আওয়ামী লীগের অগ্রাধিকার-১ by মুহম্মদ শফিকুর রহমান

এই সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩। এক বছরের মতো সময় হাতে আছে বর্তমান সরকারের। তারপরই আসছে নির্বাচন। ১৫শ’ সংশোধনীর পর বিএনপি বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না, প্রতিরোধ করবে। আওয়ামী লীগ বলছে নির্বাচন হবে।


নির্বাচন তো হতেই হবে, নইলে যে সাংবিধানিক ছিদ্র সৃষ্টি হবে সেই ছিদ্র দিয়ে লখিন্দরের সাপ ঘরে ঢুকে পড়তে পারে। যেটা ক্ষমতাসীন-ক্ষমতাহীন কারও জন্যই কোন সুফল বয়ে আনবে না। পিটুনিতে আবারও কারও কারও কোমর ভেঙ্গে যেতে পারে।
কাজেই পরবর্তী নির্বাচনটাই হচ্ছে সবচে জরুরী করণীয়। আওয়ামী লীগ ভালোয় ভালোয় সময়মতো নির্বাচনটা করতে পারলে তাদের লাভ। আর বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে পারলে সাফল্য তাদের ঘরে যাবে। যার আছে তার হারাবার ভয় আছে, যার কিছু নেই, তার হারাবারও ভয়ও নেই। আমি রাষ্ট্র ক্ষমতার কথা বলছি।
নির্বাচন করতে হলে আওয়ামী লীগকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কতগুলো কাজ করতে হবে। আজ বুয়েটে যা চলছে তাতে আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন তা তিনিই জানেন, আমরা যা জানি তাহলো মানুষ বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন। মানুষের ধারণা কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিচ্ছে না। বুয়েটে যারা ভর্তি হন তারা অবশ্যই মেডিক্যালের ছাত্রদের মতো মেধাবী। এখানে একবার ভর্তি হতে পারলে পাস তো মিলবেই এবং তারপর কে ছলিমুদ্দিনের পুত্র, কে কলিমুদ্দিনের নাতি, সে লেভেল আর থাকে না। দু’চার বছরেই গাড়ি-ফ্ল্যাট এসব হয়ে যায়। বিষয়টা হলো বুয়েট থেকে বেরিয়ে চাকরিতে ঢোকা মানে পুলিশের মতো দু’হাজার টাকার ঘুষ নয়, এখানে হলো পার্সেন্টজ ১০ কোটি টাকা প্রজেক্ট হলে ১০%-এ এক কোটি টাকা, একদিনেই ফ্ল্যাট, ডাক্তার হলে তো কথাই নেই, এক অপারেশনেই লাখ টাকা কিংবা সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রোগী দেখলে কমপক্ষে ৪০-৫০ হাজার টাকা, বেশিও হতে পারে।
আমার এ কথাগুলো ঢালাওভাবে সবার জন্য নয়, যারা ওসব করছে তাদের জন্য। আমাদের সমাজে বিয়ের পাত্র হিসেবে এখনও ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, পুলিশ, কাস্টমস ইন্সপেক্টরের কদর তুলনামূলকভাবে বেশি। অবশ্য আজকাল ব্যাংকে যেসব কেলেঙ্কারির কথা শোনা যাচ্ছে তাতে করে কোন পেশাই তো বাদ যায় না। আজকাল তো প্রেসক্লাবের সামনেও সাংবাদিক বা সংবাদপত্র লেখা গাড়ির বহরও খুব দ্রুত বাড়ছে।
একটা গল্প শুনেছিলাম। সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় ফেরত এক ছেলে মিলিটারিতে কমিশন নিয়ে ট্রেনিং শেষ করে তার নানার সাথে দেখা করতে এসেছে, মানে সালাম দিতে। নানা জিজ্ঞেস করলেন মিলিটারিতে এখন তুমি কি চাকরি করছ। ছেলে জবাব দিল, মাত্র তো ট্রেনিং শেষ হলো, এখন র‌্যাঙ্ক হলো ‘সেকেন্ড ল্যাফটেন্যান্ট’। নানা বললেন, ভাল রাস্তাই ধরছো, “দেশের প্রেসিডেন্ট হতে পারবে।” নাতি একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, “আমাদের কি সেই কপাল হবে?” (গল্পটা শুনেছিলাম জিয়াউর রহমানের ক্যু’র সময়) আর মন্তব্য করতে চাই না।
যাক, যে কথা বলছিলাম। যে বুয়েটের ছাত্ররা পাস করে বেরোবার কয়েক বছরের মাথায় গাড়ি-বাড়ির মালিক হবার স্বপ্ন দেখছেন তাদের সেই স্বপ্ন এখন বুয়েটের লন, প্যাসেজ কিংবা ভিসি-প্রোভিসির বারান্দায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। তাতে একদিন নয়, দু’দিন নয়, দিনের পর দিন এমন পরিস্থিতি চলছে। যে বুয়েটের ছাত্রছাত্রীরা সারাক্ষণ লেখাপড়া নিয়ে থাকে, জাতির দুঃসময়েও হাতের করে গোনা কয়েকজন ইমু-আম্বিয়া ছাড়া কেউ রাস্তায় নামে না, সেই ছাত্রছাত্রীরা আজ রাস্তায়। আমি মনে করি, এ সমস্যার সমাধান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।
খুবই ইন্টারেস্টিং ঘটনা ঘটে গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেও ভিসি প্রফেসর ড. শরীফ এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানান অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। বুয়েটেও তাই, এখানে ভিসি প্রফেসর নজরুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে। অভিযোগও একই এবং আজেবাজে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ভিসি প্রফেসর শরীফ এনামুল কবিরকে পদত্যাগ করিয়ে মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনকে ভিসি নিয়োগ দিলেন। প্রথম দিকে কেউ কেউ মেনে নিতে চাইল না। প্রফেসর আনোয়ার বললেন, যত শীঘ্র সম্ভব ভিসি প্যানেল নির্বাচন হবে এবং তাতে তিনি নির্বাচিত হলে ভিসি থাকবেন, নয়তো চলে আসবেন। ভিসি প্যানেল নির্বাচন হলো। ফলাফলে দেখা গেল যেই ভিসির বিরুদ্ধে এত অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেয়া হয়েছিল, সেই ভিসি প্রফেসর শরীফ এনামুল কবিরই সর্বোচ্চ নম্বর ভোট পেয়ে এক নম্বর হলেন।
কেমন হলো ব্যাপারটা?
এ মুহূর্তে অবাক হবার মতো ব্যাপার নয় কি? একটা ব্যাপার মনে রাখার মতো প্রফেসর শরীফ এনামুল কবিরের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে বলে তিনি ভিসি হলেন না। ড. আনোয়ারই (২য়) থেকে গেলেন।
শরীফ এনামুল হক তখনও পদত্যাগ করেননি। বলা যায় অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। তখন প্রতিরাতে টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখেছি এক ভদ্র মহিলা (সম্ভব ইউনিভার্সিটির শিক্ষকই হবেন)। মাইকে যে গলার রেওয়াজ করছিলেন তাতে মনে হয়েছে মধ্যরাতে পেশাদার গলাজীবীর তাঁর কাছে নস্যি। মনে হয় তিনি রাজনীতিতে যোগ দিলে দ্রুত সাইন করতে পারবেন। আওয়ামী লীগের যোগ দিলে বিএনপির সৈয়দা পাপিয়া এমপিকে সহজে ব্যালান্স করতে পারবেন। আর বিএনপিতে যোগ দিলে পাপিয়া এমপিকেও প্রয়োজন পড়বে না, তিনি একাই সব আওয়ামী লীগারদের সামাল দিতে পারবেন। আওয়ামী লীগের গলাজীবীরা মোটামুটি স্তব্ধ হয়ে যেতে বাধ্য হবেন।
সে সময় আমি একটা লেখা লিখেছিলাম। প্রফেসর শরীফ এনামুল কবির ভিসি প্যানেল নির্বাচনে ফার্স্ট হবার পর বলেছিলাম এরপর আন্দোলনকারীদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত নয় কি? কথাটা এ জন্য বললাম বুয়েটের প্রশ্নেও সরকারকে একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনকে খুঁজে বের করতে হবে।
এ কথা বুঝতে আজ আর বাকি নেই যে জাবি কিংবা বুয়েটের আন্দোলন কেবল ভিসি অপসারণ নয়। এটি হচ্ছে দেশের উচ্চ শিক্ষালয়গুলোকে সাম্প্রদায়িক জঙ্গীগোষ্ঠীর আস্তানা বানানো। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। বুয়েটের আন্দোলনের পেছনে কারা? কারা এই আন্দোলনে হাওয়া দিচ্ছে তাও সামনে চলে আসবে। কাগজে ছাপা হয়েছে বুয়েটের এক জামায়াত কন্যা শিক্ষিকা আন্দোলনকারীদের জন্য আটশ’র মতো প্যাকেট বিরিয়ানি এনে খাইয়েছেন। কেন তিনি এতটা উদার হলেন?
আজকে ছাত্ররা আন্দোলন করছে ভিসি-প্রোভিসিকে তাড়ানোর জন্য। কিন্তু এরা জামায়াতী শিক্ষকদের তাড়ানোর জন্য কোন আন্দোলন করছে না। তাহলে প্রশ্ন করতে পারি কি, এরা কোন বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রী। এরা হয়ত দেখেনি ১৯৭১, এদের বাবা-মা, বড় ভাইবোন, চাচা-চাচি ১৯৭১ দেখেছে। কিভাবে তৎকালীন ইসলামী ছাত্রসংঘ (বর্তমান ইসলামী ছাত্রশিবির) আলবদর-আলশামস নাম নিয়ে আমাদের এবং তাদেরও শিক্ষকদেরই হত্যা করেছে।
১৯৭১ সালে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মহসিন হলের ছাত্র ছিলাম। আমাদের হলের সিনিয়র হাউস টিউটর ছিলেন ড. গিয়াসউদ্দিন আহমেদ। ইতিহাসের অধ্যাপক। বয়স সম্ভবত পঞ্চাশের কোটা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। বিয়ে করেননি। কুমার জীবন-যাপন করতেন এবং এ কারণেই হয়ত হলের ছাত্রদের ভীষণ ভালবাসতেন। তাদের দুঃখ-দুর্দশায় সব সময় দেখাশোনা করতেন। আমার রুমমেট কেএম হাবিবুল্লাহ কামালের একবার জ্বর হলো। জ্বর ১০৩-৪ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠেছিল। গিয়াস উদ্দিন স্যার ছুটে এলেন এবং ডাক্তারের ব্যবস্থা তো করলেনই, নিজে রাত জেগে তার কপালে জলপট্টি দিয়েছিলেন। এটি একটি ঘটনার কথা বললাম। এমনই ছিলেন আমাদের গিয়াস উদ্দিন স্যার।
যুদ্ধশেষে হলে ফিরে এসে জানলাম আলবদররা গিয়াস উদ্দিন স্যারকেও হত্যা করেছে বধ্যভূমিতে নিয়ে এবং এই হিংস্র কাজটি করেছে আমাদের মহসিন হলেরই দুই আবাসিক ছাত্র চৌধুরী মঈনুদ্দিন এবং অপর একজন (তার নামটি সম্ভবত আশরাফ)। আমি ২৫ মার্চের আগে দৈনিক ইত্তেফাকে লেখালেখি করতাম। চৌধুরী মঈনুদ্দিন কাজ করত দৈনিক পূর্বদেশে। খুবই ভদ্র (?) ব্যবহার করত। প্রায়ই হল ক্যান্টিন থেকে চা আনিয়ে আমাকেও খেতে দিত। নামাজের আজান পড়লে বলত, চলুন নামাজ পড়ে আসি। কিন্তু এই ভাল মানুষের (?) খোলসের ভেতরে যে কি হিংস্র এক হায়েনা লুকিয়ে ছিল তা জানলাম মুক্তিযুদ্ধের পর হলে ফিরে। এখন শুনছি লন্ডনে আছে এবং এক মসজিদের পরিচালক।
বিবিসি চ্যানেল-ফ্লোর একবার একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছিল বুদ্ধিজীবী হত্যার ওপর। মরহুম সাংবাদিক আতিকুর রহমান তাতে কাজ করেছিলেন। তাতে চৌধুরী মঈনুদ্দিনকে দেখানো হয়েছে।
আজ বুয়েটে যে আন্দোলন চলছে তাতে বলা হচ্ছে ভিসি-প্রোভিসির দুর্নীতি ও অনিয়ম। হয়ত সত্যি, হয়ত সত্যি নয়। কি দুর্নীতি করেছেন তা কারও কাছে পরিষ্কার হয়েছে কিনা জানি না, আমার কাছে এখনও অন্ধকারে রয়েছে। দুর্নীতি যদি করেই থাকেন তবে পদে থাকবেন কেন? তাঁর উচিত হবে ভিসির পদটি ছেড়ে দিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা।
আর সরকারেরও উচিত একটি যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষ দিয়ে, প্রয়োজন হলে কোন একজন বিচারককে দিয়ে তদন্ত করিয়ে ব্যবস্থা নেয়া। দিনের পর দিন এভাবে ঝুলিয়ে রাখা ঠিক নয়।
কিংবা যে অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল, ভিসি প্যানেলের নির্বাচনের ফলাফল কিন্তু অন্য কথা বলে। অর্থাৎ আন্দোলনকারীদের এজেন্ডা অন্যকিছু ছিল, যা ভেস্তে গেল মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ভিসি হবার পর। বুয়েটেও সরকারের উচিত হবে এমনি কোন ড. আনোয়ারকে এনে বসানো। তাহলে সেই সাপটি বেরিয়ে আসবে। তবে এখনও বলি, জাবির সেই আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিচার হওয়া উচিত।
কারণ এসব আন্দোলনের পেছনে জেনে হোক, না জেনে হোক, একটি গোষ্ঠী কৌশলে শিক্ষাঙ্গনগুলোকে মৌলবাদের আস্তানা বানাতে চায়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। যে মুহূর্তে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই একাত্তরের রাজাকার-আলবদর-শান্তি কমিটি বা দালালদের সন্তানরা খুব বেশি তৎপর। একাত্তরে যে ইসলামী ছাত্রসংঘ আলবদর নাম নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল তারাই প্রথমে মিলিটারি জিয়ার এবং এখন খালেদা জিয়ার পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামী ছাত্রশিবির নাম নিয়ে আজ কোথাও কোথাও হুমকি দিচ্ছে তাদের নেতাদের ছেড়ে দিতে হবে। সেই নেতাগুলো কে? গোলাম আযম, মতিউর রহমান নিজামী, সাকা চৌধুরী, আলী আহসান মুজাহিদ, দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদী, মীর কাশেম আলী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা ও আবদুল আলিম হলেন সেই নেতা? যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যা তো চালিয়েছে; এই বর্বরের দল আমাদের মা-বোনদের পাকি লুচ্চাদের হাতে বাঙ্কারে তুলে দিয়েছে। এরা নাকি আবার মুসলমান? এরা নাকি আবার ইসলামের কথা বলে? এই সব হায়েনাদের কি ছেড়ে দেয়া যায়?
এরা এত খারাপ যে ইসলামের ইতিহাসের সবচে গৌরবময় একটি যুদ্ধ, অর্থাৎ বদরের যুদ্ধ এবং যে যুদ্ধে মুসলমানরা জয়লাভ করেছিল এবং ইসলামবিরোধীদের অন্তত ৭০ জন গ্রেফতার হয়েছিল। কিন্তু রসূলে করিম হজরত মুহম্মদ মুস্তাফা (স.) গ্রেফতারকৃতদের হত্যা করেননি, ছেড়ে দিয়েছিলেন। ইসলামী ছাত্রসংঘ বা বর্তমান ইসলামী ছাত্রশিবির বদরের যুদ্ধের সেই পবিত্র নামটি নিয়ে এই অপবিত্র অমানবিক কাজটি করছে। ইসলামী ছাত্রসংঘ সেদিন বাসা তল্লাশি করে করে বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে বধ্যভূমিতে হত্যা করেছে। আর এখনকার ছাত্রশিবির হাত-পায়ের রগ কাটছে কিংবা মেরে ম্যানহোলে ফেলে দিচ্ছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা আর চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ মুহুরীর ঘটনা মনে করলে এখনও গা শিউরে ওঠে।
এখন দেখা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও তারা ধোঁয়া দিতে শুরু করেছে। আমাদের কি এখনও সতর্ক হবার সময় আসেনি?
(চলবে)

ঢাকা, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১২
লেখক : ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক

No comments

Powered by Blogger.