রাজশাহী ইসলামিয়া কলেজে শিবিরের ফের গোপন বৈঠক

 শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুরস্থ জামায়াত-শিবির পরিচালিত ইসলামিয়া কলেজে বহিরাগতদের নিয়ে শিবির নেতাকর্মীদের ফের গোপন বৈঠকের অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনুষ্ঠিত ওই গোপন বৈঠকে অর্ধশতাধিক বহিরাগত ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতাকর্মী অংশ নেয় বলে জানা যায়।
এদিকে গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে পুলিশ, সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন দুপুর সোয়া ২টার দিকে ইসলামিয়া কলেজ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে শিক-কর্মচারীরা গোপন বৈঠকের কথা অস্বীকার ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তাঁরা জানান, অধ্য সিদ্দিক হোসাইন গ্রেফতার হওয়ায় কলেজ পরিচালনার বিষয়ে আলাপ আলোচনার জন্য শিক-কর্মচারীরা সমবেত হয়েছিলেন মাত্র। প্রত্যদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২টার পর কয়েকজন করে শিবির নেতাকর্মী বিনোদপুর ইসলামিয়া কলেজে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠক শুরম্নর পর একইভাবে সেখানে যোগ দেয় বহিরাগতরা। দুপুর ২টার দিকে বিনোদপুর বাজারের পশ্চিম পাশ্বর্ে পুলিশের উপস্থিতি দেখে বহিরাগত ও শিবির নেতাকর্মীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
সূত্র মতে, শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ২টার মধ্যে অনুষ্ঠিত গোপন বৈঠকে ধরমপুরের মাসুদ, খোকন, ডাশমারীর মন্টু, কাইট্টা গিয়াস, কুতুব ড্রাইভারের দুই পুত্র ফয়সাল ও মোর্শেদ, তোফাজ্জল হোসেন ওরফে পিচ্চি তোফা, বিনোদপুরের ইতি, রাজু ও হুমায়ুন, ইসলামিয়া কলেজের শিক তাসলিম ও মোবারককে এলাকার লোকজন দেখতে পায়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মহানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, এরকম কোন গোপন বৈঠকের কথা তাঁর জানা নেই।
বরিশাল জামায়াত অফিসে
পুলিশী অভিযান
নিজস্ব সংবাদদাতা বরিশাল থেকে জানান, ২১ ফেব্রম্নয়ারি নাশকতার আশঙ্কায় কোতোয়ালি মডেল পুলিশ শনিবার বরিশাল জামায়াতের অস্থায়ী কার্যালয় ঘেরাও করেছে এবং ৫/৬ নেতাকে অবরম্নদ্ধ করে রাখে। পরে তাদের অফিস ত্যাগ করতে দেয়া হয়। এ সময় অফিসে জামায়াতের বরিশাল মহানগরী আমীর এ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসেন হেলাল ও নায়েবে আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম খসরম্ন বৈঠক করছিলেন। সূত্র জানায়, জামায়াতে ইসলামী বরিশালে তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ে গোপন বৈঠকরত ছিল। গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে পুলিশের এসআই সাঈদের নেতৃত্বে দুপুর ২:৫৫ মিনিটে নগরীর বিবির পুকুরের পূর্ব পাড়ে জামায়াতের অস্থায়ী কার্যালয়ে হানা দেয়া হয়। প্রায় ২০ মিনিট কার্যালয় অবরম্নদ্ধ করে রাখা হয়। পরে নেতৃবৃন্দকে স্থান ত্যাগ করে চলে যেতে বলা হয়। এসআই সাঈদ জানান, জামায়াতে ইসলামী মাতৃভাষা দিবস পালনের ল েসভা করেছিল। এমন তথ্য পাওয়ার কারণে তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। জামায়াতে আমীর মুয়াযযম হোসেন হেলাল দাবি করেন, মাতৃভাষা দিবস পালনের জন্য তাদের সভা চলছিল।

No comments

Powered by Blogger.