংবিধানিক উপায়ে চলেছে। খন্দকার মোশতাক আহমদ, বিচারপতি সায়েম ও জেনারেল জিয়াউর রহমানের ৰমতা দখলের কোন সাংবিধানিক ভিত্তি ছিল না। ঐ সময়ে সামরিক ফরমানের মাধ্যমে সংবিধানে যেসব সংশোধনী আনা হয়েছে এবং সেসব আদেশ দেয়া হয়েছে তা অবৈধ।
২০০৫ সালের হাইকোর্টের রায়ের বিরম্নদ্ধে চারদলীয় জোট সরকারের আবেদনের প্রেৰিতে এ রায় এতদিন পর্যনত্ম স্থগিত রাখা হয়েছিল। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের ২ ফেব্রম্নয়ারি ২০১০ সালের রায়ের প্রেৰিতে কিছু সংশোধনীসাপেৰে ২০০৫ সালের রায় বাসত্মবায়নে আর কোন বাধা থাকল না।
আমি অত্যনত্ম আনন্দিত যে, আজ থেকে ১৫ বছর আগে আমি আমার উলিস্নখিত প্রবন্ধে মোশতাক, সায়েম, জিয়া সরকারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, যা এখন পূর্ণ আইনী স্বীকৃতি পেল। আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আত্মা শানত্মি পাবে। আজ শহীদ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যবৃন্দ ও শহীদ চার জাতীয় নেতাদের আত্মাও শানত্মি পাবে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে। ইতোমধ্যে জাতির জনকের খুনীদেরও বিচার হয়েছে এবং দৃষ্টানত্মমূলক শাসত্মি দেয়া হয়েছে। এ যেন নতুন এক বাংলাদেশের আবির্ভাব।
এতদিন ধরে বাংলাদেশের মানুষ নির্বিঘ্নে গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারেনি। বারবার সে পথে কু্যদেতার মাধ্যমে বাধা এসেছিল। অনেক সামরিক ও বেসামরিক লোককে জীবন দিতে হয়েছিল। এখন থেকে তার অবসান হবে_ জাতি সেটাই কামনা করে। সত্যের জয় হোক, আইনের জয় হোক, গণতন্ত্রের জয় হোক_ এ কামনাই করি।

লেখক : কলামিস্ট ও সমাজসেবক

No comments

Powered by Blogger.